টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় l মোবাইল দিয়ে ইনকাম

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান? সেক্ষেত্রে অনুসরণ করুন এই মোবাইল আর্নিং গাইড টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়। এই পোস্টে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় ও কীভাবে মোবাইলে টাকা ইনকাম করবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ নিজের দায়িত্বে এই উপায়গুলো ট্রাই করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় কি?

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার একাধিক উপায় রয়েছে। যদি আপনার হাতে একটি ফোন আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকে, তাহলেই এখনি নেমে পড়তে পারেন মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে।

 

ব্লগের মাধ্যমে

নিজস্ব ব্লগে আর্টিকেল লিখে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য। এর জন্য প্রথমে একটি ব্লগ সাইট খুলতে হবে এবং সেই সাইটে পোস্ট ও এসইও করার মাধ্যমে ভিজিটর আনতে হবে। তারপর বিভিন্ন ধরনের এড নেটওয়ার্কের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এভাবে অনেকেই নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করছে।

ব্লগার দিয়ে ফ্রিতে ব্লগ সাইট খুলতে পারবেন। আবার ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে হোস্টিং ডোমেইন কিনে বিনা কোডিং অভিজ্ঞতাই ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারেন। অনেকে আছে যারা ব্লগে গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করে। সাধারণত বেশিরভাগ ব্লগার এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ব্লগ থেকে ইনকাম করে।এর জন্য আপনার ব্লগে কপিরাইট মুক্ত আর্টিকেল থাকতে হবে।

তাছাড়া ব্লগের মাধ্যমে অনেক ভাবে ইনকাম করা যায়।যেমন আপনি ব্লগের মাধ্যমে আফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।আবার পেইড স্পন্সর নিয়েও ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে ইনকাম

আপনার হাতের স্মার্টফোনটি কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী। ভিডিও রেকর্ড থেকে শুরু করে ভিডিও এডিট ও আপলোড পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া মোবাইল ফোনেই করা যায়। মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরী করে ইউটিউবে আপলোড করে গুগল এডসেন্স প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে আয় করা সম্ভব। এছাড়া যথেষ্ট বেশি সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার পেলে স্পন্সরড ভিডিও করেও টাকা ইনকাম সম্ভব।

কী নিয়ে ইউটিউব ভিডিও বানাবেন, সেটা নিয়ে ভাবছেন? বর্তমানে ইউটিউবে সকল ধরণের ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা ও ভিউয়ার রয়েছে। নির্দিষ্ট টপিক সিলেক্ট করে সেই বিষয়ক ভিডিও মোবাইলে তৈরী করে ইউটিউব দ্বারা মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারে যেকেউ।

ইউটিউব চ্যানেলে গুগল এডসেন্স যুক্ত হওয়ার এই প্রক্রিয়াটি ইউটিউব মনিটাইজেশন নামে পরিচিত। একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ হতে গেলে প্রয়োজন হয়ঃ

লাস্ট ১ বছরে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম
মোট ১০০০ সাবস্ক্রাইবার
উল্লেখিত দুইটি শর্ত পুরণ হয়ে গেলেই ইউটিউব থেকে আয় শুরু হয়। একটু আগেই যেমন বললাম, আপনার চ্যানেল কিছুটা বড় হতে শুরু করলে ইউটিউব মনেটাইজেশন এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্পন্সারশিপ থেকেও আয় সম্ভব। এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম এর আরো পথ তো থাকছেই।

সমকোণ কাকে বলে? সমকোণের বৈশিষ্ট্য সমূহ

ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম

আর্টিকেল লিখে ইনকাম করার সবথেকে সেরা মাধ্যম ফ্রিল্যান্সিং। আর্টিকেল রাইটিং ফ্রিল্যান্সিং জবের মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং কোম্পানির কাজে আর্টিকেল প্রয়োজন হয়। তাই ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে আর্টিকেল রাইটারদের অনেক চাহিদা। বাংলাদেশ থেকেই অনেকে আর্টিকেল লিখে অনলাইনে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।

বর্তমানে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্স্যার যারা আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ করে তারা প্রতি ঘন্টায় ১০ থেকে ৩০ ডলার পর্যন্ত চার্জ করে। তাছাড়া বিভিন্ন নিউজ ওয়েবসাইটেও আর্টিকেল রাইটার নিয়োগ দেওয়া হয়। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন আর্টিকেল রাইটারদের কতো চাহিদা।

অন্যের ওয়েবসাইটে লিখে ইনকাম

বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইটে আর্টিকেল প্রয়োজন হয়। একজন ওয়েবসাইট ওয়ানার প্রত্যেক দিন আর্টিকেল লিখতে পারে না তাই তারা আর্টিকেল রাইটার খোজে। আপনি ভালো আর্টিকেল লিখতে পারলে এভাবে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। অনেকেই অন্যের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করছে।

ফোরাম সাইটে লিখে ইনকাম

যে সাইটে সবাই আর্টিকেল লিখতে পারে সেই সাইটকে ফোরাম সাইট বলে। বর্তমানে অনেক ফোরাম সাইট আছে যেখানে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করা যায়। অনেক বাংলা সাইটও আছে যেখানে বাংলা আর্টিকেল লেখার জন্য টাকা দেই। যেমন ট্রিকবিডি একটি জনপ্রিয় বাংলা ফোরাম সাইট। ট্রিকবিডিতে আপনি আর্টিকেল লিখে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন। ট্রিকবিডি প্রতিটি আর্টিকেলের ন্যায্য মুল্য। দেই এখানে ৫০০ টাকা হলে আপনি টাকা তুলতে পারবেন। তাছাড়া টেক টিউনস্ থেকেও বাংলা আর্টিকেল লিখে ইনকাম। বর্তমানে জে-আইটি ফোরাম সাইটটি অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ফেসবুক মনিটাইজেশন দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও রয়েছে মনিটাইজেশন সুবিধা। ফেসবুক পেজ মনেটাইজ করে পেজে পোস্ট করা ভিডিও থেকে আয় করা সম্ভব। ফেসবুক পেজ মনেটাইজ করতে প্রয়োজনঃ

লাস্ট ২ মাসে মধ্যে ৬০০,০০০ মিনিট ওয়াচ টাইম
সর্বনিম্ন ৫টি একটিভ ফেসবুক ভিডিও
১০ হাজার পেজ ফলোয়ার।
এছাড়াও আপনি ফেসবুক ও ইউটিউব এর জন্য একই কনটেন্ট তৈরী করে দুইটি প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সফলতার সম্ভাবনার হার বেশি থাকে।

 

রিসেলিং ব্যবসা করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

রিসেলিং ব্যবসাকে সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। ধরুন, আপনি ৫০টাকা দরে এক ডজন কলম কিনলেন এবং ৬৫টাকা দরে বিক্রি করলেন। বাড়তি যে দামে বিক্রি করবেন, সেটাই আপনার লাভ। এটাই হচ্ছে মূলত রিসেলিং ব্যবসার মডেল।

মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

ছোটোখাটো অনেক সহজ কাজ, যেমনঃ পোস্ট শেয়ার, ভিডিও দেখা, কমেন্ট করা, অ্যাপ ইন্সটল ইত্যাদির কাজের বিনিময়ে কিছু সাইট অর্থ প্রদান করে থাকে। এসব সাইটকে মাইক্রোওয়ার্ক সাইট বলে। এসব সাইটের সুবিধা হচ্ছে, যেকেউ যেকোনো ডিভাইস এমনকি মোবাইল দিয়েও এসব সাইট থেকে আয় করতে পারে। কিছু জনপ্রিয় মাইক্রোওয়ার্ক সাইট হলোঃ

microworkers

পিকোওয়ার্কার্স,

Workupjob. ইত্যাদি

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

Leave a Comment