নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ও পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

বর্তমানে আর হাতে লিখে জন্ম নিবন্ধন করা যাচ্ছে না। তাই নতুন করে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করতে হলে আপনাকে বেশকিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে। নিচে নতুন জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হলো:

জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জরুরী কাগজ

০-৪৫ দিনের শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত

  1. ইপিআই টিকা কার্ড
  2. পিতা ও মাতার   ডিজিটাল  জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি (সেখানে অবশ্যই বাংলা ও ইংরেজি তে থাকতে হবে ) কপি
  3. পিতা ও মাতার NID Card এর কপি বা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
  4. বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং  হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ থাকতে হবে
  5. আবেদনকারীর পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর দিতে হবে।

আবার ৪৬ দিন – ৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে, উপর্যুক্ত কাগজগুলো সহ আবেদন ফরম জমা দেয়ার সময় অবশ্যই ১ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।

৫ বছরের উর্ধ্বে যারা নতুন জন্ম নিবন্ধন করবে তাদের ক্ষেত্রে,

  1. বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র
  2. সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট
  3. জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ। (নদীভাঙ্গন অন্য কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে) দিতে হবে।

ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন ফি:

  1. ৪৫ (পাঁতাল্লিশ) দিন বয়সী শিশুর জন্ম নিবন্ধন বিনামূল্যেই করা যাবে।
  2. ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুর জন্ম নিবন্ধন ফি ২৫ টা। বিদেশ বা দেশের বাইরে থেকে জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে ফি ১ মার্কিন ডলার।
  3. বাংলাদেশ থেকে কোন নাগরিকের জন্ম সনদ সংশোধন ফি ১০০ টাকা এবং বিদেশ বা দেশের বাইরের জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফি  ২ মার্কিন ডলার।
  4. বাংলাদেশ, বিদেশ অথবা দেশের বাহির থেকে যদি কোন নাগরিক বাংলা  এবং ইংরেজি  অর্থা দুই ভাষাতে ‍মূল সনদের প্রয়োজন হয় তাহলে তা বিনা নাগরিক বা বাসিন্দা বিনা খরচে বা বিনা ফি তে পেতে পারবেন। (কোন ফি প্রযোজ্য নহে।
  5. যদি আপনি বাংলা-ইংরেজি দুটো ভাষাতেই জন্ম  সনদের নকল কপি পেতে চান তাহলে বাংলাদেশ থেকে ৫০ টাকা এবং বিদেশ অর্থাৎ দেশের বাহির থেকে ১ মার্কিন ডলার ফি প্রযোজ্য হবে।

আরো পড়ুন: মামলা করার নিয়ম, প্রকারভেদ, প্রত্যাহার সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন

  1. জন্ম নিবন্ধন এর আবেদন করতে-https://bdris.gov.bd/br/application প্রথমে আপনি এই লিংকে প্রবেশ করুন
  2. পরবর্তীতে জন্ম নিবন্ধন সনদ আপনার কোন ঠিকানার অফিস থেকে সংগ্রহ করতে চান সেই লেখার নিচে লক্ষ্য করুন-  জন্মস্থান, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানার বক্স রয়েছে। আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধনটি যেই স্থান হতে আবেদন করতে চান সেই খানে ক্লিক করুন এবং তার নিচে আরেকটি বক্স রয়েছে আপনি যদি বিদেশ থেকে বা দেশের বাহির থেকে জন্ম নিবন্ধন পেতে চান তাহলে বাংলাদেশ অনুমোদিত দূতাবাস চিহ্নিত করে ‘‘পরবর্তী’’ বাটনে ক্লিক করুন।
  3. এর পর আপনি চিহ্নিত ঘর পূরণ করুন এই ভাবে। নামের প্রথম অংশ বাংলা- অন্তর, নামের শেষ অংশ- দাস (অন্তর দাস), জন্ম তারিখ- 31/04/2000, পিতা মাতার কততম সন্তান- 1, লিঙ্গ- পুরুষ, জন্ম স্থানের ঠিকানা- ঢাকা, বাংলাদেশ (সম্পুর্ণ ঠিকানা প্রদান করুন)। তার পর ‘‘পরবর্তী’’ বাটনে ক্লিক করুন।
  4. তারপর লক্ষ্য করুন, পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ও জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার এবং পিতা মাতা কোন দেশের নাগরিক তা দেওয়ার বক্স আসবে। উল্লেখ্য, আপনার জন্ম তারিখ যদি 2001 সনের আগে হয় অর্থৎ 31/04/2000 ইং তাহলে আপনার পিতা মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এর প্রয়োজন হবে না শুধুমাত্র পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র, বাংলা নাম এবং ইংরেজী নাম দিলে হবে এবং যদি আপনার জন্ম তারিখ 2000 সন এর পরে হয় অর্থাৎ 01/01/2001 তাহলে আপনার পিতা মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন অবশ্যই দিতে হবে বা বাধ্যতামূলক। নিয়মানুযায়ী পূরন করা হলে ‘‘পরবর্তী’’ বাটনে ক্লিক করুন।
  5. তার পরবর্তীতে পেজে আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন দুইটি অপশন এসেছে যথাক্রমে- (1) আপনি কি নিম্নলিখিত কোন ঠিকানা আপনার স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে চান? (2) আপনি কি নিম্নলিখিত কোন ঠিকানা আপনার বর্তমান ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে চান? আপনি যদি আর কোন ঠিকানা ব্যবহার করতে ইচ্ছুক না হন তাহলে ‘‘কোনটিই নয়’’ ক্লিক করুন এবং তার নিচে ‘‘পরবর্তী’’ বাটনে ক্লিক করুন।
  6. তারপর আপনার বয়স যদি 18 বছরের উপরে হয় তাহলে আপনি নিজে আবেদন করতে পারবেন আর যদি আপনার বয়স 18 বছরের নিচে  হয় তাহলে আপনি আবেদন করার যোগ্য ব্যক্তি নহে সে ক্ষেত্রে আপনার নিকটতম আত্মীয় এবং পিতা-মাতা আবেদন কারী হতে পারবে।  যিনি আবেদন কারী হবেন তাহার  জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বার, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, মোবাইল নাম্বার খালিস্থানে প্রদান করুন। পরবর্তীতে ‘‘সংযুক্তি ( প্রতিটি ফাইলের জন্য, সর্বোচ্চ ফাইল সাইজ 100 কিলো বাইট )’’ লেখাটির নিচে ‘সংযোজন’’ এর ক্লিক করুন এবং প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র যেমন- শিশু টিকা কার্ড, পিতার জন্ম নিবন্ধন, মাতার জন্ম নিবন্ধন, পিতার জাতীয় পরিচয় পত্র, মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং হাসপাতালের সার্টিফিকেট সংযুক্ত করুন। তার পর ‘‘পরবর্তী’’ বাটনে ক্লিক করুন।
  7. আবেদনপত্রটি সাবমিট করার পূর্বে সকল তথ্য ঠিক আছে কিনা দেখে নিন। মনে রাখবেন একবার সাবমিট করা হয়ে গেলে আবেদনপত্রটিতে আর এডিট করার সুযোগ থাকবে না। আবেদন পত্রের সকল তথ্য সঠিক ভাবে যাচাই করে  ‘‘সাবমিট’’ বাটনে ক্লিক করুন।
  8. সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে আপনার আবেদনটি সফল ভাবে করা হবে এবং পরবর্তীতে অনলাইন থেকে bdris online ফরম টি সংরক্ষণ করে কালার প্রিন্ট করুন এবং আপনার নিকটস্থ পৌরসভা, ভোট অফিস অথবা সিটি কর্পোরেশনে জমা প্রদান  করতে হবে।

এভাবেই আপনি ঘরে বসেই নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার সময় যে সকল সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে:

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন বা পুরাতন জন্ম নিবন্ধনকে ডিজিটাল করার জন্য আবেদন করার সময় আপনার কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। না হলে পরে ভুল হয়ে গেলে, ভুল শুধরানোর জন্য আবার আপনাকে অনেক সময় ব্যয় করে এবং টাকার অপচয় করে ভুল সংশোধন করতে হবে।

প্রথমেই যাতে কোন ভুল না হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার নাম, বাংলা এবং ইংরেজি বানান, আপনার বাবা মা-র নাম, তাদের নামের বানান ভালো করে দেখে শুনে দিবেন। যাতে ভুল না হয়। বিশেষ করে জন্ম তারিখ এবং জন্ম সাল দেয়ার সময় খেয়াল রাখবেন।

জন্ম সালের ক্ষেত্রে একটি মাত্র ডিজিট এর হেরফের হলে বয়সের অনেক তারতম্য দেখা দিবে। তাই সঠিকভাবে জন্ম সাল পূরণ করার জন্য বলা হলো। অন্যান্য তথ্যগুলোও খুব সাবধানতাবশত, প্রয়োজনে একের অধিকবার দেখে পূরণ করবেন।

আরো পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিং: মোবাইল ব্যাংকিং কী ও এর সুবিধা?

অন্যান্য বিষয়াবলি:

  1. যে এলাকায় হাতে লিখা জন্ম নিবন্ধনটি করা ছিল, সেই কার্যালয়ে রক্ষিত বইতে  সনদের তথ্যটি পাওয়া গেলে নিবন্ধক সরাসরি হাতে লিখা সনদের তথ্য দিয়েই  অনলাইন নিবন্ধন করে দিবেনযদি না  ইতঃপূর্বে অন্য কোথাও জন্ম নিবন্ধন করা হয়ে  থাকে।। তবে জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি পরিবর্তিত হবে। এতে অবশ্য সংশ্লিষ্ট নাগরিকের কোন ক্ষতি বা অসুবিধা হবে না।
  2. সফটওয়্যারে কোন তথ্য সংযোজন বা বিয়োজন সংশোধন হিসাবে গণ্য হবে। নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রথমেই তা উভয় ভাষায় করা প্রয়োজন ছিল। ইংরেজিতে না থাকায় তা এখন সংযোজন করতে গেলে তাও সংশোধন হিসাবে গণ্য হবে এবং তা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৮-এর ১৫ বিধি অনুযায়ী সংশোধন করতে হবে।
  3. ১৭ ডিজিটের কম জন্ম নিবন্ধন নম্বর হলে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের কার্যালয়ে পুরাতন সনদটি জমা প্রদান করে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন  নম্বর সম্বলিত সনদ নেওয়া যাবে। নিবন্ধনের সকল স্তরের মত এক্ষেত্রেও নাগরিকের নিজস্ব মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
  4. মাতা অথবা পিতার যে কোন একজন বিদেশী হলে যিনি বাংলাদেশী তার স্থায়ী ঠিকানার প্রয়োজনীয় দলিলাদি নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। তখন নিবন্ধক প্রয়োজনীয়  অনুসন্ধান  শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে নিবন্ধন করে দিবেন।
  5. জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন সকলের জন্য ব্যধ্যতামূলক (ধারা ৫(১), ৬ক এবং ৮(১)) । আইনের এ নির্দেশনা কেউ না মানলে তিনি আইন লঙ্ঘনকারী হিসাবে গণ্য হবেন এবং অনধিক ৫০০০ টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। তাছাড়া, এখন বিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরিতে নিয়োগ, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্রসহ ১৯ টি ক্ষেত্রে জন্ম সনদ আবশ্যক। আবার জন্ম নিবন্ধন ব্যতীত কোন ব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন করা যাবে না। মৃত্যু নিবন্ধন না হলে উত্তরাধিকার নিশ্চিত করা যাবে না।
  6. অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের শুরুতে অসাবধানতা বা অন্যান্য কারণে কোন কোন ক্ষেত্রে একই নম্বর একাধিক ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন নম্বর হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। এইরূপ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিবন্ধন অফিসে এনে সম্মতির ভিত্তিতে ঐ নম্বরটি একজনকে বরাদ্ধ প্রদান করে অপরজনকে একটি নতুন নম্বর দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যেতে পারে। সমঝোতা না হলে যার নিবন্ধন আগে হয়েছে তার জন্য এই নম্বরটি রেখে অপরজনকে নতুন নম্বর বরাদ্দ (reset) করতে হবে। এই অপশনটি BDRIS এর “জন্মতথ্য” মডিউলে “জন্ম নিবন্ধন বিষয় সঠিক করুন” অপশনে গেলে পাওয়া যাবে। সফটওয়্যারে এই অপশনটি শুধু ‘অথরাইজড ইউজার’ পাবেন। অপর ব্যক্তিকে হাজির করা না গেলে, উপস্থিত ব্যক্তি সম্মত হলে তাকে একটি নতুন নম্বর প্রদান করা যেতে পারে। তদন্ত/অনুসন্ধানে অপর ব্যক্তি অস্তিত্ব-শুন্য প্রমাণিত হলে সেই নিবন্ধনটি বাতিল করতে হবে।
  7. বিবাহ বিচ্ছেদ বা পিতা-মাতার একজন অপ্রাপ্য/নিখোঁজ হলে সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার একজনের তথ্য দিয়ে, অপরজনের শুধু নাম উল্লেখক্রমে সন্তানের জন্ম  নিবন্ধন করা যাবে।
  8. অন্যকারো মোবাইল ফোন নাম্বার ব্যাবহার করার ক্ষেত্রে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তি বা তার পিতা-মাতা-অভিভাবকের  মোবাইল ফোন নম্বরই দিতে হবে। এর সঙ্গে এদের কারও ইমেইল নম্বব (যদি থাকে) দিলে তা আরও সুবিধাজনক হবে।পরিবারের  সদস্য সংখ্যা ৫ জন হতে পারে এমন ধারণা থেকে সফ্টওয়্যারে একটি মোবাইল ফোন নম্বর পরিবারের সর্বোচ্চ ৫ জন সদস্যের ব্যবহারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোন ফোন নম্বর ৫-এর অধিক সংখ্যক নিবন্ধনে ব্যবহার করলে পরবর্তী সময়ে সেসকল নিবন্ধনের কোন সন্ধান পাওয়া যাবে না। পরিবারের কোন মোবাইল ফোন না থাকলে বা সদস্য সংখ্যা মোবাইল ফোনের ধারণ ক্ষমতার বেশী হলে সে ক্ষেত্রে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তি বা তার পিতা-মাতা-অভিভাবকের সম্মতিতে তার কোন নিকট-জনের ফোন নম্বর ব্যবহার করা যাবে। এইরূপ ক্ষেত্রে কোন অবস্থায়ই নিবন্ধন কার্যালয়ের কোন দাপ্তরিক বা কোন কর্মচারীর ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ব্যবহার করা যাবে না।
  9. পূর্বে নিবন্ধন না হয়ে থাকলে আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী বিবাহিত নারীর বিলম্বিত জন্ম নিবন্ধন স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় করা যাবে। তিনি চাইলে তার জন্ম স্থানের ঠিকানায়ও নিবন্ধন করতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পিতা ও মাতার নাম লিখতে হবে, স্বামীর নাম লেখার কোন সুযোগ নাই।

আশা করি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করতে হয় সে ব্যাপারে ধারণা পেয়েছেন। কিভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে হয় সে ব্যাপারেও ধারণা পেয়েছেন। এবার আপনি খুব সহজেই জন্ম নিবন্ধনের যেকোনো কাজ করতে পারবেন।

আপনার জন্ম নিবন্ধন এর আপডেট জানতে ওয়েবসাইটে খেয়াল রাখতে পারেন।  আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার নিকট আত্মীয় স্বজন কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আরো নানান বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম:

বর্তমান সময়ে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবারই জন্ম নিবন্ধন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি কাগজ। আমাদের জীবনে প্রায় সব ক্ষেত্রেই জন্ম নিবন্ধন এর গুরুত্ব অত্যধিক। বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি থেকে শুরু করে জাতীয় পরিচয় পত্র করা এবং চাকরির ক্ষেত্রে পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন হয়।

আগে হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন এর প্রচলন ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ২০২১ সাল থেকে ডিজিটালভাবে জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়া হাতে নেয়। আগে জন্ম নিবন্ধনের সনাক্তকরণ সংখ্যা ছিল ১৬। বর্তমানে এর সংখ্যা বা ডিজিট হল ১৭টি।

তাই আপনার পূর্বে হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধনটি অকেজো হয়ে গেছে। ডিজিটাল ভাবে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য সরকার নির্দেশনা দিয়েছে। অনেকের কাছেই ডিজিটাল ভাবে জন্ম নিবন্ধন করা জটিল প্রক্রিয়া মনে হতে পারে। আজকে আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনি নিজে ঘরে বসেই আপনার হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধনটি ডিজিটাল করবেন।

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কি?

ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন হলো অনলাইনে সরকারি সার্ভারে আপনার জন্ম সম্পর্কিত তথ্যগুলো ডিজিটালি সংরক্ষণ করা। ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন করতে হলে জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে করতে হবে। মানে আপনার নাম টা হাতের লেখা হবে না কম্পিউটারের সাহায্য লেখা হবে।

শুধু নাম না জন্ম নিবন্ধনে যেসব তথ্য থাকবে সব লেখা কম্পিউটারের টাইপ হতে হবে। সেই সাথে আপনার জন্ম নিবন্ধনের সংখ্যাটি লিখে সার্চ দিলেই আপনার যাবতীয় তথ্য দেখা যাবে।

জন্ম নিবন্ধন কেন অনলাইন করবেন?

সরকার ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮টি নাগরিক সেবার জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবশ্যক করেছে। এই সেবাগুলোর মধ্যে আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন, পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন।

এছাড়াও, ১২ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাস টিকা পেতেও ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকা সত্ত্বেও সবাইকে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে। প্রথমে একটু ভোগান্তি মনে হলেও একবার সবার অনলাইন নিবন্ধন হয়ে গেলে পুরো জাতি উপকৃত হবে। এর মাধ্যমে সরকার সব ধরনের নাগরিক সেবা দ্রুততার সঙ্গে দিতে পারবে। সুতরাং, আমাদের সবার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য যত দ্রুত সম্ভব আবেদন করা উচিত।  

একজন নাগরিকের নাম ও জাতীয়তা চিহ্নিত করার জন্য জন্ম নিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি উপকরণ। এর মাধ্যমে রাষ্ট্র সদ্যোজাত শিশুটিকেও দেশের একজন নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে নেয়। শিশু জন্ম নেওয়ার পরপরই জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে পরে আর ঝামেলা পোহাতে হয় না।

পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কেন করবেন?

আপনি কি জানেন জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে না পাওয়া এর প্রধান কারন হলো যে, পূর্বে আমাদের দেশের ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভার রেজিস্টার বইতে আমাদের জন্ম নিবন্ধন তথ্যসমূহ শুধুমাত্র হাতে লিখে সংরক্ষণ  করে রাখতো ।

ডিজিটাল করার লক্ষে পরবর্তীতে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন তথ্য আপলোড করার জন্য হাতে লিখা তথ্য সার্ভারে ইনপুট করা হয় ম্যানুয়েলি পদ্ধতিতে। তখন ভুলবশত কারো তথ্য বাদ পড়ে গিয়ে থাকতে পারে। অর্থাৎ এখন বুঝা গেল আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে না পাওয়া যাওয়া মানেই হলো সার্ভারে ম্যানুয়েলি তথ্য ইনপুট করা হয় নি।

এর কারনে আপনার জন্ম নিবন্ধন (হাতে লিখা থাকা সত্ত্বেও) তথ্য অনলাইনে আপনার তথ্য পাওয়া যাচ্ছেনা। আবার অন্য একটি উল্লেখযোগ্য কারন হতে পারে আপনার কাছে যে জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি আছে তাতে হয়তো যেকোন ধরনের ভুল  থাকতে পারে।

তাই দুশ্চিন্তা করার কোন দরকার নেই  এক্ষেত্রে আপনার করনীয় হলো, অতিদ্রুত আপনার ইউনিয়ন পরিষদ বা  সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা  অফিসে যোগাযোগ করে আপনার সমস্যাটি জানান এবং সমাধান (ভুল ত্রুটি যা আছে তা সংশোধন) করার চেষ্টা করুন

আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ডের নাম্বার দিয়ে সার্চ দিলে যদি অনলাইনে আপনার জন্ম নিবন্ধন তথ্য খুঁজে পাওয়া না যায়, প্রথমে আপনাকে এর কারণ খুজে বের করতে হবে।

যদি আপনি নিশ্চিত হয়ে যান যে আপনার নিবন্ধন তথ্য অনলাইন ডাটাবেইজে নেই তখন আপনাকে অবশ্যই নতুনভাবে জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। তাছাড়া অন্য কোন উপায় নেই।

হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধনের তথ্য যদি অনলাইন ডাটাবেইজে পাওয়া না যায়, আপনাকে প্রথমেই নিশ্চিত থাকতে হবে যে, আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি ১৭ ডিজিট এবং প্রথম ৪ ডিজিট আপনার জন্ম সাল।

নিবন্ধন নম্বরটি সঠিক হওয়া স্বত্ত্বেও নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে পাওয়া না গেলে,আপনাকে নতুনভাবে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে হবে।

  • আপনি কি জানেন পুরাতন ও হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৬ ডিজিটের হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ১৬ ডিজিটের নম্বরটি ১৭ ডিজিট করতে হবে।
  • আপনি কি জানেন যদি আপনার জন্ম ২০০১ সাল বা তার পর হয়, আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদনের জন্য আপনার পিতা ও মাতার জন্ম নিবন্ধন অবশ্যই অনলাইনে থাকতে হবে।
  • কারণ সেক্ষেত্রে তাঁদের নিবন্ধন নম্বর আবেদন দিতে হবে এবং তাঁদের নিবন্ধন অনুসারেই তাঁদের নাম আপনার আবেদনে স্বয়ংক্রীয়ভাবে যুক্ত হবে।
  • তাই  এ ক্ষেত্রে আপনার আবেদনের পূর্বে  তাদের টা  যাচাই করে নিন আপনার বাবা মায়ের নিবন্ধন অনলাইন করা আছে কিনা। জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আছে কিনা যাচাই করুন- জন্ম নিবন্ধন যাচাই সাইট থেকে…
  • আপনি কি জানেন আপনার জন্ম ২০০০ সন বা তার পূর্বে হয়ে থাকে, আপনার বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন থাকা বাধ্যতামূলক নয়। এক্ষেত্রে আবেদনের সময় পিতা-মাতার নাম লিখে দিতে পারবেন।

আরো পড়ুন ;-অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি করার নিয়ম, আবেদন ও যাচাইকরণ

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

অনলাইনে বলতেই যে পুরো কাজ ঘরে বসে অনলাইনে হয়ে যাবে এমনটা না। এটা অনলাইন ও অফলাইনের মিশ্রণ। তবে আপনার হয়ে কেউ আবেদন জমা দিয়ে আসতে পারবে। একটা ই-মেইল ও মোবাইল নাম্বার লাগবে।

এখানে দুইটি ধাপ।

  1. প্রথম ধাপে অনলাইনে আবেদন করবেন।
  2. এরপর এই আবেদন প্রিন্ট করাতে হবে। এখন এই প্রিন্টেড আবেদন, সংযোজনীসহ উপরোক্ত স্থানে জমা দিতে হবে।
  3. প্রথমে আপনাকে https://bdris.gov.bd/br/reprint/addhttps://bdris.gov.bd/br/reprint/add ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তাই যে কোন ডিভাইস থেকে আপনারা ক্রোম ব্রাউজার থেকে উপর্যুক্ত সাইটে চলে যান। তারপর জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার জন্য যে আবেদন করবেন সে আবেদনের প্রথম পেজে চলে যাবেন।
  4. সেখানে গিয়ে আপনাদের প্রথমে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের থাকা নিবন্ধন নাম্বার প্রথম ঘরে বসিয়ে দিবেন। তারপরে জন্ম নিবন্ধন সনদের থাকা তথ্য অনুযায়ী জন্ম তারিখ সঠিকভাবে বসিয়ে দিবেন।
  5. জন্মতারিখ বসানোর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম এর জন্ম মাস সিলেক্ট করবেন এবং তারিখ সিলেক্ট করবেন। তারপরে এডিট অপশনে গিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের যে সাল দেওয়া আছে সেই সাল সঠিকভাবে দিয়ে দিন। এখন আপনাকে আপনার এই জন্ম নিবন্ধন সনদ এর নাম্বার এবং তারিখ অনুসন্ধান করুন অপশনে চাপ দিতে হবে এবং সেখানে অনুসন্ধান করার পরে আপনার তথ্য অনুযায়ী নিবন্ধনকারী ব্যক্তির তথ্য প্রদর্শিত হবে। আপনার চাওয়া তথ্য অনুসারে যদি সেখানকার তথ্য মিলে যায় তাহলে আপনাদেরকে কনফার্ম করতে হবে। এখন পরবর্তী পেজে চলে যান এবং পরবর্তী ধাপ অনুসরন করুন।
  6. পরবর্তী অপশনে ক্লিক করার মাধ্যমে পরবর্তী পেজে চলে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে নিবন্ধন কার্যালয় এর তথ্য প্রদান করবেন। অর্থাৎ আপনি যে স্থান থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদের ডিজিটাল কপি সংগ্রহ করবেন সেই স্থানের ঠিকানা এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য অনুযায়ী সঠিক ঠিকানা প্রদান করুন। প্রকৃতপক্ষে আপনি জন্ম নিবন্ধন সনদ যে স্থানের ঠিকানা দিয়ে তৈরি করেছেন সেই স্থানের ঠিকানা আপনাকে এখানে প্রদান করতে হবে। তবে আপনার বর্তমান ঠিকানা যদি অন্য কারো হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন সনদের ডিজিটাল কপি সংগ্রহ করার জন্য অবশ্যই সনদে দেওয়া ঠিকানায় অনুসারে নিবন্ধন কার্যালয় এর কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
  7. তাই নিবন্ধন কার্যালয় এর তথ্য প্রদান করার ক্ষেত্রে দেশের নাম, বিভাগের নাম, জেলার নাম সহ অন্যান্য স্থানীয় যাবতীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। এখানে আপনারা প্রত্যেকটি তথ্য প্রদান করার পর পরবর্তীতে আপনাদের সামনে আরো একটি ঘর ফাঁকা চলে আসবে এবং চাহিত তথ্য অনুসারে সঠিক তথ্য প্রদান করবেন।
  8. জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার জন্য আপনারা যদি নিজেরা জন্ম নিবন্ধন সনদের পুনর্মুদ্রণ এর উদ্দেশ্যে আবেদন করে থাকেন তাহলে আবেদনকারীর তথ্য বা সম্পর্কের জায়গায় নিজ অপশন দিয়ে দিবেন। তবে অনেক মানুষ আছেন যারা এই নিয়ম পড়ার পরেও কম্পিউটার অপারেটরের সহায়তা গ্রহণ করবেন। সেক্ষেত্রে তাকে দিয়ে কাজ করাতে চাইলে আপনারা অন্যান্য অপশন দিবেন এবং মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস প্রদান করার সময় নিজের তথ্য প্রদান করবেন। এভাবে আবেদনকারীর সকল তথ্য এবং ঠিকানা প্রদান করার পর আপনারা একটু নিচে চলে যাবেন।
  9. এখন আপনাদেরকে সেখানকার নির্দেশনা পড়তে হবে এবং অভিভাবক ব্যতীত অন্য কেউ হলে সেখানে তার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার প্রদান করতে হবে। সেখানের সকল তথ্য প্রদান করার পরে আপনাদের অতিরিক্ত আরও কোন তথ্য প্রদান করার প্রয়োজন নেই। শুধু সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আপনারা পরবর্তী পেজে যাবেন এবং পরবর্তী পেজে যাবার পরে জন্ম নিবন্ধন সনদের পুনর্মুদ্রণ কপি প্রিন্ট দেওয়ার অপশন পেয়ে যাবেন।
  10. আপনার এই আবেদনের কপি প্রিন্ট দিয়ে নিবেন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ অথবা নিবন্ধকের কার্যালয় যোগাযোগ করবেন। তাদের আপনারা যখন এই আবেদন পত্রের কপি দিবেন এবং অন্যান্য চাহিদা তথ্য অনুসারে কাগজ পত্র প্রদান করবেন তখন আপনার থেকে কিছুদিন সময় তারা গ্রহণ করবে। তবে জন্ম নিবন্ধন সনদের পুনর্মুদ্রণ করার জন্য কোন ধরনের ফি প্রদান করতে হবে না। তাই আপনারা উপরের লিখিত নিয়ম অনুসরণ করে আবেদনপত্রের অ্যাপ্লিকেশন আইডি সংগ্রহ করার পাশাপাশি সেই কপি প্রিন্ট দিয়ে নিবেন এবং খুব সীমিত সময়ের ভেতরে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদের ডিজিটাল কপি সংগ্রহ করে নিবেন।
  11. প্রকৃতপক্ষে জন্ম নিবন্ধন সনদ এর নতুন তৈরি করার জন্য এবং তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফি প্রদান করার প্রয়োজন হলেও পুনর্মুদ্রণ করার জন্য কোন ধরনের আবেদন ফি প্রদান করতে হবে না। তাছাড়া আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের পুনর্মুদ্রণ করার ক্ষেত্রে আবেদনের পরবর্তী কি অবস্থায় রয়েছে তা ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন। তাই এই আবেদনের কি অবস্থায় রয়েছে তা জানার জন্য অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং জন্ম নিবন্ধন সনদের থাকা জন্মতারিখ ব্যবহার করে আপনারা আবেদন এর বর্তমান অবস্থা চেক করে নিন।
  12. জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত এখন অনেক ঝামেলা হচ্ছে বলে নতুন কোন জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে হলে অবশ্যই অভিভাবকের জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী তা তৈরি করবেন। তবে অনলাইনের মাধ্যমে এই কাজ করা হচ্ছে বলে এবং নির্ধারিত পরিমাণ আবেদন ফি প্রদান করার মাধ্যমে এই কাজ করা হচ্ছে বলে কাউকে আপনারা অধিক অর্থ প্রদান করে দ্রুত এই কাজ করে নেওয়ার জন্য কোন ধরনের সুবিধা গ্রহণ করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে এবং আপনারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

লিখেছেন: রাকিব খান

1 thought on “নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ও পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম”

Leave a Comment