ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?

একটি প্রতিষ্ঠান উদ্দেশ্য অর্জনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য যেসব কার্যাবলি সম্পাদন করে সেগুলোকে একত্রে ব্যবস্থাপনা বলে

প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ, বস্তুগত সম্পদ, আর্থিক সম্পদ ও তথ্য সম্পদ হলো একটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সম্পদ। আর এ সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা, সংগঠন, কর্মসংস্থান, নির্দেশনা ও নেতৃত্বদান, সমন্বয় সাধন, প্রেরণা এবং নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।

ব্যবস্থাপনা বিশারদগণ ব্যবস্থাপনাকে বিভিন্নভাবে ব্যাখা করেছেন। এবার আসুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।

আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক হেনরি ফেয়ল (Henri Fayol) ম্যানেজমেন্ট কাকে বলে? এর উত্তরে বলেন, “ব্যবস্থাপনা হলো পূর্বানুমান ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করা, সংগঠিত করা, নির্দেশ প্রদান, সমন্বয় সাধন ও নিয়ন্ত্রণ।”

জর্জ আর, টেরি (George R. Terry) ব্যবস্থাপনা কাকে বলে? এর উত্তরে বলেছেন, “ব্যবস্থাপনা হলো এমন একটি স্বতন্ত্র সামাজিক প্রক্রিয়া যা মানুষ ও সম্পদসমূহের সুষ্ঠু ব্যবহারের লক্ষ্যে উদ্দেশ্য নির্ধারণ ও তা অর্জনের নিমিত্তে পরিকল্পনা, সংগঠন ও নিয়ন্ত্রণ কাজের সাথে সম্পৃক্ত।”

বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?

বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা হলো কাজের বৈজ্ঞানিক অধ্যয়ন এবং কাজকে এর ক্ষুদ্রতম কারিগরী উপাদানসমূহে বিভক্তিকরণ এবং তারপর তাদের সবচেয়ে দক্ষ সমাবেশে পুনর্বিন্যাসকরণ।

কাজসমূহের পরিকল্পনা এবং কর্মীদের পর্যবেক্ষণের একটি প্রস্তাবনা যা শ্রমবিভাজন, কর্মীদের ইচ্ছা মতো কাজ করার স্বাধীনতার অপসারণ এবং দক্ষ কাজের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিষদ যে পরিবর্তনসমূহ আনা জরুরী মনে করেন, এই বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তাকে বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা বলে।

গৃহ ব্যাবস্থাপনাঃ

পরিবারের লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য বিভিন্ন সম্পদ ব্যবহারে পরিকল্পনা, সংগঠন  নিয়ন্ত্রন ও মূল্যায়ন করাকে এক কথায় গৃহ ব্যবস্থাপনা বলে।

গৃহ ব্যবস্থাপনা কতকগুলো ধাপের কর্মপদ্ধতি যেটি কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয় । গৃহ ব্যবস্থাপনা গৃহের সব কর্মকান্ডকে সচল রাখে।

পরিকল্পনা-

গৃহ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির প্রথম ধাপ পরিকল্পনা করা। যে কোনো কাজ করতে হলে আগে কাজটি কেন করা হবে, কিভাবে করা হবে, কে বা কারা করবে ইত্যাদি সম্বন্ধে ভাবনাচিন্তা করার নামই পরিকল্পনা। পরিকল্পনা করে নিলে কোন কাজ কখন করা হবে তা সহজেই বোঝা যায়।

মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা

মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা
প্রতিষ্ঠানে নিয়ােজিত কর্মী তথা মানব সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে
ব্যবস্থাপনার যে অংশ কাজ করে তা মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা হিসেবে
পরিচিত। এটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ, তাদের সংগ্রহ, নির্বাচন ও
নিয়ােগ, উন্নয়ন, কর্মীদের কাজে উদ্ধুদ্ধকরণ ও রক্ষণাবেক্ষণের সাথে
সম্পর্কিত। মানব সম্পদ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের চালিকাশক্তি। তাই
প্রতিষ্ঠানের এ সম্পদের বাহাই, নিয়ােগ, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন, বেতন ও
মজুরি প্রদান, প্রেষণা ও সুযোেগ-সুবিধা দান, কর্মীদের অভাব-
অভিযােগ নিরসন, কর্মীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিষয়সমূহ যে
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পাদন করা হয় তাকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা
হিসেবে অভিহিত করা যায়। এটি প্রতিষ্ঠানের করমীদের কর্মসম্পাদন,
পরিচালনা নীতি ও পদ্ধতি, মানবীয় কম্মপ্রচেষ্টার নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণ
এবং উত্তম মানবীয় সম্পর্ক সৃষ্টির প্রয়াসের নীতি ও কর্মসূচির সাথে
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনাকে নানাভাবে সংজ্ঞায়িত
করেছেন। নিম্নে উল্লেখযাোগ্য কয়েকটি সংজ্ঞা প্রদান করা হলো:
David A. Decenzo Robbins-Human Resource Management (HRM) is concerned with
the people dimension in management. It is a
process consisting of the acquisition,development, motivation and maintenance of human resource.” অর্থাৎ, ব্যবস্থাপনায় মানব সম্পর্কিত দিক
হচ্ছে মানবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা। এটি মানব সম্পদের সংগ্রহ, উন্নয়ন,
প্রেষণা ও সংরক্ষণ সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রক্রিয়া

ব্যাংক ব্যবস্থাপনাঃ

ব্যাংক ব্যবসায় উদ্বৃত্ত সঞ্চয় আমানত হিসেবে বা শেয়ার হোল্ডারদের পুঁজি হিসাবে সংগ্রহ করে এবং প্রয়োজন বোধে অন্যান্য উৎস থেকে রূপ গ্রহণ করে তহবিল গঠন করা হয়। এরূপ ওছবিল হতে সংগ্রহ করতে ব্যাংককে সংগ্রহ খরচসহ অন্যান্য আনুসঙ্গিক ব্যয় বহন করতে হয়। সুতরাং ঋণ অথবা অন্যান্য সেবা প্রদান কালে তহবিল খরচ তথা প্রশাসনিক খক বাদ দিয়ে ব্যাংকের লাভ হয় এমনভাবে ব্যাংক তহবিল সংগ্রহ ও বিনিয়োগ করা দক্ষ ও সফল ব্যাংক ব্যবস্থাপনার পূর্বশর্ত।

এরূপ দক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যাংককে উপযুক্ত সাংগঠনিক কাঠামো নির্বাচন করে তার কার্যক্রম পরিচালনা করা আবশ্যক। অন্যান্য কারবারী প্রতিষ্ঠানের মত উপযুক্ত সাংগঠনিক কাঠামোর মত স্বীকৃত ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া যথাঃ পরিকল্পনা সমন্বয়, নিয়ন্ত্রণ, প্রেষণা প্রদান, তথা সময়ে সময়ে গৃহিত পদক্ষেপ ও প্রক্রিয়াসমূহ মূল্যায়ন করে অধিকতর সমন্বয় ও উন্নয়ন করা যেতে পারে। ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কৌশল সমূহ মূলতঃ ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে আরও সংহত ও কার্যকর করে তোলার উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি হয়েছে। অন্য যেকোন কৌশলের মত ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কৌশলের সাফল্যও এর প্রয়োগকারীর যোগ্যতার উপর নির্ভর করে। কৌশলকে যদি নিছক প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মে পরিণত করা হয় তবে সে কৌশলের সৃজনশীলতা ও সাবলীলতা

প্রয়োগ ব্যহত হয়। ব্যাংক ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াকে এখানে আলোচনা ও বোঝার সুবিধার জন্য একটি চক্র হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তবে ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া যে কোন উপাদান থেকেই সূচিত হতে পারে। আদর্শ ব্যবস্থাপনা সবসময় সব কয়টি উপাদানের সমন্বয়েই সৃষ্টি হয়।

শিক্ষ্যা ব্যবস্থাপনাঃ

Massie এর মন্তব্য অনুযায়ী, ভিন্ন পরিকল্পনার কর্মসম্পাদন ক্ষেত্রে, কিছু সম্পাদনা নিয়ন্ত্রণ ক্ষেত্ররক্ষার প্রকৃতিই হলো ব্যবস্থাপনা। শিক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যকারী মাধ্যম রূপে বিভিন্নভাবে ব্যবহার হয়। 
H.  এর মত অনুযায়ী, কোন শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এমন হওয়া উচিত যাতে সকলের নিজেও যোগ্যতা মাধ্যমে সঠিক কার্য সম্পাদন করে। 

শিক্ষা ব্যবস্থাপনার আধুনিক তত্ত্বঃ

আধুনিক যুগে এক ব্যক্তি সঠিক ধ্যান-ধারণা জাগ্রন করা অত্যধিক প্রয়োজন তার চলাফেরা কথাবার্তা পোশাক-পরিচ্ছদ প্রকৃতির ওপর ধ্যান ধারনা গঠন প্রয়োজন। 

  •  শিক্ষা ব্যবস্থাপনার প্রকৃতি :-ব্যবস্থাপনা হল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্ম সার্থকভাবে প্রধান সহযোগী এক কর্মী তার প্রচেষ্টা গড়ে ওঠে এ ব্যবস্থাপনা যা সুষ্ঠুভাবে কর্ম সম্পন্ন হয়। এই ব্যবস্থাপনাকে তিনটি স্তরে ভাগ করা যায় যথা। 
  • কর্মী সম্প্রদায়
  •  কর্মপদ্ধতি পরিকল্পনা
  •  ফলাফল

 আধুনিককালে পরিচালনা বিজ্ঞান যুক্ত তাই শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করা একটি দিক বিশেষভাবে দেখা প্রয়োজন যা হলো শিক্ষার রূপরেখা প্রয়োগ পদ্ধতি তার নীতি এই সকল কিছু প্রয়োগের ফলে বিভিন্ন স্কুল কিংবা কলেজ বিশেষভাবে এক ভূমিকা প্রদান করে এ ভূমিকা শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় যে রূপরেখা সৃষ্টি করে তারা গুরুগম্ভীর আকার নেয়।

  • ভিন্ন বিষয় সূচি সমন্বয়:- ব্যবস্থাপনায় শিক্ষাক্ষেত্র ভিন্ন বিষয় সমন্বয় হলো গাণিতিক সামাজিক বিজ্ঞান ভিত্তিক মনোবিজ্ঞানী অর্থনীতি প্রভৃতি বিষয় সমূহ।
  •  উপাদানের সার্থক সমন্বয়:- উপাদানের সার্থক সমন্বয় দাঁড়ায় বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠে। যেমন মূলধন, কাঁচামাল, শ্রম শক্তি, প্রেষণা, যন্ত্রপাতি,  বাজার ইত্যাদি। 
  •  কর্মকৌশল ও দক্ষতা:- কর্মীদের দক্ষতা ও কর্মকৌশল এর উপর নির্ভর করে ব্যবস্থাপনা অস্থিত্ব অগ্রগতির গড়ে ওঠে। 
  •  সঠিক কর্ম পদ্ধতি অবলম্বন:- একটি সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করার উপর গড়ে ওঠে ব্যবস্থাপনার  কাঠামো কোন কোন লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য যে পন্থা অবলম্বন করা হয় তা সঠিক কর্ম পদ্ধতি অবলম্বন করে এগোতে হয় তাকেই ব্যবস্থাপনা বলে। 
  •  চলমান প্রক্রিয়া:- ব্যবস্থাপনা একটি চলমান প্রক্রিয়া। সময়ের সাথে সাথে ব্যবস্থাপনার নীতি পরিবর্তিত হতে থাকে। এই সকল নীতিগুলো যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় তাহলেই গতিশীল প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থাপনা সঠিক মান নির্ণয় হয়। 

 

  •  সমাজের বিভিন্ন প্রক্রিয়াকরণ:- ব্যবস্থাপনা হলো এক সামাজিক প্রক্রিয়া সমাজের বিভিন্ন প্রক্রিয়াকরণ ছাড়া ব্যবস্থাপনা পরিকল্পিত হয় না। 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা হচ্ছে এরূপ একটি ব্যবহারিক বিজ্ঞান যার আওতায় পড়ে- যথাযথ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে দুর্যোগ প্রতিরোধ, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং দুর্যোগের সাড়া দান ও পুনরুদ্ধার ইত্যাদি কার্যক্রম।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান উদ্দেশ্য হলো তিনটিঃ

১। দুর্যোগের সময় জীবন, সম্পদ এবং পরিবেশের যে ক্ষতি হয়ে থাকে তা এড়ানো বা ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করা।

২। প্রয়োজন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্থ জনগণের মধ্যে অল্প সময়ে সকল প্রকার ত্রাণ পৌঁছানো ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা এবং

৩। দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধারের কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করা।

আয় ব্যবস্থাপনাঃ

উপার্জন থেকে, কেউ লাভ বা নেট উল্লেখ করতে পারেআয় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি কোম্পানির, তা এক চতুর্থাংশ বা এক বছরের জন্য। সাধারণত, কোম্পানি এবং সংস্থাগুলি আয়ের ওঠানামা সহজ করতে এবং প্রতি মাস, ত্রৈমাসিক বা এক বছরের জন্য একটি ধ্রুবক মুনাফা প্রদান করতে আয় ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি ব্যবহার করে। কোনো কোম্পানির আয় ও ব্যয়ের ব্যাপক ওঠানামা থাকলে, কোম্পানির কার্যক্রমের জন্য পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হওয়া সত্ত্বেও এটি বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন করতে পারে। এবং তারপরে, বেশিরভাগ সময়, একটি কোম্পানির স্টক মূল্য উপার্জনের ঘোষণার পরে বাড়তে বা কমতে পারে। এটি বিশেষত কোম্পানি বিশ্লশকদের আশা পূরন করে কি না তার উপর ভিত্তি করে।

কর্মী ব্যবস্থাপনা

সাধারণ ব্যবস্থাপনা বিষয়ের যে অংশ প্রতিষ্ঠানের মানবিয় দিক নিয়ে কাজ করে তাকে কর্মী ব্যবস্থাপনা বলে। কর্মক্ষেত্র এবং সত্তার সাথে তাদের সম্পর্কের সাথে সম্পর্কিত এমন দিকনির্দেশনাটি পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট হিসাবে পরিচিত। কর্মী পরিচালনার সুযোগ সীমিত এবং একটি বিপরীতমুখী পদ্ধতির রয়েছে, যেখানে শ্রমিকদের হাতিয়ার হিসাবে দেখা হয়। কর্মীদের ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম কর্মীদের সুযোগ এবং লক্ষ্য, কৌশল, সংস্থার উন্নয়নের শর্তগুলি আনয়ন করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের মানব শক্তির উপর একটি লক্ষ্যযুক্ত প্রভাব।

ম্যানেজমেন্টের মূল লক্ষ্যটি মানব সম্পদগুলির কার্যকরী এবং পরিকল্পিত ব্যবহার, পাশাপাশি সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ার উন্নতির ফলে যাদের তারা সরাসরি প্রভাবিত করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যৌক্তিক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমগুলির মধ্যে একটি হল একটি নিয়ম হিসাবে কর্মীদের ব্যবস্থাপনা, ব্যবস্থাপনাটির ধারণার উপর ভিত্তি করে একটি সাধারণকরণ জমা (বিকল্পভাবে ঘোষিত) প্রতিষ্ঠানের একজন ব্যক্তির স্থান সম্পর্কে। সংগঠনের কর্মীদের ব্যবস্থাপনা ধারণাটির ভিত্তি বর্তমানে কর্মচারীর ব্যক্তিত্বের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা, তার প্রেরণামূলক ইনস্টলেশনের জ্ঞান, তাদের গঠন করার ক্ষমতা এবং প্রতিষ্ঠানের মুখোমুখি হওয়া কাজ অনুসারে সরাসরি কাজ করে।

মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা

সার্বজনীন মৌলিক ব্যবস্থাপনার যে সকল অংশ রয়েছে তাদের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যবহৃত অংশ হলো মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা। সাধারণ অর্থে শিল্প কারখানায় ও অফিসে কর্মরত শ্রমিক কর্মীদের ব্যবস্থাপনাকে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বলে। অন্যভাবে বলা যায় ব্যবস্থাপনার যে অংশ দ্বারা প্রতিষ্ঠানের কর্মরত মানবীয় উপাদান সংক্রান্ত প্রশাসন পরিচালনা করা হয় তাই মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা নামে পরিচিত। পূর্বে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনাকে কর্মী ব্যবস্থাপনা (Personnel management),শ্রম ব্যবস্থাপনা (Labour management),কর্মী প্রশাসন (Personnel adminstration), শিল্প ব্যবস্থাপনা (Industrial management)ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হত। উৎপাদনশীল শিল্প প্রতিষ্ঠান অথবা সেবা পরিবেশনকারী (যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লাব, সংঘ, সমিতি, সরকারি-বেসরকারি অফিস ইত্যাদি) প্রতিষ্ঠানসমূহ দৈনন্দিন কার্যাবলি সম্পাদনে নির্বাহী ও শ্রমিক কর্মী সংগ্রহ ও নির্বাচন, নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, বদলী, পদোন্নতি, অবসরদান ইত্যাদি কার্য সম্পাদন করতে হয়।

আর প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রম শক্তি তথা মানবীয় উপাদান সংক্রান্ত এসকল নানাবিধ কাজের সমষ্টিই হচ্ছে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা। এই শ্রমিক কর্মীই হলো একমাত্র উপাদান যারা সেবা কার্য ও উৎপাদনশীল কাজে সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে ব্যবহৃত হয় এবং এদের উপর প্রতিষ্ঠানের উন্নতি ও অবনতি অনেকটায় নির্ভরশীল।

সাধারণ ব্যবস্থাপনা বিষয়ের যে অংশ প্রতিষ্ঠানের মানবিয় দিক নিয়ে কাজ করে তাকে কর্মী ব্যবস্থাপনা বলে। কর্মী ব্যবস্থাপনা ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-

১। কর্মী ব্যবস্থাপনা মৌলিক ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে সংযোজন হয়ে উনবিংশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত পরিচিতি লাভ করে। একে অনেকটা মধ্যযুগীয় মতবাদ হিসেবে বলা যায়। অন্যদিকে, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কর্মী ব্যবস্থাপনার আধুনিক মতবাদ হিসেবে বিংশ শতাব্দী থেকে আত্মপ্রকাশ ঘটে।

২। কর্মী ব্যবস্থাপনা সংকীর্ণ অর্থে ব্যবহৃত করা হয়। অন্যদিকে, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত করা হয়।

৩। কর্মী ব্যবস্থাপনা কর্মীদের কল্যাণকল্পে মধ্যস্থতাকারী ও সমাধানকারী হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নয় বরং নির্বাহী হিসেবে জনশক্তির সঠিক পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণের করে থাকে।

৪। কর্মী ব্যবস্থাপনা অস্তিত্ব টিকে রাখার জন্য সাংগঠনিক দক্ষতার সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠনের মূল শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠানে জনশক্তির প্রয়োজনীয়তার প্রতি গুরুত্বারোপ করে থাকে।

৫। কর্মী ব্যবস্থাপনা কর্মীদের উৎপাদনের একটি উপকরণ হিসেবে বিবেচনা করে। অন্যদিকে, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় কর্মরত কর্মীদের সম্পদ ও সামাজিক পুঁজি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

৬। কর্মী ব্যবস্থাপনা কর্মীদের আনুগত্যশীল রেখে তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করে। অন্যদিকে, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কর্মীদের ক্ষমতায়ন ও প্রতিশ্রতিবদ্ধতার প্রতি গুরুত্বারোপ করে।

ব্যবস্থাপনার স্তরঃ

আপনাকে জানানোর জন্য বলছি ব্যবস্থাপনার কোন প্রকারভেদ নেই। কিন্তু ব্যবস্থাপনার অনেক কিছু মূলনীতি আচে। তার পাশাপাশি ব্যবস্থাপনার মোট তিনটি স্তর আছে। যেমন-

  1. উচ্চ পর্যায়ের স্তর
  2. মধ্যম পর্যায়ের স্তর এবং
  3. নিম্ন পর্যায়ের স্তর

ব্যাবস্থাপনার গুরুত্বঃ

১. লক্ষ্য অর্জন : কার্যকরী ব্যবস্থাপনা ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাকে একটি সাধারণ দিকনির্দেশনা দেয় এবং একটি প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক লক্ষ্য অর্জনের দিকে নির্দেশনা দেয়।
২. একটি গতিশীল সংস্থা তৈরি করে: ম্যানেজমেন্ট তার কর্মীদের পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করে যাতে সংস্থাটি তার প্রতিযোগিতামূলক প্রান্ত বজায় রাখে। একটি প্রতিষ্ঠান কতটা ভালোভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে এবং পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে পারে তার সাফল্য এবং ব্যর্থতার মধ্যে পার্থক্য বোঝাতে পারে।
৩. দক্ষতা বৃদ্ধি : দক্ষতা খরচ কমায় এবং একটি প্রতিষ্ঠানের কাজের সকল ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়ায়।
৪. ব্যবসার উপকরণাদির উন্নয়ন : ব্যবসা-বাণিজ্যে ছয়টি উপকরণ রয়েছে। এগুলো 6 M নামে পরিচিত। এগুলো যথাক্রমে-
Man (মানুষ)
Material (কাঁচামাল)
Machine (যন্ত্রপাতি)
Money (অর্থ)
Method (পদ্ধতি)
Marketing (বিপনণ)
দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই এই উপকরণাদি সংগৃহীত, একত্রিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়।
৫. মানব ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন: ব্যবস্থাপনার সাহায্যে মানুষের প্রচেষ্টা সমন্বিত হয এবং কাজের উৎসাহ পাওয়া যা। এতে স্বতঃস্ফূর্ত কাজের পরিবেশ সৃষ্ট।

৬.কোনো প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে চলতে গেলে শৃঙ্খলা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সকল কর্মী উপকরণের মধ্যে সমন্বয় সাধন ও ভারসাম্য স্থাপন করা।

৮.প্রতিষ্টানের সমস্ত উপকরণগুলি, শ্রমিককে সঠিকভাবে ব্যবহার করাই হলো একজন ব্যবস্থাপকের দ্বারা দক্ষ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন।

দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের ফলে অধিক পরিমান কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

৯.ব্যবস্থাপনার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে অপচয় রোধ করা। সমস্ত উপকরণ, কর্মী এবং সঠিক পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের অপচয় কম করে। যার ফলে প্রতিষ্ঠানের অপচয় খরচ কম হয় এবং বেশি মুনাফা হবে।

১১.ব্যবস্থাপনা মালিক, শ্রমিক, ক্রেতা বা ভোক্তা এবং বিদেশি উদ্যোক্তাদের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

১২.উত্তম ব্যবস্থাপনা হচ্ছে নেতৃত্বের গভীরতা ও প্রসারতার বহিঃপ্রকাশ। ব্যবস্থাপনা ব্যতীত কোন মতবাদ, দলীয় কার্যাবলী উৎপাদন বৃদ্ধির সহায়ক হয় না।

১১.বিজ্ঞানীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যে জ্ঞান আবিষ্কার করে দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণেই তাকে বাস্তবে রূপদান ও এর সুফল জনগণের দ্বারে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে।

সামাজিক উন্নয়নঃ ব্যবস্থাপনা সমাজে একদল দক্ষ লোক সৃষ্টি করে। এভাবে বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে পৃষ্ঠপোষতা প্রদানকরে সামাজিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

১৫। জীবনযাত্রার মান উন্নয়নঃ মানুষের মাথাপিছু আয় ও ভোগের উপর জীবনযত্রার মান নির্ভর করে। এজন্য কর্মসংস্থান, পনোন্নতি, আর্থিক উন্নয়ন, সুলভে পণ্য বন্টন, উৎপাদন বৃদ্ধি, কমমূল্যে উন্নত মানের পণ্য সরবরাহ ও তা সহজ প্রাপ্তির ব্যবস্থা করে ব্যবস্থাপনা মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

পরিধিঃ


১. ব্যক্তি ও সংগঠনের ভিত্তিতে পরিধি

কোন উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য একদল ঐক্যবদ্ধ লোক থেকে সংগঠনের জন্ম হয়। মুনাফা বা অমুনাফাভিত্তিক উভয় সংগঠনের ক্ষেত্রেই ব্যবস্থাপনা পরিব্যপ্ত। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলোঃ

১ ব্যাক্তি জীবন

যে কোন ব্যক্তির জীবনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সুষ্ঠুভাবে জীবনকে চালাতে বা পরিচালনা করতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যবস্থাপকীয় জ্ঞানের প্রয়োগ অপরিহার্য।

২ পারিবারিক জীবন

একটি পরিবারকে বিশেষ করে যৌথ পরিবারে গৃহকর্তা বা কর্ত্রীকে ব্যবস্থাপনার সর্বজনীন কার্যাবলী প্রয়োগ করতে হয়।

৩ সামাজিক সংগঠনঃবিভিন্ন ধরনের কল্যাণমুখী সামাজিক সংগঠন যেমন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ক্লাব, সমিতি, দাতব্য চিকিৎসালয় ইত্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ব্যবস্থাপনা প্রয়োগ করতে হয়।

৪ রাস্ট্র ও সরকার

যে কোন রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োগ অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। এজন্য প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট বলেছেন, “ভাল ব্যবস্থাপনা ছাড়া একটা ভাল সরকার বালির উপর তৈরী বাড়ির মত।”

৫ ব্যাবসায় সংগঠন

আধুনিক বিশ্বের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসায় সাংগঠনিক কার্যের প্রতিটা স্তরেই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রয়োগ অনস্বীকার্য

  1. কাজের ভিত্তিতে ব্যবস্থাপনার পরিধি :-
    বিখ্যাত ব্যবস্থাপনাবিদ পিটার এফ. ড্রাকারের মতে, নিম্নোক্ত তিন ধরনের কাজ ব্যৱস্থাপনা সম্পাদন করে।

(ক) প্রতিষ্ঠান পরিচালনা

প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অর্থ হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় যাবতীয় কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা। এর মূল উদ্দেশ্য হবে গ্রহণযোগ্য মূল্যে পণ্য ও সেবা পরিবেশন করা এবং সম্ভাব্য সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করা। এ লক্ষ্যে গৃহীত সকল কার্যই ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্ত।

(খ) ব্যবস্থাপকের ব্যবস্থাপনা :-

প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপকীয় কার্যে নিয়োজিত সকল নির্বাহী বা ব্যবস্থাপকদের মধ্যে সমন্বয় সাধন ও ভারসাম্য রক্ষা করা ব্যবস্থাপনার কাজ। এজন্য ব্যবস্থাপনা প্রত্যেক নির্বাহীর জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, নেতৃত্ব, নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদানসহ তাদের কার্যের তদারক ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

(গ) শ্রমিক কর্মী ব্যবস্থাপনা :-

প্রত্যেক শ্রমিক-কর্মীকে একজন মানুষ ও একটি সম্পদ এই দুই দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করতে হয়। তাই দেখা যায় যে, তাদের সাথে উঁচু স্তরের ব্যবস্থাপকগণকে মোট কার্যসময়ের শতকরা ৬০ হতে ৮০ ভাগ সময় আলাপ আলোচনা ও যোগাযোগ সাধনে ব্যয় করতে হয়।

এছাড়া কর্মীদের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, পদোন্নতি, নেতৃত্ব দান, প্রেষণা, কর্মী পরিচালনা, বদলি, বরখান্ত, ছাঁটাই, অবসর গ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণের মত মৌলিক কার্য ব্যবস্থাপনার আওতাধীনকাজের ভিত্তিতে ব্যবস্থাপনার পরিধি :-
বিখ্যাত ব্যবস্থাপনাবিদ পিটার এফ. ড্রাকারের মতে, নিম্নোক্ত তিন ধরনের কাজ ব্যৱস্থাপনা সম্পাদন করে।

(ক) প্রতিষ্ঠান পরিচালনা
প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অর্থ হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় যাবতীয় কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা। এর মূল উদ্দেশ্য হবে গ্রহণযোগ্য মূল্যে পণ্য ও সেবা পরিবেশন করা এবং সম্ভাব্য সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করা। এ লক্ষ্যে গৃহীত সকল কার্যই ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্ত।

(খ) ব্যবস্থাপকের ব্যবস্থাপনা
প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপকীয় কার্যে নিয়োজিত সকল নির্বাহী বা ব্যবস্থাপকদের মধ্যে সমন্বয় সাধন ও ভারসাম্য রক্ষা করা ব্যবস্থাপনার কাজ। এজন্য ব্যবস্থাপনা প্রত্যেক নির্বাহীর জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, নেতৃত্ব, নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদানসহ তাদের কার্যের তদারক ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

(গ) শ্রমিক কর্মী ব্যবস্থাপনা
প্রত্যেক শ্রমিক-কর্মীকে একজন মানুষ ও একটি সম্পদ এই দুই দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করতে হয়। তাই দেখা যায় যে, তাদের সাথে উঁচু স্তরের ব্যবস্থাপকগণকে মোট কার্যসময়ের শতকরা ৬০ হতে ৮০ ভাগ সময় আলাপ আলোচনা ও যোগাযোগ সাধনে ব্যয় করতে হয়।
এছাড়া কর্মীদের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, পদোন্নতি, নেতৃত্ব দান, প্রেষণা, কর্মী পরিচালনা, বদলি, বরখান্ত, ছাঁটাই, অবসর গ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণের মত মৌলিক কার্য ব্যবস্থাপনার আওতাধীন

Leave a Comment