সমাজকর্ম কাকে বলে?

সমাজকর্ম ও সমাজকল্যাণ ২টি ভিন্ন প্রত্যয়। কিন্তু আমারা সবাই সমাজকর্ম ও সমাজকল্যাণ একই ভাবি। আসলে সমাজকর্ম একটি অনুশীলনভিত্তক কার্যক্রম।

আজ সমাজকর্ম কাকে বলে ও এর বিস্তারিত সম্পর্কে লিখবো।

সমাজকর্ম কি?

সমাজকর্ম শব্দ বা এর এর জনক কে তা জানা যায়নি। কিন্তু W.F.Friedlander সমাজকর্মের সর্বপ্রথম এর ধারনা বা সংজ্ঞা দিয়েছেন বলে ধারনা করা হয় তিনি বলেনঃ- “Social Work is a professional service based upon scientific knowledge and skills in human relations which assists individuals , alone or in groups , to obtain social and personal satisfaction and independence”

সমাজকর্ম একটি সাহায্যকারি পেশা যা সমাজের দুঃস্থ, অসহায়, গরিব লোকদের সাহায্যকারি পেশা হিসেবে পরিচিত। সমাজকর্ম শুধু সমাজের অসহায় লোকদের সাহায্য করে না অধিকন্তু তারা যাতে সাবলম্ভি হতে পারে সেই দিক লক্ষ্য রেখে তাদের
কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

সমাজকর্মের বৈশিষ্ট্য

নিম্নে বাংলাদেশের সমাজকর্মের বৈশিষ্ট্য গুলো তুলে ধরা হলোঃ

  • ১।জনগণের মৌল মানবিক চাহিদা পূরণ করা।
  • ২। দারিদ্র্য বিমোচন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন।
  • ৩। এতিম, অসহায় ও দরিদ্র শিশুদের কল্যাণ সাধন করা।
  • ৪। অপরাধ সংশোধন।
  • ৫। গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন সাধন।
  • ৬। মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধন করা।
  • ৭। অসহায় জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন সাধনে সম্পদশালী জনগোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধ করা।
  • ৮। প্রতিবন্ধীদের কল্যাণ সাধন করা।
  • ৯। রোগীদের কল্যাণ করা।
  • ১০। পতিতাবৃত্তি প্রতিরোধ করা।
  • ১১। দক্ষ সমাজকর্মী তৈরি করা।
  • ১২। সচেতন করে তোলা
  • ১৩। সামাজিক সমস্যাগুলোর প্রতিকার ও প্রতিরোধ করা।
  • ১৪। সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধন করা।
  • ১৫। পরিবর্তিত আর্থসামাজিক অবস্থার সাথে মানুষকে যথাযথভাবে খাপখাওয়াতে সাহায্য করা।
  • ১৬। পরিকল্পিত সামাজিক পরিবর্তন আনয়ন।
  • ১৭। জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।
  • ১৮। জনগণকে সংগঠিত করা।

বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করাই সমাজকর্মের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সমাজকর্ম বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান এবং উন্নয়নমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে যাচ্ছে

সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

সমাজকর্মের বিভিন্ন সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করলে যে সকল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে তা নিয়ে আলোচনা করা হলো:

১. সামাজিক কুসংস্কার দূরীকরণ : সকল সমাজেই কুসংস্কার সমাজ উন্নয়নের পথে বাধাস্বরুপ । ব্যাপক জনমত তৈরি, সামাজিক আন্দোলন সৃ্কি, আইন প্রণয়ন প্রভৃতির মাধ্যমে সমাজসংস্কার করা হয়। সমাজকর্ম এ লক্ষ্যে কাজ করে থাকে। এটি এর গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যের মধ্যে একটি।

২. প্রয়োজনীয় সম্পদের ব্যবস্থা : সম্পদ বলতে বস্তুগত ও অবস্তুগত দু’ধরনের সম্পদকেই বুঝায় । সমাজকর্ম বিশ্বাস করে যে, সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য সম্পদ. অপরিহার্য । তাই সামাজিক সমস্যা সমাধানে সম্পদ সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা সমাজকর্মের অন্যতম লক্ষ্য ।

৩. জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা : যে কোন সমস্যার সমাধানের জন্য সমস্যাগরস্ত জনগণের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।কারণ সংগঠিত জনগণই শত্তি। জনগণের অংশগ্রহণ ব্যতিরেকে সামাজিক সমস্যার সমাধান অসম্ভব । আধুনিক সমাজকর্ম তাই সমস্টিগত অংশগ্রহণকে গুরুত্ব প্রদান করে থাকে। এটি তার গুরুতুপূর্ণ লক্ষ্য ।

৪. মানবসম্পদের উন্নয়ন : মানবসম্পদের উন্নয়ন মানে সমাজের উন্নয়ন। মানুষকে সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করার নীতিতে সমাজকর্ম বিশ্বাস করে। দল, মত, নির্বিশেষে সমাজের সকল মানুষের উন্নয়নের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা আধুনিক সমাজকর্মের অন্যতম লক্ষ্য।

৫. সমন্বয় সাধন : সকল সরকারি ও বেসরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে সমাজের সর্বাধিক কল্যাণ করা সম্ভব। কারণ সমন্বয়হীন কাজের মাধ্যমে সুফল আশা করা যায় না। সমাজের মঙ্গলে নিয়োজিত সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা সমাজকর্মের অন্যতম লক্ষ্য

৬. জাতীয় উন্নয়ন: জাতীয় উন্নয়ন বলতে সম দেশের উন্নয়নকে বুঝানো হয়েছে। এখানে বিশেষ ব্যক্তি বা কোন অঞ্চলের উন্নয়নকে আনা যাবে না। সমাজের সকল শ্রেণীর উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নকে তরান্বিত করা আধুনিক সমাজকর্মের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।

৭. পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন : মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটলে অনেক সমস্যারই সমাধান সম্ভব হয়। সমাজকর্ম চায় সমাজে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশ বজায় থাকুক। তাই কিভাবে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের বিস্তৃতি ঘটানো যায় সেই লক্ষ্যে সমাজকর্ম কাজ করে থাকে।

৮. সমস্যার বৈজ্ঞানিক সমাধান : সমাজের প্রকৃত কল্যাণের জন্য সমস্যার স্থায়ী সমাধান অত্যাবশ্যক। স্থায়ী সমাধান তখনি সম্ভব যখন সমস্যাকে বৈজ্ঞানিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। সমস্যার বিজ্ঞানসম্মত তথা স্থায়ী সমাধানের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়ন সাধন সমাজকর্মের লক্ষ্য।

৯. ব্যক্তিত্বের বিকাশ : সুপ্ত ক্ষমতার বিকাশের মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রস্ফুটিত হয়। ব্যক্তিত্ব বিকশিত হলে ব্যক্তি নিজেই তার নিজের সমস্যা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। মানুষের প্রতিভার বিকাশের মাধ্যমে ব্যন্তি প্রতিষ্ঠিত করা সমাজকর্মের একটি লক্ষ্য ।

১০. ব্যক্তিস্বাধীনতা অর্জন: সমাজকর্ম ব্যত্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাসী । মানুষের উপর কোন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার নীতিতে বিশ্বাস করে না। মানুষকে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করে সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা কায়েম করা সমাজকর্মের আরেকটি লক্ষ্য ।

১১. ন্যায়বিচার কায়েম করা : সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সমাজকর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।মানবাধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা ও শোষণ নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে সামাজিক ন্যায়বিচার কায়েমের লক্ষ্যে সমাজকর্ম কাজ করে থাকে।

১২. অধিকার ও দায়িতু সম্পর্কে সজাগ করা : অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে জাগ্রত না থাকলে আমরা তাকে বলি, অসচেতন মানুষ। যারা সচেতন নয় তাদের পক্ষে সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সমাজকর্মের লক্ষ্য হচ্ছে মানুষকে তার কর্তব্য ও অধিকার সম্বন্ধে জাগ্রত করে তোলা ।

১৩. দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন সাধন : সমাজকর্ম চায় মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি হোক আধুনিক। সনাতন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আধুনিক সমাজকর্মের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনে মানুষের মানসিকতা বিজ্ঞানভিত্তিক এ লক্ষ্যে সমাজকর্মের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

সমাজকর্মের পরিধি

সর্বপ্রথম সমাজকর্মের সূচনা হয় ইংল্যান্ডে। তবে পূর্ণাঙ্গ বিকাশ ঘটে আমেরিকাতে।  

সমাজকর্মের পরিধি বলতে মূলত এর ব্যবহারিক দিক এর ক্ষেত্র বা প্রয়োগক্ষেত্র বা প্রয়োগ উপযোগিতা কে বোঝায় সমাজকর্ম সমাজের সকল শ্রেণীর জনগণের সামাজিক সমস্যা মোকাবিলা পূর্বক তাদের অর্থ সামাজিক উন্নয়নের সম্ভাব্য ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রচেষ্টা চালায়। এই দৃষ্টিকোণ থেকে গোটা সমাজেরই সমাজকর্মের পরিধি বা ক্ষেত্রের আওতাভুক্ত।

সমাজকর্ম এমন এক ব্যাবহারিক সামাজিক বিজ্ঞান ; যা সংগঠিত , সুশৃঙ্খল , বৈজ্ঞানিক ও প্রক্রিয়াভিত্তিক উপায়ে সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ প্রয়াসী । সমাজকর্ম ব্যক্তি , পরিবার , দল ও সমষ্টির ব্যক্তিগত , পারিবারিক , সামাজিক , অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক বহুমুখী সমস্যার সমাধান এবং উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা বিধান করতে চায় । সমাজকর্ম বলতে এখন আর কেবল আর্ত – অসহায়ের কল্যাণ সাধন কিংবা দরিদ্র শ্রেণির মৌলিক প্রয়োজন পূরণের সরকারি কিংবা বেসরকারি আর্থিক সহায়তাভিত্তিক কার্যাবলিকে বোঝায় না । শিল্পায়ন ও নগরায়ণজনিত কারণে মানুষের জীবনমান যত উন্নত হয়েছে ব্যক্তি , পরিবার ও সমাজের সমস্যার মাত্রাও তত ব্যাপক ও বিস্তৃত আকার ধারণ করেছে । মূলত এ ধরনের সমস্যার সমাধান এবং জীবনমান উন্নয়নের মহৎ লক্ষ্যেই ক্রমবিবর্তনের ধারায় সমাজকর্মের উদ্ভব ঘটেছে । তাই সমাজকর্মের পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত । নিম্নে সমাজকর্মের পরিধি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

১. সামাজিক নীতি ও পরিকল্পনা : সমাজকর্মের লক্ষ্য অর্জনের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে সামাজিক নীতি যার বাস্তবায়ন হয় পরিকল্পনার মাধ্যমে । সুতরাং সমাজকর্মের অন্যতম ক্ষেত্র হচ্ছে সামাজিক নীতি ও পরিকল্পনা ।

২. সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি : সামাজিক নীতিকে জনগণের সেবা উপযোগী করে তোলার জন্য বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় । যেমন— শিশুকল্যাণ , যুবকল্যাণ , নারীকল্যাণ , স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি । এ সমস্ত কর্মসূচির সুষ্ঠু ও কার্যকরী বাস্তবায়নে আধুনিক কৌশল অভিজ্ঞ সমাজকর্মীগণ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে । আন্তর্জাতিক ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে বর্তমানে সমাজকর্মীদের পেশাগত জ্ঞানের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে।

৩. আর্থ – সামাজিক উন্নয়ন : সমাজকর্ম সার্বিক উন্নয়ন ব্যবস্থা হিসেবে সমষ্টি উন্নয়ন পদ্ধতির সাহায্যে যেকোনো সমষ্টির আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যবহৃত হচ্ছে।

৪. গ্রামীণ ও শহর সমাজসেবা : শিল্পায়ন ও নগরায়ণ এবং সামাজিক ব্যাপক পরিবর্তনের ফলশ্রুতিতে গ্রাম এলাকায় নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি দ্বারা গ্রামীণ জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়।

৫. সামাজিক সমস্যার প্রতিকার ও প্রতিরোধ: সমাজকর্ম বিশেষজ্ঞগণ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সামাজিক সমস্যার কারণ ও প্রকৃতি নির্ণয়ের দ্বারা সেগুলোর কার্যকরী সমাধান ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।

৬. সমাজিক আইন প্রণয়ন: সমাজকর্ম ব্যবস্থায় সামাজিক কার্যক্রম পদ্ধতির দ্বারা সমাজসংস্কার ও সামাজিক আইন প্রণয়নের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয় । আমেরিকা এবং ব্রিটেনের সমাজকল্যাণ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন সমাজসংস্কারমূলক কর্মকাণ্ড এবং সামাজিক আইন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

৭. পারিবারিক সেবা : সমাজকর্ম ব্যবস্থায় বিভিন্ন পরিবার কল্যাণ কর্মসূচির মাধ্যমে পারিবারিক বহুমুখী সমস্যা সমাধান ও উন্নয়নে সহায়তা করা হয়। বিবাহ পরামর্শকগণ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

৮. স্বাস্থ্যসেবা : বিভিন্ন ধরনের শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক শিক্ষাদান ক্ষেত্রে বর্তমানে সমাজকর্ম ব্যবস্থার ব্যাপক প্রয়োগ হচ্ছে । এছাড়া শারীরিক রোগ সংশ্লিষ্ট আর্থ – সামাজিক ও মানসিক সমস্যা দূরীকরণে সমাজকর্মীগণ বিশেষ অবদান রাখছে।

৯. মানসিক স্বাস্থ্য : এ ধরনের সমস্যার প্রতিকার ও প্রতিরোধে সমাজকর্ম মানসিক স্বাস্থ্য কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকে । এ ধরনের কর্মসূচির অধিক ফলপ্রসূতায় মনোচিকিৎসা সমাজকর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

১০. শারীরিক প্রতিবন্ধী কর্মসূচি : অন্ধ , মূক – বধির ও অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধী কর্মসূচি পরিচালিত হয়ে থাকে । যার মধ্যে অন্ধ স্কুল , মূক – বধির স্কুল , শারীরিক বিকলাঙ্গ প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচি অন্যতম । সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিশেষজ্ঞ সমাজকর্মীগণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

১১. অপরাধ : বয়স্ক অপরাধী এবং কিশোর অপরাধীদের যে বিশেষ প্রক্রিয়ায় উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে আত্মত্মসংশোধনের দ্বারা অপরাধ মুক্ত করে গড়ে তোলা হয় সেই বিশেষ প্রক্রিয়াকে সংশোধনমূলক কার্যক্রম বলে । সংশোধনমূলক কর্মসূচির উপকর্মসূচি হিসেবে প্রবেশন , প্যারোল , মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েদিদের পুনর্বাসন , ব্রস্টাল স্কুল প্রভৃতি ব্যবহার হয়ে থাকে । এই কর্মসূচি ব্যক্তি উদ্যোগে শুরু হলেও পরবর্তীতে পেশাদার সমাজকর্মে আরও বৈজ্ঞানিক উপায়ে ব্যবহার হয়।

১২. সামাজিক গবেষণা : সামাজিক আন্তঃক্রিয়া ও সামাজিক সমস্যা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের বৈজ্ঞানিক ও পদ্ধতিগত অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে সামাজিক গবেষণা বলে

সমাজকর্মের গুরুত্ব

 সমাজ ও সমস্যা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন, সমস্যার বৈজ্ঞানিক সমাধান, বাঞ্চিত ও পরিকল্পিত পরিবেশ সৃষ্টি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, স্বাবলম্বন প্রভৃতির মাধ্যমে সার্বজনীন ও সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণে সমাজকর্মের গুরুত্ব অনন্য ও অপরিসীম।

Leave a Comment