প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের আলোচনায় আপনাকে স্বাগতম। সবার কথা চিন্তা করে এই পোস্ট করা হয়েছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য উপাত্ত কাকে বলে? উপাত্ত কত প্রকার? জানা আবশ্যক। আপনি যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান, তাহলে খুব সহজেই আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে বিস্তারিত তথ্য এখানে তুলে ধরেছি। আশা করছি এটি আপনাকে খুব ভালোভাবে সাহায্য করবে। তাই অবশ্যই আর্টিকেল টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
উপাত্ত কাকে বলে?
পরিসংখ্যানে গণনা কিংবা পরিমাপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যকেই বলা হয় data বা উপাত্ত। উপাত্তই হল পরিসংখ্যানের মূল উপজীব্য বিষয়। সংখ্যার সাহায্যে তথ্যের উপস্থাপন করাকে বলা হয় পরিসংখ্যান; আর পরিসংখ্যানে ব্যবহৃত সেই তথ্য নির্দেশক সংখ্যাগুলোই হল উপাত্ত বা ডাটা।
যেমন –
#২ জন শিক্ষার্থী কামাল এবং জাহিদ; কামাল জাহিদের চেয়ে দ্রুত দৌড়াতে পারে – এটি উপাত্ত নয়; কেননা এই তথ্যটি তুলনাকে নির্দেশ করতে পারলে গুণকে ও পরিমাণকে নির্দেশ করতে
ডাটা হল একটি পরিসেট বা সমষ্টি যা সংখ্যা, লেখা, ছবি, ভিডিও, অডিও ইত্যাদির রূপে উপস্থাপিত হতে পারে। ডাটা সম্পর্কে তথ্য বা সংজ্ঞা হল যা এটি উপস্থাপন করতে ব্যবহৃত হয়।
উপাত্ত এবং ডাটা উভয়ই গণিতে ব্যবহৃত হতে পারে এবং এদের ব্যবহার জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায়।
বিন্যস্ত উপাত্ত কাকে বলে?
উত্তর : উপাত্তগুলোকে ক্রম বা শ্রেণি অনুযায়ী সাজিয়ে প্রকাশ করাকে বিন্যস্ত উপাত্ত বলে।
অবিন্যস্ত উপাত্ত কাকে বলে?
উত্তর : যে উপাত্তগুলো কোনো বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সাজানো থাকে না তাকে অবিন্যস্ত উপাত্ত বলে।
আরো জানুন ;- প্রতীক কাকে বলে? প্রতীক কত প্রকার ও কী কী?
উপাত্তের প্রকারভেদঃ
প্রাথমিক বা প্রত্যক্ষ উপাত্তঃ
উপাত্ত যদি উৎস থেকে সরাসরি সংগৃহীত হয়, তবে সেসব উপাত্তকে প্রাথমিক বা প্রত্যক্ষ উপাত্ত বলা হয়। এধরণের উপাত্ত ব্যবহার করা হলে গবেষণা বা পরিসংখ্যানের প্রাপ্ত ফলাফলের নির্ভরযোগ্যতা বেশি থাকে।
যেমন – বার্ষিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত ফলাফল এর উপাত্ত
মাধ্যমিক বা পরোক্ষ উপাত্তঃ
পরোক্ষ উৎস থেকে সংগৃহীত উপাত্ত সমূহকে মাধ্যমিক উপাত্ত বলে। যেমন পৃথিবীর কয়েকটি বড় শহরের জানুয়ারী মাসের তাপমাত্রা আমাদের প্রয়োজন। যেভাবে গণিতের প্রাপ্ত নম্বরগুলো সংগ্রহ করেছি সেভাবে তাপমাত্রার জন্য আমাদের সংগ্রহ করা সম্ভব নয়।
এক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানের সংগৃহীত উপাত্ত আমরা আমাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারি। আর এটি হবে মাধ্যমিক উপাত্ত। এভাবে সংগৃহীত উপাত্তের নির্ভর যোগ্যতা অনেক কম হয়ে থাকে।
উপাত্তের বৈশিষ্ট্যঃ
উপাত্তের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে উপাত্তকে সাধারণত দুভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
গুণবাচক উপাত্তঃ
কোনো অনুসন্ধ্যানে গবেষণাকারী কোনো বস্তু বা ব্যক্তির বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্যকে আছে বা নেই দ্বারা চিহ্নিত করে।
ঐ বৈশিষ্ট্য কত ব্যক্তি বা বস্তুর মধ্যে আছে বা নেই নির্ণয় করলে যা পাওয়া যায় তাকেই গুণবাচক বলা হয়।
কোনো কৃষিবিদ ক্ষেতের পোকা-মাকড় মারার জন্য ঔষধ ছিটিয়েছেন এবং লক্ষ্য করেছেন ঐ ঔষধ কার্যকরী কি-না। এক্ষেত্রে কার্যকর বা কার্যকর নয়, এমন উপাত্তকে গুণবাচক বলে।
আবার কোন অনুসন্ধ্যানে যদি জানতে চাওয়া হয় যে কত লোকের চুল সাদা বা কতজনের অন্য রঙের চুল আছে এ সমস্ত ক্ষেত্রে যা পাওয়া যায় সেগুলোকে বলা হয় গুণবাচক উপাত্ত।
পরিমাণবাচক উপাত্তঃ
যখন কোনো গবেষক কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর বৈশিষ্ট্যকে পরিমাণগতভাবে পরিমাপ করে তখন সে উপাত্তকে পরিমাণবাচক উপাত্ত বলে।
উদাহরণস্বরূপ, বিভিন্ন লোকের বয়স।
আয়।
পারিবারিক জরিপে পরিবারের লোক সংখ্যা।
আবাদী জমির পরিমাণ।
গৃহপালিত পশুর পরিমাণ।
উৎপন্ন ফসলের পরিমাণ ইত্যাদি পরিমাপযোগ্য উপাত্তকে পরিমাণবাচক উপাত্ত বলে।
উপাত্ত ২ ধরণেরঃ
১.বিন্যস্ত উপাত্ত
২.অবিন্যস্ত উপাত্ত
অবিন্যস্ত
উপরে বর্ণিত শিক্ষার্থীদের গণিতে প্রাপ্ত নম্বর গুলো এলোমেলো ভাবে দেওয়া আছে। তাই এগুলো হলো অবিন্যস্ত উপাত্ত। নম্বরগুলো মানের কোন ক্রমে সাজানো নেই। অর্থাৎ উপাত্তগুলো যদি কোন প্রকার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সাজানো না হয় তখন তাকে অবিন্যস্ত উপাত্ত বলে।
বিন্যস্ত
সংগৃহীত উপাত্ত কোনো বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বা মানের উর্ধ্বক্রম বা অধক্রম অনুসারে সাজানো হলে তাকে বিন্যস্ত উপাত্ত বলে।
৩৬, ৪৫, ৪৫, ৪৮, ৫৪, ৫৫, ৬৪, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৮, ৭০, ৭৩, ৭৬, ৭৬, ৮৭, ৯,০, ৯৩, ৯৭
এভাবে সাজানো উপাত্তসমূহকে বিন্যস্ত উপাত্ত বলে।
তথ্য এবং উপাত্ত এর পার্থক্যঃ
১. সুনির্দিষ্ট ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত কাঁচামাল সমূহকে ডেটা বা উপাত্ত বলে। অন্যদিকে ডেটাকে প্রক্রিয়াকরণ করে যে অর্থবহ ফলাফল পাওয়া যায়, তাকে তথ্য বলে।
২. ডেটা হচ্ছে প্রক্রিয়াকরণের পূর্বের অবস্থা। তথ্য হচ্ছে প্রক্রিয়াকরণের পরের অবস্থা।
৩. উপাত্ত সরাসরি ব্যবহার করা যায় না। অন্যদিকে তথ্য সরাসরি ব্যবহার করা যায়।
৪. উপাত্ত দ্বারা যে কোন বিষয়ে পুরোপুরি ভাবার্থ প্রকাশ পায় না। অন্যদিকে তথ্য দ্বারা যে কোন বিষয়ে পুরোপুরি ভাবার্থ প্রকাশ পায়।
৫. উপাত্ত তথ্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে ডেটা প্রক্রিয়াকরণের পর তথ্যে রূপান্তরিত হয়।
৬. সব উপাত্তই তথ্য নয়। অন্যদিকে সব তথ্যই উপাত্ত হতে পারে।
৭. উপাত্ত রূপান্তরের সময় সমস্ত অপ্রাসঙ্গিক তথ্য এবং পরিসংখ্যান বাছাই করা হয়। কিন্তু তথ্য সবসময় তার প্রয়োজনীয়তা এবং প্রত্যাশার জন্য সুনির্দিষ্ট।
উপাত্ত সংগ্রহ পদ্ধতি:
গবেষণায় উপাত্ত (Data) ও তথ্য (Information) সংগ্রহের অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। নিম্মে বিভিন্ন পদ্ধতি আলোচনা করা হল,
ক. সাক্ষাৎকার (গ্রুপ আকারে বা একের পর এক): আপনি বিভিন্ন উপায়ে সাক্ষাৎকার নিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনার সাক্ষাৎকার কাঠামোগত, আধা-কাঠামোগত বা অসংগঠিত হতে পারে।
পার্থক্য হল সাক্ষাৎকারকারীকে জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নগুলোর সেটটি কতটা আনুষ্ঠানিক।
একটি গ্রুপ সাক্ষাৎকারে, আপনি সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদের নির্দিষ্ট বিষয়ে তাদের মতামত বা উপলব্ধি দেওয়ার জন্য জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
খ. সমীক্ষা (অনলাইন বা ব্যক্তিগতভাবে): জরিপ বা সমীক্ষা গবেষণায়, আপনি এমন প্রশ্ন উত্থাপন করবেন, যাতে জরিপে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তির কাছ থেকে যথাযথ প্রতিক্রিয়া পান।
গ. ফোকাস গ্রুপ: উপরের গ্রুপ ইন্টারভিউয়ের মতো, আপনি প্রদত্ত উত্তরগুলোর একটি নোট তৈরি করার সময় একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা মতামত নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি ফোকাস গ্রুপকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
ঘ. পর্যবেক্ষণ: মানুষের আচরণের দিকে তাকিয়ে থাকেন, তবে এটি গবেষণায় ব্যবহার করার জন্য একটি ভাল গবেষণা পদ্ধতি।
এই গবেষণার বিভিন্ন উপায়ে অংশগ্রহণকারীদের তাদের দৈনন্দিন জীবনে স্বতঃস্ফূর্ত আচরণের অধ্যয়ন অন্তর্ভুক্ত। পর্যবেক্ষণ হল একটি নির্দিষ্ট সময় এবং স্থানে পরিচালিত গবেষণা।
যেখানে গবেষকরা পরিকল্পনা অনুযায়ী আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন।
উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২২
ব্যক্তিগত তথ্য বা উপাত্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সরকার এই আইনের পরিকল্পনা শুরু করে ২০১৯ সালে। তবে এ বছরের এপ্রিল মাসে আইনটির খসড়া তৈরি করে তা জনমত যাচাইয়ের জন্য প্রকাশ করা হয়।
রবিবার এ আইনটি নিয়ে ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নেয়া হয়।
সেখানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সেখানে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের তথ্যের সুরক্ষা দিতে এই আইনটি করা হচ্ছে, তথ্য নিয়ন্ত্রণ তাদের উদ্দেশ্য নয়। কারণ বাংলাদেশে এখন ১৩ কোটির বেশি ইন্টারনেট গ্রাহক রয়েছেন এবং দুই হাজারের বেশি সেবা ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।
বিশ্বের অনেক দেশে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার আইন রয়েছে। যেমন ইউরোপে জেনারেল ডেটা প্রটেকশন রেগুলেশন রয়েছে, যার ফলে কোন নাগরিকের অনুমতি ছাড়া তার ফোন নম্বর বা ব্যক্তিগত তথ্য কোথাও সংরক্ষণ করে রাখা যায় না।
সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়ার কাজ শেষ করে ডিসেম্বরে আইনটির অনুমোদন করতে চায় সরকার।
আইনের প্রস্তাবে কি রয়েছে?
ইংরেজিতে ডেটা লেখা হলেও আইনের প্রস্তাবে সেটাকে উপাত্ত হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ বা সংরক্ষণ করতে হলে তার সম্মতি থাকতে হবে।
এই সম্মতির প্রমাণের দায়ভার সংগ্রহকারীর ওপর থাকবে।
এই আইনের নিয়ম অনুসরণ না করে কোন স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করা যাবে না।
যেসব তথ্য বা উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে, তা সংগ্রহকারীর সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হতে হবে।
অপ্রয়োজনীয় কোন তথ্য সংগ্রহ করা যাবে না।
নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে।
যে উদ্দেশ্যে তথ্য বা উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে, তা প্রয়োজনীয় না হলে অথবা মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে এসব তথ্য নষ্ট করে ফেলতে হবে।
তথ্য সংগ্রহ বা সংরক্ষণে গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে এবং যথাযথ নিরাপত্তা দিতে হবে।
তথ্য প্রদানকারীর সেখানে প্রবেশাধিকার থাকবে এবং জবাবদিহিতা থাকতে হবে।
যিনি তথ্য দেবেন, তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হওয়ার কোনরকম সম্ভাবনা থাকলে তথ্য নেয়া যাবে না।
শিশুদের ক্ষেত্রে তার পিতা-মাতা বা অভিভাবকদের পূর্ব সম্মতি ছাড়া কোন তথ্য সংগ্রহ বা প্রক্রিয়া করা যাবে না।
একবার তথ্য দেয়ার পর প্রয়োজনে সেটা সংশোধনের অধিকার থাকবে তথ্যদাতার।
পড়ুন;- পাদ কয় প্রকার ও কি কি? পাদের কবিতা ও রম্য রচনা
প্রয়োজনে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে তিনি সম্মতি প্রত্যাহার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সেসব তথ্য আর কোনরকম প্রক্রিয়া বা ব্যবহার করা যাবে না।
যদি সম্মতি দেয়ার পরে তথ্যদাতার মতে হয় যে, এসব তথ্য ব্যবহার করা হলে তার কোনরকম ক্ষতি হতে পারে।
তাহলে তিনি লিখিত আবেদন করে এর ব্যবহার বন্ধ রাখার অনুরোধ করতে পারবেন।
যারা তথ্য সংগ্রহ করবেন, তারা কি উদ্দেশ্যে সেটা নেবেন, কেন ও কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা তথ্য দাতাকে পরিষ্কার করে বলবেন।
যে উদ্দেশ্যে তথ্য নেয়া হবে, সেটা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
তবে অপরাধ শনাক্ত কার্যক্রম বা তদন্ত, বিচার কার্যক্রম, চিকিৎসা, শুল্ক, গবেষণা ও পরিসংখ্যান, সংবাদ মাধ্যম, সাহিত্যকর্ম বা শিল্প সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমকে এই আইনের বিধানের প্রয়োগ থেকে অব্যাহতি দেয়া যাবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির নিয়ন্ত্রণে উপাত্ত সুরক্ষা কার্যালয় পরিচালিত হবে।
এজেন্সির মহাপরিচালক এই কার্যালয়েরও প্রধান হবেন।
এই সংস্থা তথ্য সংগ্রহ বা প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়া সহ বিদেশি কোন রাষ্ট্রের গ্রাহক বা আন্তর্জাতিক সংগঠনে উপাত্ত সরবরাহ বন্ধ বা স্থগিত করে দিতে পারবে।
তথ্য বা উপাত্ত সংগ্রহ নিয়ে কারও অভিযোগ থাকলে এই কার্যালয়ে অভিযোগ করবেন।
তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মামলা দায়ের করা বা জরিমানা করতে পারবে এই দপ্তর।
এই আইনের কোন বিধি লঙ্ঘন, অবৈধভাবে তথ্য প্রচার বা প্রকাশ, স্থানান্তর, বিক্রি করলে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে।
একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।
বিদেশি কোন কোম্পানি এই অপরাধ করলে তার পূর্ববর্তী বছরের মোট টার্নওভারের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
তবে বিশেষ প্রয়োজনে মহাপরিচালককে যেকোনো নির্দেশ প্রদান করতে পারবে সরকার।
যেকোনো বিষয়ে প্রতিবেদন বা বিবরণীও চাইতে পারবে।
কেন এই প্রস্তাব ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে?
দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান বা নাগরিক নতুন এই আইনের প্রস্তাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি বিবৃতিতে বলেছে, এটি বাংলাদেশের মানুষের ব্যক্তিগত অধিকারকে হরণ করা হবে।
অ্যমনেস্টি বলছে, “এই বিলে অস্পষ্ট এবং অতি বিস্তৃত বিধান কর্তৃপক্ষকে এমন সক্ষমতা ও বৈধতা দেবে।
যাতে শারীরিকভাবে বা দূর থেকে ব্যক্তিগত যন্ত্রে নজরদারি করতে পারবে।
ফলে মানুষের অধিকার লঙ্ঘন হবে।
এর মধ্য দিয়ে সরকার মানুষের ডিজিটাল লাইফ নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।”
সূচীপত্র