#maxvalue.media update - 11-04-24 google.com, pub-1380520198379494, DIRECT, f08c47fec0942fa0 #maxvalue.media update end - 11-04-24 আউটসোর্সিং কি ? ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব?

আউটসোর্সিং কি ? ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব?

যদি কেও প্রশ্ন করে থাকে যে আউটসোর্সিং কি ? তাহলে এর উত্তর টা বোধহয় কিছুটা এমন- 

আউট শব্দের অর্থ বাইরে , আর সোর্সিং শব্দের অর্থ উৎস ! অর্থাৎ আউটসোর্সিং এর অর্থ দাড়ালো বাইরের উৎস ! 

পারিভাষিক অর্থ মোতাবেক,যখন কোনো কাজ বাইরে থেকে করিয়ে দেওয়াটা হয় তখন সেটাকে বলা হয় আউটসোর্সিং !

আরো বিস্তারিত ভাবে এর অর্থ বুঝতে এবং আউটসোর্সিং বিষয়ক যাবতীয় তথ্য পেতে আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত স্ক্রল করে পড়তে হবে। 

আউটসোর্সিং কি ?

যখন ক্লাইন্ট কোনো কাজ,অনলাইন প্লার্টফর্মে কোনো ওয়ার্কার্সকে দিয়ে করিয়ে নেয় তখন সেটাকে বলা হয় আউটসোর্সিং । 

আপনার ভিডিওগুলো এডিট করাবার জন্য যদি কোনো এডিটরের দরকার পড়ে,এবং আপনি যদি অনলাইন প্লারটফর্ম থেকে কোনো এডিটরকে হায়ার করেন,অতপর আপনাদের মধ্যে যদি কোনো আর্থিক দেনদেন হয়ে থাকে তাহলে তার অর্থ দাঁড়ায় আপনি আউটসোর্সিং প্রসেসের মধ্যে গিয়েছেন।

 ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়?

ফ্রিল্যান্সিং 

ফ্রিল্যান্সিং শব্দের অর্থ হলো স্বতন্ত্রভাবে কাজ করা। অর্থাৎ চাইলে ওয়ার্কার্স যেকোনো সময় তার ক্লায়েন্টের কাজ ছেড়ে দিতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে একজন মানুষের আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

আউটসোর্সিং কি

আউটসোর্সিং এর ফলে দীর্ঘ সময়ের জন্য একজন ক্লাইন্টের সাথে চুক্তি করতে হয় । চুক্তি সম্পন্ন হলে তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকে। এর ফলে ওয়ার্কার্সের আর্থিক স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হতে পারে।

মূলত এটি ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং এর মধ্যে বেসিক পার্থক্য।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব?

ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য প্রথমে যেটা প্রয়োজন পড়বে সেটি হচ্ছে দৃঢ় আত্মবিশ্বাস ও সংকল্প। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্ল্যাটফর্ম গুলো অনেক বড় মার্কেটপ্লেস হয়ে থাকে সুতরাং এখানে তুলনামূলক প্রতিযোগী অনেক বেশি।

তবে সঠিক স্ট্রাটেজি এবং উপস্থিত বুদ্ধির সাহায্যে চাইলে এই প্লাটফর্ম গুলোতে একটি ভালো অবস্থা তৈরি করা সম্ভব।

  • ইউটিউব চ্যানেল

ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কোন ধরনের পেইড কোর্সের দরকার পড়ে না। ইউটিউবে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য বিনামূল্যেই পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে দেখে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

এছাড়াও বিভিন্ন চ্যানেলে পূর্বের পেইড কোর্সগুলো ফ্রিতে পাওয়া যেতে পারে। সামান্য ইউটিউব ঘাঁটাঘাটি করলেই আপনি বিস্তারিত যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন হাতের নাগালে।

  • ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বই পড়ে

বই মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু৷ আপনি যতোই ভিডিও টিউটোরিয়াল নিয়ে নাচানাচি করুন না কেনো,বই আপনাকে এপ্রোক্সিমেট নলেজটা দেবেন। যা আপনি পৃথীবির কারো কাছ থেকেই পাবেন না। 

নিচে কিছু বউয়ের দাম দেওয়া রইলো৷ এগুলো ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বেস্ট বই! 

১.ফ্রিল্যান্সিংঃ হালাল ইনকামের খোজে(নুরুল্লাহ হোসাইন)

২.ঘরে বসে আয় করুন(জয়িতা ব্যানার্জি)

৩.আউটসোর্সিংঃ শুরুটা যেভাবে এবং শুরু করার পর(আমিনুল রহমান)

  • পেইড কোর্সে ভর্তি হয়ে

যে যাই বলুক না কেনো, ভালো একটি পেইড ফ্রিল্যান্সিং কোর্স আপনাকে বিশেষভাবে উপকৃত করতে পারে। অবশ্যই মাথায় রাখবেন, সেটি যেনো একজন মেন্টরের সানিধ্যে হয়৷ 

বর্তমানে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে টেনমিনিট স্কুল এবং বহুব্রিহী ফ্রিল্যান্সিং শেখার সবচেয়ে বেস্ট কোর্স অফার করে থাকে, তাও আবার খুবই রিজনেবল প্রাইজে। চাইলে আপনি সেখান থেকে করে নিতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স। 

নিচে উক্ত দুইটি প্লার্টফর্মের ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের লিংক দেওয়া রইলো। 

১.টেন মিনিট স্কুল

২.বহুব্রিহী

অনলাইন কোর্সগুলোতে কি শেখানো হয়? 

অনলাইন কোর্সগুলোতে মূলত দুটি বিষয় শেখানো হয়৷ 

  •  কি করে কাজ করতে হয় বা স্কিল ডেভেলপমেন্ট 
  •  কিভাবে কাজ পেতে হয় বা কি করে বিড করতে হয়৷ 

প্রথমটি নির্ভর করবে,আপনি অনলাইনে কি ধরণের কাজ শিখতে চান,বা আপনি কোন ধরণের কাজে পারদর্শী অথবা কোন কাজে আপনি আপনার স্কিল ব্যয় করতে পারবেন তার উপর৷ 

আর ২য় টি নির্ভর করবে আপনার উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা এবং ধৈর্য্যের উপর৷ 

আরো পড়ুনঃ

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটের নাম কে না জানে। একটি ছোট্টো বাচ্চাকেও যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তবে সেও অনায়াসে তা বলে দিতে পারবে। 

তবে কোয়ালিটি এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের দিক থেকে এগিয়ে থাকবে, 

এই তিনটি জনপ্রিয় সাইট৷ এই সাইটগুলো একেকটি মিলিয়ন ডলারের মার্কেট প্লেস৷ যার একেকটির মার্কেট ভলিউম নূন্যতম কয়েকশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

ফ্রিল্যান্সিং টিপস 

একজন ফ্রিল্যান্সারের, ক্যারিয়ারের রাস্তা সুগম করার ক্ষেত্রে সর্বাধিক ভূমিকা রাখে কিছু মোক্ষম ট্রিকস এবং টিপস৷ 

ফ্রিল্যান্সারদের উদ্দেশ্যে দেওয়ার মতো হাতে গোনা কয়েকটি টিপস হলোঃ

  • হাল না ছাড়া

হাল ছাড়া যাবে না৷ সঠিকভাবে স্কিলগুলো আয়ত্ব করতে পারলে সফলতা এক দিন না একদিন আসবেই৷ কিন্তু তাই বলে এতো সহজেই হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না৷ 

  • ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে।

ক্লাইন্টকে খুশী করতে হলে ডিসিপ্লিন বিষয়টা অবশ্যই মেইন্টেইন করতে হবে৷ এটি আপনার কর্মদক্ষতার পরিচয় বহন করবে৷ 

সব সময় ডেট লাইনের আগেই ক্লাইন্টকে কাজ ডেলিভারী দেওয়ার চেষ্টা করবেন৷ অবশ্য এর জন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য্য৷ 

  • মেজাজ হারালে চলবে না 

অনেক সময় ক্লাইন্টদের বিহ্যাভে মানুষজন মেজাজ হারিয়ে ফেলে। ভুলে গেলে চলবে না – পৃথীবির সব মানুষের মানুসিকতা এক রকমের হয়না৷ 

কেও হয়তো আপনাকে দিয়ে খাটিয়ে নিবে কম,কিন্তু টাকা দেবে বেশী৷ আবার কেও হয়তো অনেক র‍্যুড বিহ্যাভ করবে, মাইনা দেবে কম। তবুও এর ভেতর দিয়ে যেতে হবে৷ আর বেসিক্যালি এর ভেতর দিয়েই বাকি সবাই যাচ্ছে৷ 

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যত কি?

বিশ্বের অন্যান্য দেশে ফ্রিল্যান্সারদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো ঝলকালেও, আমাদের বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের ভবিষ্যত শঙ্কার মুখে৷ আদৌ তাদের আউটসোর্সিং কি ক্যারিয়ার প্ল্যান হিসেবেনেওয়া উচিত? 

তার অবশ্য কিছু সুস্পষ্ট উদারহণ রয়েছে৷ যার মধ্যে অন্যতম হলো পেমেন্ট প্রতিকূলতা। এখনও অব্দি বাংলাদেশে স্মুথ কোনো পেমেন্ট গেটওয়ে চালু হয়নি৷ 

আর দ্বিতীয়ত, এক্সেসরিজজনিত সমস্যা৷ বর্তমান বাংলাদেশ ইন্টারনেটের স্পিডের দিক দিয়ে বেশ পিছিয়ে রয়েছে। অথচ তার পরেও এদেশ বিশ্বের ৩য় সর্বাধিক ফ্রিল্যান্সার পয়দা করা দেশ। 

যদিও বর্তমান সরকার ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে কাজ করছে। আশা রাখা যায় সামনে ভালো কিছুই হবে। 

বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং সাইট-

২০২০ সালে বাংলাদেশে অফিসিয়ালি প্রথম ফ্রিল্যান্সিং সাইট “কাজ-কী” যাত্রা শুরু করে। দূর্ভাগ্যের বিষয় হলো ব্যবসা পরিচালনার পর্যাপ্ত পুজি ও লোকোবলের অভাব থাকার কারণে ২০২১ সালে থমকে যায় কাজ-কী এর যাত্রা৷ 

কাজ-কী বাংলাদেশের প্রথম ফ্রিল্যান্সিং সাইট, যারা সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় একটি ফ্রিল্যান্সিং প্লার্টফর্ম গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। 

বর্তমানে বাংলাদেশের নিজেদের কোনো ফ্রিল্যান্সিং প্লার্টফর্ম নেই৷ এটি খুবই দুঃখের বিষয়৷ কেও যদি উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতো তাহলে নিশ্চই “কাজ কী” আলোর মুখ দেখতে পেতো৷

সেকারণেই মূলত এখনও বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা ভিনদেশী প্লার্টফর্মগুলির দিকেই বেশী ঝুকছে৷ তবে সেখানেও রহম নেই৷ দেশে-বিদেশের কম্পিটিটরদের সাথে পেরে উঠতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের৷ 

সর্বোপরি ফ্রিল্যান্সিং একটি সময় সাপেক্ষ কাজ। তাই অবশ্যই পর্যাপ্ত সময় দিয়ে এবং ধৈর্য্য সহকারে কাজটি প্রথমে আয়ত্ব করতে শিখতে হবে। 

শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে বর্তমানে হাজারো যুবক ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে তাদের ভাগ্য বদলেছে৷ 

নিজেকে একবার প্রশ্ন করুন, তারা যদি পারে তাহলে আপনি পারবেন না কেনো?

Leave a Comment