পদার্থ বিজ্ঞান কাকে বলে? আধুনিক, ক্লাসিক্যাল পদার্থ বিজ্ঞান কাকে বলে? আজকের আর্টিকেলে আমরা এসব বিষয়ে জানবো। পদার্থবিজ্ঞান হলো প্রাকৃতিক এবং মানব সৃষ্ট পদার্থের গবেষণা ও অধ্যয়নের একটি বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থ ও শক্তি নিয়ে আলোচনা করে এবং দুয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে তাকে পদার্থ বিজ্ঞান বলে। এটি পদার্থের সংজ্ঞা, গঠন, বৈশিষ্ট্য, অবস্থা পরিবর্তন, বিকিরণ ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা করে।
পদার্থবিজ্ঞান আমাদের প্রাকৃতিক ও প্রযুক্তিগত পরিবেশে অবদান রাখে, যেখানে এটি বিভিন্ন বিজ্ঞানের সাথে মিলিত হোক, যাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তির উদ্ভাবনে সাহায্য করতে পারে।
পদার্থ বিজ্ঞান
পদার্থ বিজ্ঞান বস্তুর বিভিন্ন স্তরে গবেষণা করে, যাতে বস্তুর মৌলিক গঠন, কণা ও পারমাণবিক স্তরে কাজ, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, তাপগতিক বৈশিষ্ট্য, বৈদ্যুতিনত্ব, পরমাণু বৈদ্যুতিনত্ব, আবর্তন পদ্ধতি, তাপ ও পরিবর্তন, আবেগ ও ব্যাখ্যা, আদি বিষয়ে জ্ঞান আদান-প্রদান করে।
৩/ পদার্থ ও শক্তির অন্তর্নিহিত দর্শন হচ্ছে পদার্থবিজ্ঞান।
আরো পড়ুন – অর্থ কি? অর্থ কাকে বলে?
ভৌত বা ক্লাসিক্যাল পদার্থ বিজ্ঞান
যে পদার্থবিজ্ঞানে ভর,শক্তি,কাল,দৈর্ঘ ইত্যাদিকে নিরপেক্ষ বা স্বাধীন বিবেচনা করা হয় তাকে ক্ল্যাসিক্যাল পদার্থবিজ্ঞান বলে।
ক্লাসিক্যাল পদার্থ বিজ্ঞানে মৌলিক ব্যাপারগুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো নিউটনিয়ান মেকানিক্স, যা গতি, গতিবিদ্যা, গুরুত্ব এবং প্রতিবেগ সম্পর্কিত সূত্র, নিয়ম এবং মৌলিক সিদ্ধান্তগুলি অন্বেষণ করে।
এর মাঝে রয়েছে বলবিজ্ঞান, শব্দবিজ্ঞান, তাপ এবং তাপগতি বিজ্ঞান, বিদ্যুৎ ও চৌম্বক বিজ্ঞান এবং আলোক বিজ্ঞান।
আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান
ম্যাক্স প্ল্যাংকের কোয়ান্টাম তত্ব ও আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্বের উপর ভিত্তি করে , স্থান কাল,সময়,দৈর্ঘ কে পরিবর্তনশীল বিবেচনা করা হয় যে পদার্থবিজ্ঞানে তাই আধুনিক পদার্থবিজ্ঞা।
আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞান প্রযুক্তিগত ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেমন ন্যানোটেকনোলজি, কৃত্রিম বৈদ্যুতিনত্ব ও ইলেকট্রনিক্সে নতুন উন্নতি সাধন করতে সাহায্য করে। এটি সময়ের সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রযুক্তিতত্ত্বের নতুন উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান এবং আপেক্ষিক তত্ত্ব ব্যবহার করে যে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান গড়ে উঠেছে , সেগুলো হচ্ছে আণবিক ও পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান, নিউক্লিয় পদার্থবিজ্ঞান, কঠিন অবস্থার পদার্থবিজ্ঞান এবং পার্টিকেল ফিজিকস।
পরিশেষে আশা করা যায় যে পদার্থ বিজ্ঞান কাকে বলে? আধুনিক, ক্লাসিক্যাল পদার্থ বিজ্ঞান কাকে বলে বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝতে পারছেন। এছাড়া বুঝতে সমস্যা হলে নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে কমেন্ট করে সমস্যাটি জানানোর অনুরোধ রইলো। আর যদি এটি ভালো ভাবে বুঝে থাকেন তা হলেও মন্তব্য করতে পারেন।
সূচীপত্র