অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম: জাতীয় পরিচয় পত্র যাকে আমরা ভোটার আইডি কার্ড বলে চিনি। প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের জাতীয় পরিচয় পত্র থাকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না।
যে কোন ধরনের চাকরি, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়সহ পাসপোর্ট আবেদন ইত্যাদি নানান কাজে আমাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হয়। মোটকথা জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়া আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজই করতে পারবেন না।
জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়া আপনি বাংলাদেশের একটি নাগরিক বলেই বিবেচিত হবেন না। অনেকে মনে করে থাকেন শুধু ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ভোট দেওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি কাজ মাত্র।
অধিকাংশ কাজই ভোট প্রদানের বাইরে। বছরে একবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। বিভিন্ন কাজে বাড়িতে থাকতে পারেন না তারা ভোটার হওয়ার সুযোগটা মিস করে যান। আপনারা হয়তো জানেন না অনলাইনেও জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করা যায়।
আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় আপনি কিভাবে খুব সহজে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র পাওয়া বা ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
নতুন ভোটার হবার যোগ্যতা:
চাইলেই যে কেউ ভোটার হতে পারবে না। বিদেশি কোন নাগরিক ভোটার হতে পারবে না। ১৬ বছরের কম বয়সের কেউ ভোটার হতে পারবে না। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে ১৬ বছর বয়সে আপনি ভোটার হতে পারলেও ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে আপনি ভোট দিতে পারবেন না। ভোটার হবার বা জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার শর্তগুলো হলো:
- আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- আপনার বয়স ১৬ বছর বা তার বেশি বয়স হতে হবে।
- অবশ্যই পূর্বে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নিবন্ধন করা হয়নি।
ভোটার আইডি কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (বাধ্যতামূলক)।
- এসএসসি/সমমান সনদ। প্রয়োজনে এসএসসি সনদের সাথে সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদটি জমা দিতে পারেন। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ নেই তাদের ক্ষেত্রে জমা দেয়ার প্রয়োজন নেই।
- পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের কপি।
- বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কপি এবং কাবিননামা/বৈবাহিক সনদ।
- রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার রিপোর্ট। এটি বাধ্যতামূলক না তবে জমা দিতে পারলে ভালো।
- চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/ওয়ার্ড মেম্বর/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র।
- নাগরিকত্বের সনদ (বাধ্যতামূলক)।
- বিদ্যুৎ বিল/পানি বিল/গ্যাস বিলের কপি (বাধ্যতামূলক)। বাড়ীর যেকোন একজন সদস্যের নামে হলেই হবে।
- চৌকিদারী ট্যাক্স রশিদ/পৌর করের রশিদ/বাড়ী ভাড়ার রশিদ (বাধ্যতামূলক)। বাড়ীর যেকোন একজন সদস্যের নামে হলেই হবে।
- পূর্বে ভোটার হইনি মর্মে অঙ্গীকারনামা। যাদের বয়স অনেক বেশি তাদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক।
- পাসপোর্টের কপি (যদি থাকে)।
- ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি (যদি থাকে)।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদনের নিয়মাবলি:
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো গুছিয়ে রেখে এরপর আপনি আবেদন করার জন্য তৈরি হতে পারেন। কাগজপত্রগুলো আগেই গুছিয়ে নেয়া উচিত। কেননা পরবর্তীতে জমা দেবার সময় তাহলে আপনার সময়ক্ষেপন হবে না।
আবেদন করার সময় আপনি চেষ্টা করবেন ভালো মোবাইল ফোন কম্পিউটার এবং ভালো ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে চেষ্টা করার। ইন্টারনেট সংযোগ ভালো না হলে, পুনরায় আপনাকে তথ্য প্রদান করতে হতে পারে। যা আপনার কাছে ঝামেলার মনে হতে পারে। এবার চলুন একে একে কিভাবে আবেদন করতে হয় তা জেনে নিই।
- অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে যেকোনো ইন্টারনেট ব্রাউজার দিয়ে ভিজিট করতে হবে এই ঠিকানায় services.nidw.gov.bd ভিজিট করতে হবে। তবে আমার পরামর্শ থাকবে ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করা।
- এরপর নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য ‘আবেদন করুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- ক্লিক করার পর এই পেইজে আপনার কিছু তথ্য চাওয়া হবে। প্রথমে আবেদনকারীর নাম ইংরেজিতে লিখতে হবে। তারপর আবেদনকারীর জন্ম তারিখ লিখতে হবে। তারপরের ঘরে ক্যাপচা লিখতে হবে। ক্যাপচাটি যেমন দেখা যাবে হুবহু তাইল লিখতে হবে, ভুল হলে হবে না। তারপর বহাল বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- পরবর্তী পেজে আবেদনকারীর একটি সঠিক এবং সচল মোবাইল নম্বর লিখতে হবে। তারপর বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে প্রদানকৃত মোবাইল নম্বরে ৬ সংখ্যার একটি কোড আসবে।
- মোবাইলে প্রাপ্ত ৬ সখ্যার যাচাইকরণ কোডটি লিখে বহাল বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলে পেজটি লোড হয়ে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড সেট করার অপশনে নিয়ে যাবে।
- একটি ইউজার নেম দিতে হবে।না দিতে চাইলেও সমস্যা নেই। তবে দেয়া ভালো। তারপরের ঘরে একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে এবং তারপরে ঘরে পুনরায় একই পাসওয়র্ড দিতে হবে। পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে পরবর্তীতে একাউন্টে লগইন করতে হলে এই পাসওয়ার্ডটি প্রয়োজন হবে। তারপর বহাল বাটনে ক্লিক করতে হবে। তাহলেই একাউন্ট তৈরী হয়ে যাবে।
- নতুন ভোটার আবেদন করার জন্য এই পেইজ থেকে প্রোফাইল অপশনে ক্লিক করলে ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য এবং ঠিকানা এই তিন প্রকার তথ্য প্রদান করার জন্য বলা হবে। ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য ও ঠিকানা আপডেট করার জন্য এডিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- এডিট বাটনে ক্লিক করলে অনেক বড় একটি ফর্ম অপেন হবে। তারমধ্যে উপরের ছবিতে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্যাদি দেখতে পাবেন। অনুরুপভাবে আপনাকেও এই ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদনকারীর ইংরেজি নাম, জন্ম তারিখ ও জাতীয়তা সিলেক্ট করাই থাকবে। শুধু বাংলা নাম লিঙ্গ, রক্তের গ্রুপ, জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জন্মস্থান সিলেক্ট করতে হবে।
- একই ফরমের ব্যক্তিগত তথ্যের নিচে পিতা, মাতা ও বড় ভাইয়ের(যদি থাকে) তথ্য সিলেক্ট করতে হবে। পিতা, মাতা যদি মৃত হন তাহলে মৃত টিক চিহ্ন দিতে হবে এবং মৃত্যুর সাল লিখে দিতে হবে। তারপর পিতা, মাতার নাম বাংলায় ও ইংরেজি লিখতে হবে। পিতা, মাতার এনআইডি নম্বর বা ভোটার নম্বর একটি লিখলেই হয়।
- বড় ভাই/বোনের তথ্যের স্থানে আবেদনকারীর বড় ভাই অথবা বোনের নাম ও এনআইডি নম্বর লিখে দেবেন। যদি আবেদনকারীর বড় ভাই/বোন না থাকে তাহলে লেখার দরকার নেই।
- ব্যক্তিগত তথ্যাদি ফরমের নিচের দিকে আবেদনকারীর স্বামী/স্ত্রীর তথ্য দিতে হবে। আবেদনকারী যদি বিবাহিত হন তাহলে বৈবাহিক অবস্থা বিবাহিত সিলেক্ট করতে হবে এবং স্বামী/স্ত্রীর নাম, এনআইডি নম্বর লিখতে হবে। আবেদনকারীর যদি একাধিক স্বামী/স্ত্রী থাকে তাহলে পর্যায়ক্রমে সকলের নাম ও এনআইডি নম্বর উল্লেখ করতে হবে। যদি আবেদনকারীর স্বামী/স্ত্রী মৃত হয় তাহলে মৃত্যুর সাল উল্লেখ করতে হবে।
- অন্যান্য তথ্যের মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, অসমর্থতা, সনাক্তকরণ চিহ্ন, টিন নম্বর, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, ধর্ম টেলিফোন নম্বর ও মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হয়। আবেদনকারী তার তথ্য অনুযায়ী ফরমটি পূরণ করবেন। তবে যদি কোন অসমর্থতা আবেদনকারীর না থাকে, তাহলে এই ফিল্ড পূরণ করা যাবে না। ভুল করেও যদি কোন অসমর্থতা উল্লেখ হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে ভোগান্তির শেষ থাকবে না।
- প্রথমে দেশের নাম সিলেক্ট করতে হবে। তারপর বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা সিলেক্ট করে দিতে হবে। আবেদনকারীর বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা যদি আলাদা হয় সেক্ষেত্রে আলাদা সিলেক্ট করতে হবে। তারপর ভোটার এরিয়া সিলেক্ট করতে হবে। ভোটার এরিয়া হচ্ছে যে এলাকা/গ্রাম/মহল্লার ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে ইচ্ছু সেই এলাকার নাম সিলেক্ট করতে হবে। ভুল হলে ভুল তালিকায় নাম চলে যাবে। ঠিকানার ফিল্ড পূরণ করা হয়ে গেলে উপরে ডান পাশে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- আপনার আবেদনের বিস্তারিত তথ্যসমূহ পুনরায় যাচাই করে নিন যাতে কোন ভুল না থাকে।
- তথ্যসমূহ সঠিক থাকলে আপনার আবেদনটি নিশ্চিত করে ও জমা দিন।
- অনলাইনে আবেদন জমা হলে, ড্যাশবোর্ড থেকে আপনার আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করে A4 সাইজ কাগজে প্রিন্ট করে নিন। এরপর আপনি যে এলাকায় ভোটার হচ্ছেন সে এলাকার নির্বাচন অফিসে আবেদনটি অন্যান্য কাগজপত্র সহ আবার জমা দিন। তাহলেই আপনার আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হবে।
আবেদন জমা দেবার পর আপনার আবেদনটি উপজেলা বা জেলা নির্বাচন অফিস যাচাই বাছাই করবে। যাচাই করার জন্য আপনার সাথে তারা যোগাযোগ করতে পারে। আবেদনটি যাচাই শেষে আপনার ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ (Biometric Information) নেয়ার জন্য ডাকা হবে।
এর ১০ থেকে ১৫ দিন পরে আপনার আবেদনটি অনুমোদিত হলেই আপনি অনলাইন হতে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
ভোটার আইডি কার্ড আবেদনের সময় সতর্কতা:
আবেদনের সময় আপনাকে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অনেক সময় আমরা তাড়াহুড়া করে ভুল বানান বা ভুল তথ্য দিয়ে থাকি। এতে করে আমাদের বিভিন্ন জায়গায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
পরবর্তীতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের ক্ষেত্রে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই আপনার উচিত হবে প্রথমে আবেদন করার সময় সঠিক তথ্য দেওয়া এবং ভুল হয়েছে কিনা তা বারবার যাচাই করে নেওয়া।
আপনার নামের বানানগুলো লিখার জন্য প্রয়োজনে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সহায়তা নিন। আপনার বাবা মার নাম লেখার জন্য আপনার বাবা-মার জাতীয় পরিচয়পত্রের সাহায্য নিন। জন্ম তারিখ গুলো ঠিকঠাক ভাবে লিখুন।
যে তথ্যগুলো দেওয়ার প্রয়োজন নেই সেগুলো এড়িয়ে যান। কেননা অযথা বাড়তি তথ্য দিলে আপনাকে আরো বেশি করে কাগজপত্র দিতে হবে। এতে করে আপনি আরো ঝামেলায় পড়বেন। বিশেষ করে ইংরেজি নামের বানানের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করেন।
কোন বিষয়ে সাহায্যের দরকার হলে নিকটস্থ নির্বাচন কমিশনার অফিস অথবা ১০৫ নাম্বারে যোগাযোগ করুন।
জাতীয় পরিচয়পত্র বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম:
আবেদনটি অনুমোদিত হলে, আপনার দেয়া মোবাইল নম্বরে মেসেজ পাবেন যে আপনার আবেদনটি অনুমোদিত হয়েছে। আপনার আবেদনটির সর্বশেষ অবস্থা আপনি আপনার NID Application System এর ড্যাশবোর্ড থেকে দেখতে পারবেন।
আবেদনটি অনুমোদিত হলে, ড্যাশবোর্ড এর ডান পাশ থেকে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। স্মার্ট কার্ড কবে পাবেন সেই তথ্যও ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই জানতে পারবেন। আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন ;- ভোটার আইডি কার্ড চেক ও ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
অনান্য বিষয়াবলি:
- আপনার বয়স ১৬ হলেই আপনি যেকোনো সময় যে কোন জায়গা থেকে অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- ভোটার তালিকায় বা জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম লেখানোর জন্য অর্জিত কোনো পদবী যুক্ত করার কোন সুযোগ নেই। শুধুমাত্র আপনার নামের অংশটুকুই যুক্ত করা যাবে।
- আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলে কোন কারণে অনেকদিন এসএমএস না আসলে, আপনি আপনার নিকটস্থ উপজেলা নির্বাচন কমিশনার অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। সেখানে গেলে আপনার পরিচয় পত্র পেয়ে যাবেন।
- একবার ভোটার হয়ে থাকলে পুনরায় ভোটার হওয়া যাবে না।
- পূর্বেই ইস্যুকৃত কোন জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুল থাকলে সেটি সংশোধনের জন্য নতুন করে আবেদন করা যাবে না। পূর্বের পরিচয়পত্রটি সংশোধন করতে হবে। এজন্য অবশ্য আপনাকে অনলাইন আবেদন করে নির্ধারিত পরিমাণ ফি দিতে হবে। কোন অবস্থাতেই দ্বিতীয়বার জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন করতে যাবেন না।
- আপনার কোন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হারিয়ে গেলে সেটি পুনরায় তোলার পর ভোটার হতে পারবেন। কাগজপত্র ছাড়া কোনোভাবেই ভোটার হওয়া যাবে না।
আশা করি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে আপনি অনলাইনে কিভাবে ভোটার হওয়া যায় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সবগুলো প্রক্রিয়া ধীরে সুস্থে সতর্কতার সাথে করলেই আপনি যথাযথভাবে ভোটার হতে পারবেন।
তাই আপনি ভোটার না হয়ে থাকলে, আজই অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুন। আপনার পরিচিত কেউ যদি জাতীয় পরিচয়পত্র না পেয়ে থাকে তাকেও এ বিষয়ে জানাতে পারেন।
লিখেছেন: রাকিব খান
সূচীপত্র