আইসোটোপ কাকে বলে: রসায়ন বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচিত বিষয় হলো আইসোটোপ । আইসোটোপ কি সে সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা সকলের থাকলেও আইসোটোপ কাকে বলে তা অনেকেরই অজানা । সে কারণেই মূলত আমরা আজকের আর্টিকেল অজান্তে চলেছি আইসোটোপ সম্পর্কে এছাড়াও আইসোটোপ সম্পর্কিত তথ্য থাকবে এই আর্টিকেলের সর্বত্র ।
যখন একাধিক পরমাণুর পরমাণু সংখ্যা এক হয় তবে ভর সংখ্যা ভিন্ন হয়ে থাকে তখন সেই পরমাণুসমূহ কে একে অপরের আইসোটোপ বলা হয় ।
আইসোটোপ সমূহে পরমাণু সংখ্যা এক হলেও ভর সংখ্যা আলাদা হয় । কেননা নিউট্রন সংখ্যা হয় ভিন্ন। আপনি যদি ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
ইলেকট্রনঃ ইলেকট্রন মূলত স্ট্রিম দ্বারা তৈরি এক ধরনের কনা যেটিকে অত্যন্ত ওজনহীন বলে বিবেচনা করা হয় । ইলেকট্রন মূলত পরমাণুর কক্ষপথ এ ঘূর্ণায়মান থাকে যেটি ভেতরের নিউক্লিয়াস কে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে । প্রোটন এবং নিউট্রন দ্বারা নিউক্লিয়াস গঠিত হয় । সবচেয়ে বড় কথা হলো ইলেকট্রন ঋনাত্বক চার্জ বিশিষ্ট হয়ে থাকে ।
প্রোটনঃ পরমাণুর ধনাত্মক আধানযুক্ত কণা কে বলা হয় তাকে প্রোটন । প্রোটন অবস্থান করে নিউক্লিয়াসে এবং এটি ইলেকট্রন নিউট্রন অপেক্ষা যথেষ্ট ভারী একটি কনা।
নিউট্রনঃ নিউট্রন মূলত আধান বিহীন একটি কণা । এবং এটিও নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে । তবে তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ার কারণে যেসকল নিউক্লিয়াসে নিউট্রন সংখ্যা বেশি থাকে সেই সকল নিউক্লিয়াস থেকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি বের হয় । যেমনটা কি আলফা রশ্মি এবং বিটা রশ্মি ।
আইসোটোপ এর একটি উদাহরণ দেয়ার মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করা যাকঃ
হাইড্রোজেন এর মোট তিনটি আইসোটোপ রয়েছে সেগুলো সরাসরি প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা যায় । এই সকল আইসোটোপ কে তথা ক্রমে প্রোটিয়াম, ডিউটেরিয়াম এবং টিট্রিয়াম নামে ডাকা হয়।
অর্থাৎ প্রতিটি ধাপে একটি করে নিউট্রন সংখ্যা বৃদ্ধি পায় যার অর্থ ভর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে । এবং এই তিনটিকে একে অপরের আইসোটোপ বলা হয়।
হাইড্রোজেন এর মোট সাতটি আইসোটোপ রয়েছে । তার মধ্যে প্রথম তিনটি আইসোটোপ সরাসরি প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা যায় । এবং বাকি চারটি আইসোটোপ ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয় ।
এই তিনটি আইসোটোপের মধ্যে রয়েছেঃ প্রোটিয়াম, ডিউটেরিয়াম এবং টিট্রিয়াম।
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি আইসোটোপ কাকে বলে। এখন আমরা জানতে চলেছি এজন্য আইসোটোপ কাকে বলে ?
যেসকল আইসোটোপ থেকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি নিঃসৃত হয় সেগুলোকে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বলা হয় । মূলত আইসোটোপের ভর বেশি হওয়ার কারণে যখন বাইরে থেকে শক্তি প্রয়োগ করে এই সকল আইসোটোপের বন্ধন ভঙ্গ করার এটা করা হয় তখন এর ভেতর থেকে প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত হয় ।
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের নানাবিধ কাজ হয়েছে । তবে বর্তমানের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ অপবিজ্ঞান এর কাজেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে । তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ এর কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা যাকঃ
চিকিৎসা ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যবহার-
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্রে নয় বরং কৃষি ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
অক্সিজেনের আইসোটোপ সংখ্যা 2 টি । O16 এবং O17
তবে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ অনেক ক্ষেত্রে এতে জাতির জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে অমানবিক এবং বিশ্বজনের নিন্দিত পারমানবিক বোমা হামলা ঘৃণিত বিষয় বলে বিবেচনা করা হয় । বর্তমানে যে কয়েকটি পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো রাশিয়া । অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে 1983 সালে রাশিয়াতে পারমাণবিক চুল্লি বিস্ফোরিত হয়ে বহু মানুষ মারা যায় এবং সেই এলাকা পুরোপুরি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে ।
আমাদের আজকের আর্টিকেল এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল আইসোটোপ কাকে বলে সে সম্পর্কে ! যদি আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি বিন্দুমাত্র উপকৃত হয়ে থাকেন তবে, প্রগতিশীল অতি নগন্য, বাংলাদেশের কোন এক স্টাডি রুম থেকে পরিচালিত ব্লগ হিসেবে আমরা সার্থক !
আরো পড়ুনঃ
সর্বশেষ আপডেট
সূচীপত্র