বিশেষণ পদ কাকে বলে? বিশেষণ হল এক ধরনের বাক্য অংশ যা কোন স্থান, বস্তু, ব্যক্তি, প্রাণী বা কিছুর গুণগত বৈশিষ্ট্য বোঝায়। এটি বর্ণমালার সাথে যুক্ত হয় এবং কোন নাম বা বিশেষণ পরে যুক্ত হয় যার সাথে এর গুণগত বৈশিষ্ট্য বোঝানো হয়। উদাহরণস্বরূপ, “লাল গোলাপ” এখানে “লাল” হল একটি বিশেষণ যা বর্ণমালার সাথে যুক্ত হয়ে গোলাপের গুণগত বৈশিষ্ট্য বোঝায়।
বিশেষণ
যে পদ দ্বারা অন্য পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, পরিমাণ, সংখ্যা প্রভৃতি বুঝায় তাহাকে বিশেষণ পদ বলে।যথা- ভাল, মন্দ, সুন্দর ইত্যাদি।
যেমন –
১) আরিফ সাহেব সুখী ব্যক্তি – ব্যক্তির গুণ বোঝায়
২) পাকা আম খেতে মিষ্টি – আমের অবস্থা।
৩) নাসিম বিশাল সম্পত্তির অধিকারী – সম্পত্তির পরিমাণ।
আরও কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:
- সুন্দর মেঘ
- শীতল পানি
- লাল গোলাপ
- মিষ্টি আম
- বড় বাঘ
- সবুজ ঘাস
- সাদা বোস
- নবীন কার্পেট
- স্বচ্ছ নদী
- সবুজ কমল
প্রশ্ন :- বিশেষণ কাকে বলে ? বিশেষন কত প্রকার কি কি?
উওর:- যে পদ বিশেষ্য, সর্বনাম এবং ক্রিয়াপদের দোষ ,গুণ ,অবস্থা পরিমাণ, সংখ্যা প্রভৃতি বোঝায় , তাকে বিশষণ পদ বলে ।
অব্যয় পদ কাকে বলে? অব্যয় পদ কত প্রকার? অব্যয় পদ চেনার উপায়
বিশেষণ পদ ২ প্রকার :-
১. নামবিশেষণ ২. ভাববিশেষণ
১. নামবিশেষণ: যে বিশেষণ পদ কোনো নামপদকে বিশেষিত করে, তাকে নামবিশেষণ বলে। নামবিশেষণ বলতে বাক্যের বিশেষ্য পদ বা সর্বনাম পদ বা বিশেষণ পদেরবিশেষণ বোঝায়। যেমন: সে সবুজ জামা পরেছে। অতি উত্তম কথা। এসব বাক্যে ‘সবুজ’ ও ‘অতি’ নামবিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
নাম বিশেষণকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়:
ক. গুণবাচক বা অবস্থাবাচকবিশেষণ: যে বিশেষণ পদ কোনো গুণ বা অবস্থা প্রকাশ করে, তাকে গুণবাচকবিশেষণ বা অবস্থাবাচকবিশেষণ বলে। যেমন: গরম চা। সাদা পোশাক।
খ. সংখ্যাবাচকবিশেষণ: যে বিশেষণ পদ সংখ্যা নির্দেশ করে, তাকে সংখ্যাবাচকবিশেষণ বলে। যেমন: এক টাকা। দু শ লোক।
গ. পরিমাণবাচক বা মাত্রাবাচকবিশেষণ: যে বিশেষণ পদ পরিমাণ বা মাত্রা নির্দেশ করে, তাকে পরিমাণবাচক বা মাত্রাবাচকবিশেষণ বলে। যেমন: অনেক পানি, প্রচুর টাকা।
ঘ. ক্রমবাচক বা পূরণবাচকবিশেষণ: যে বিশেষণ পদ দিয়ে কোনো পর্যায়ক্রমিক স্থান বা ক্রম নির্দেশ করে, তাকে ক্রমবাচক বা পূরণবাচকবিশেষণ বলে। যেমন: একাদশ শ্রেণি। নবম দিন ইত্যাদি।
২. ভাব-বিশেষণ: যে বিশেষণ পদ বিশেষ্য ও সর্বনাম পদ ছাড়া অন্য পদের দোষ, গুণ বা অবস্থা প্রকাশ করে, তাকে ভাব-বিশেষণ বলে। যেমন: আস্তে হাঁটো, খুব আস্তে হাঁটো ইত্যাদি।
ভাব-বিশেষণ দুই প্রকার। যেমন—
ক. ক্রিয়াবিশেষণ
খ. বিশেষণের বিশেষণ
ক. ক্রিয়াবিশেষণ: যে বিশেষণ পদ বাক্যের ক্রিয়াপদের গুণ, অবস্থা, প্রকৃতি ইত্যাদি নির্দেশ করে, তাকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে। যেমন: তাড়াতাড়ি চল। দিন ভালো যাচ্ছে না। জিনিসটা সাবধানে রাখ।
খ. বিশেষণেরবিশেষণ: যে বিশেষণ বিশেষণের দোষ, গুণ, অবস্থা প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণেরবিশেষণ বলে। যেমন: সে খুব আস্তে হাঁটে, মনোয়ারা খুব ভালো মেয়ে।