ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় ২০২৩

বর্তমান এই তথ্য প্রযুক্তির আলোড়নের সময়ে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সম্ভাবনাময় দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে।প্রযুক্তিকে ইতিবাচক ভাবে ব্যবহার করে লাভবান হয়ে উঠছেন অনেকেই।তবে বিপরীতে ভিন্ন চিত্র যে দেখা যায় না এমন না।এরকম পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে অবশ্যই প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর কৌশল আমাদের জানতে হবে।

বর্তমানে ফেসবুক একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় মাধ্যম।গবেষণা বলছে,গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে মানুষ তার ফেসবুক একাউন্টে একবার লগ ইন করে।অর্থ্যাৎ এটি জীবনের জন্য এমন ই অবিচ্ছেদ্য একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে মানুষ ১০ মিনিটের বেশি ফেসবুক ব্যবহার না করে থাকতে পারছে না।

ফেসবুকের এই ব্যাপক জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েই ঘরে বসে আয় করা যায় বেশ ভালো অংকের টাকা।মেধা,মনন ও দক্ষতা এবং ইচ্ছেশক্তি থাকলেই মেধাবী কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে লাভবান হতে পারেন আপনিও।আজ তাই আলোচনা করবো অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সমূহের মধ্যে অন্যতম উপায় ফেসবুক থেকে আয়ের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত।

ফেসবুক থেকে টাকা আয়ের জন্য ধাপে ধাপে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে।নিম্নে ধারাবাহিক ভাবে ধাপ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

ফেসবুক থেকে টাকা আয়ের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন ফেসবুক একাউন্ট চালু করা।আসুন জেনে নিই ফেসবুক একাউন্ট কিভাবে চালু করতে হয়।

ফেসবুক একাউন্ট চালু করা

ফেসবুক থেকে আয় করতে চাইলে,প্রথমেই প্রয়োজন একটি ফেসবুক একাউন্ট।একাউন্ট টি অবশ্যই রিয়েল হতে হবে।ফেইক একাউন্ট গুলো ফেসবুক নিজ উদ্যোগে যেকোন সময়ে ডিজেবল করে দিতে পারে।আর তাছাড়া ফেইক একাউন্ট ব্যবহার করাও অনৈতিক।নিজস্ব ইমেইল আইডি ও নির্দেশনা অনুযায়ী তথ্য দিয়ে খুব সহজেই ফেসবুক একাউন্ট খোলা যায়।এজন্য গুগলে গিয়ে www.facebook.com লিখে সার্চ করলে ফেসবুক ইন্টারফেসটি দেখা যাবে।এরপর বাকি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রোফাইলের নাম,জন্ম তারিখ প্রভৃতি সঠিক তথ্য দিয়ে পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে।তারপর পছন্দ মতো প্রোফাইল পিকচার ও কভার ফটো আপলোড করলে একাউন্ট খোলার কাজটি সম্পন্ন হবে।

ফেসবুকে মূলত বিভিন্ন পেজে কন্টেন্ট তৈরি করে আপলোডের মাধ্যমে টাকা উপার্জিত হয়।একটি মানসম্মত পেজ তৈরির জন্য প্রকৃত ফেসবুক একাউন্ট থাকা আবশ্যক।এজন্যই প্রথম ধাপ হিসেবে ফেসবুক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে সংক্ষেপে বলে গেলাম।

একাউন্ট খোলার বিষয়টি পরিষ্কার হলে এবার আসুন জেনে নিই,ফেসবুক থেকে আয়ের ধাপ গুলো সম্পর্কে।এবং পরবর্তীতে আপনাদের সুবিধার্থে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

ফেসবুক থেকে আয়ের প্রক্রিয়া শুরুর ধাপসমূহ

  • একটি ফেসবুক পেইজ খুলতে হবে।
  • monetization প্রক্রিয়ার Criteria গুলো সম্পন্ন করতে হবে।
  • monetization এর জন্য apply করতে হবে।

ফেসবুক পেইজ খোলার নিয়ম

ইউটিউবে যদি কেউ চ্যানেল খুলতে চায়,তবে একটি জিমেইল একাউন্টের প্রয়োজন পড়ে।অনুরুপ ভাবে,ফেসবুক পেইজের জন্য দরকার পড়ে একটি ফেসবুক একাউন্টের।

ফেসবুকে ঢুকে ফেসবুক একাউন্ট টি লগ ইন করে নিম্নের ধাপ গুলো সম্পন্ন করলেই খুব সহজেই একটি ফেসবুক পেইজ খুলে ফেলতে পারবেন।ধাপসমূহঃ

  • ফেসবুক অ্যাপে প্রবেশ করুন
  • ডানদিকে থাকা সর্বশেষ সেকশন অর্থাৎ হ্যামবার্গার আইকনযুক্ত মেন্যুতে প্রবেশ করুন
  • pages অপশনটিতে প্রবেশ করুন
  • এবার create অপশন টি খুঁজে বের করে ক্লিক করুন
  • Get Started চাপুন
  • এবার কন্টেন্টের সাথে প্রাসঙ্গিক বা নিজের নাম দিয়ে পেজ খুলতে চাইলে page name box এ নামটি লিখে next অপশন টি ক্লিক করুন।
  • পেজ এর ধরন অনুযায়ী একটি ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে Next চাপুন
  • এরপর আপনি যদি কোনো ব্যবসার পেজ খুলেন, সেক্ষেত্রে ঠিকানা যোগ করুন ও Next চাপুন
  • ঠিকানা না থাকলে বা যোগ করতে চাইলে Skip চাপুন
  • এরপর আপনার ফেসবুক পেজের জন্য একটি প্রোফাইল পিকচার ও কভার ফটো চাওয়া হবে। কভার ফটো ও প্রোফাইল পিকচার সিলেক্ট করে Done চাপুন।

ফেসবুক পেইজ খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানা হলো।এখন আমরা চলে যাবো দ্বিতীয় ধাপে,অর্থ্যাৎ monetization criteria সম্পন্ন করা।কিন্তু তার আগে criteria গুলো নিয়ে জানা প্রয়োজন।

ফেসবুক monetization criteria

ফেসবুক monetization এর জন্য মূলত চারটি শর্ত পূরণ করতে হয়।শর্তসমূহঃ

  • পেইজে কোন পলিসি ইস্যু থাকা যাবেনা
  • পেইজে ১০০০০ ফলোয়ার থাকতে হবে
  • শেষ দু’মাসে ৬০০০০০মিনিট ওয়াচ টাইম থাকতে হবে
  • এবং সবশেষে পেজে অন্তত ৫ টি ভিডিও আপলোডেড থাকতে হবে।

Monetization এর জন্য Apply

মনেটাইজেশনের জন্য নির্ধারিত শর্ত গুলো পূরণ হলে মনেটাইজেশন প্রক্রিয়া চালুর জন্য এপ্লাই করা যেতে পারে।

মনেটাইজেশনের জন্য আবেদন করার পূর্বে, পেজের হোম অপশনে গিয়ে মনেটাইজেশন লেখায় ক্লিক করে দেখে নিতে পারবেন পেইজটি মনেটাইজেশন চালুর জন্য উপযুক্ত কি না।

পেজটি মনেটাইজেনের জন্য উপযুক্ত হলে,পাশে থাকা সবুজ রঙের বৃত্তটি বড় করে দেখাবে এবং আপনি একটি বার্তা ও দেখতে পাবেন ইংরেজিতে লেখা।congratulations! Your page is read to earn money.

* যদি আপনার পেজে সামান্য কিছু সমস্যা থাকে, তাহলে পাশে থাকা হলুদ বৃত্তটি বড় করে দেখাবে। সেই সঙ্গে যদি আপনার পেজটি কোনোভাবেই মনিটাইজের জন্য প্রস্তুত না থাকে, তবে পাশে থাকা লাল চিহ্নটি বড় করে দেখাবে।এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ত্রুটি গুলো এড়াতে আবার ও চেষ্টা করতে হবে।

* এরপর আপনাকে আরও কিছু ধাপ পার করতে হবে। সেখানে আপনার ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। নাম, ঠিকানা, ই-মেইলের ঠিকানাসহ আরও কিছু তথ্য। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হলে আপনার পেজ মনিটাইজ হবে ফেসবুকের দ্বারা।

পেজ মনেটাইজেশনের অধীনে চলে গেলে মানসম্মত ভিডিও কন্টেন্ট আপলোডের মাধ্যমে নিয়মিত টাকা আয় করা যায়।কন্টেন্টের বিষয় নির্ভর করে ব্যক্তির দক্ষতা ও সৃজন শক্তি এবং একই সাথে দর্শকের রুচির উপর।মূলত,ভিডিও আপলোড করে ইউটিউবের মতো নিয়মেই গুগল এডেসেন্স,স্পনসরশিপ ও ফেসবুক এডের মাধ্যমে টাকা আয় করা সম্ভব একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে।

ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করা ছাড়াও,আরো নানা উপায়ে ফেসবুক থেকে ঘরে বসেই টাকা আয় করা সম্ভব।সেসব বিষয়ে কিছু সম্যক ধারণা নেয়া যাক।

ফেসবুক থেকে আয়ের উপায়

ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জনের বিষয়টি কিন্তু শুধুমাত্র কন্টেন্ট তৈরির মধ্যেই সীমাবদ্ধ না।বরং,ফেসবুক প্লাটফর্মকে আরো নানা ভাবে ব্যবহার করেই আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠা যায়।এ পর্যায়ে,শুধু মাত্র ফেসবুক পেইজ ব্যবহার করা ব্যতীত অন্যান্য উপায়ে কিভাবে ফেসবুক থেকে আয় করা যায় তা নিয়ে কয়েকটি ধাপে আলোচনা করবো।আর এক্ষেত্রে প্রথম ধাপটি হলো এফিলেটিং মার্কেটিং।

ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয়

এফিলেট মার্কেটিং

বর্তমানে শুধুমাত্র ইউটিউব ই নয় বরং এফিলেট মার্কেটিং ফেসবুকেও সম্ভব।অর্থ্যাৎ, ফেসবুক গ্রুপ বা পেজের মাধ্যমে এফিলেট মার্কেটিং করে উপার্জন করা সম্ভব।আপনাদের মনে হয়তো প্রশ্ন আসছে,এফিলেট মার্কেটিং টা কি।আপনাদের সুবিধার্থে সংক্ষেপে আলোচনা করছি এফিলেট মার্কেটিং নিয়ে।

এফিলেট মার্কেটিং হলো এমন একটি মার্কেটিং স্ট্র‍্যাটেজী যার মাধ্যমে বিভিন্ন ই কমার্স সাইট বা অনলাইন বিজনেস গুলো তাদের ব্যবসার প্রসারের জন্য এফিলিয়েটর নিয়োগ করে থাকেন।

এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে এফিলিয়েট একাউন্ট তৈরি করে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের পণ্যের লিংক শেয়ার করে সেই পণ্য বিক্রি করে দিতে পারলে বিক্রিত প্রতিটি পণ্য হতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন আয় করা যায়।বাংলাদেশে এমন একটি জনপ্রিয় এফিলিয়েট ওয়েবসাইটের উদাহরণ হলো দারাজ।ইন্টারন্যাশনালি এমাজন ডট কম তো অন্যতম জনপ্রিয় ওয়েব সাইট।এখন নিশ্চয় ই বুঝতে পেরেছি এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

ফেসবুক থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য পেইজ বা গ্রুপ ওপেন করেই কাজ শুরু করতে চাইলে হবেনা।পেইজ বা গ্রুপে বিপুল সংখ্যক মানুষ এড না থাকলে কিন্তু আপনি তেমন একটা ভালো ফিডিব্যাক পাবেন না।তাই এক্ষেত্রে চেষ্টা করুন প্রথমে পেইজ বা গ্রুপে অনেক মানুষ যুক্ত করার।তারপর প্রোডাক্ট প্রমোশনের কাজ গুলো করার মাধ্যমে লাভবান হতে পারবেন।

ই-লার্নিং কোর্স বিক্রি

এখন শুধু ওয়েবসাইট ব্যবহার করেই নয়,ফেসবুক গ্রুপ ও পেইজ ব্যবহার করেও ই লার্নিং ও অনলাইন বিভিন্ন কোর্স বিক্রি করা যায়।আপনার যদি সৃজনশীল যেমন ফটোগ্রাফি,গ্রাফিক ডিজাইনিং প্রভৃতি বিষয় অথবা একাডেমিক কোন বিষয়ে দক্ষতা থেকে থাকে তবে সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ ব্যবহার করে আপনি চাইলে সহজেই কোর্স আকারে বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।

পেইড এডভারটাইজিং

আপনি যদি অনেক সংখ্যক ফলোয়ার যুক্ত একটি পেজের ওনার হয়ে থাকেন অথবা আপনার যদি এমন একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে থাকে যেখানে একটিভ মেম্বারের সংখ্যা অনেক বেশি তাহলে আপনি বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যেমন রেস্টুরেন্ট,বিপনী বিতান,শপিং মল বা নির্দিষ্ট ব্যান্ডের কিছু পণ্য নিয়ে টাকার বিনিময়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন আপনার পেজে বা গ্রুপে।এ ধরনের কাজকে বলা হয় পেইড স্পন্সরশীপ।

ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয়

অনেকেই ভাবতে পারেন ফেসবুক গ্রুপ থেকে আবার আয় কিভাবে সম্ভব!আসলে সম্ভব কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন,

  • একটিভ মেম্বার সম্বলিত কার্যকরী একটি গ্রুপ
  • একটিভিটি নিয়মিত থাকলে
  • কোন ক্লাইন্টকে ভালো ফিডব্যাক দিতে পারলে

অনেক প্রতিষ্ঠানের নিজের ব্যবসাকে তুলে ধরার জন্য ভালো কোন গ্রুপ নেই। তাই আপনার যদি গ্রূপ থাকে, নিজের অন্যের ব্যবসার পণ্যসমূহ প্রমোট করে কমিশন ভিত্তিক ভালো মানের টাকা  আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনেকেই ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে পণ্য প্রমোট করতে চান। কিন্তু  উপযুক্ত কোন মাধ্যম খুঁজে পান না পণ্য প্রচারের জন্য।  আপনার যদি একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে থাকে এবং সেই গ্রুপ থেকে আপনি টাকা আয় করতে চান, তাহলে গ্রুপের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট প্রমোট করেও আপনি ভালো মানের টাকা আয় করতে পারবেন।

ফেসবুক মার্কেট প্লেসের মাধ্যমে

ফেসবুক মার্কেটপ্লেস হলো ফেসবুকের এমন একটি ফিচার যেটা ব্যবহার করে যে কেউ তার পণ্য বিনামূল্যে ফেসবুক ব্যবহার করে বিক্রি করতে পারবেন।পণ্য নতুন বা পুরাতন যা কিছুই হতে পারে।

ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে পণ্যের ছবি তুলে দামসহ আপ্লোড করতে হয়।আগ্রহী ক্রেতা ফেসবুকে মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকে।তাই পণ্যের উপস্থাপন নিয়ে আলাদা কোন ঝামেলা নিতে হয়না।উপরন্তু,ঘরে বসে পণ্য বিক্রি করে টাকা আয় করা যায়।

ফেসবুক ফ্যান পেজের মাধ্যমে

যারা ব্যবসায়িক অথবা যেকোন ক্ষেত্রেই নিজেদের পরিচিতি বাড়াতে চান তাদের জন্য উপযুক্ত অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ফেসবুক ফ্যান পেইজ।কারো যদি ফেসবুক আইডিতে ৫০০ এর অধিক বন্ধু সংখ্যা থাকে তবে সে ফ্যান পেইজ বানিয়ে পণ্যের প্রসার ও বিক্রি করতে পারবে।

আমরা অনেকেই জানিনা ফ্যান পেইজ কিভাবে খুলতে হয়।আসুন জেনে নিই ফ্যানপেজ খোলার নিয়ম

ফ্যান পেজ খোলার নিয়ম

  • ফ্যান পেজ তৈরি করার জন্য আপনার একটি অবশ্যই একটি  ফেসবুক একাউন্ট থাকতে হবে। ফেসবুক একাউন্ট থেকে আপনাকে প্রথমে আপনার ব্যক্তিগত আইডি থেকে লগইন করে Creat অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • Creat অপশন সিলেক্ট করলে একটি পেজ আসবে। সেখানে আপনাকে Page Option নামে একটি অপশন  সিলেক্ট করতে হবে।
  • Page Option থেকে আপনি বিজনেস বা ব্র্যান্ড অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • সেখানে আপনাকে আপনার ফ্যানপেইজ জন্য একটি নাম সিলেক্ট করে বসিয়ে দিতে হবে।
  • নামটি সিলেক্ট করার পর আপনাকে একটি প্রোফাইলের জন্য ছবি  সিলেক্ট করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনি যে ধরণের ব্যবসা করবেন প্রোফাইলের ছবিটি যেন তা কেন্দ্র করে হয়।
  • প্রোফাইল পিকচারের পর পেইজের জন্য একটি কভার ইমেজ সিলেক্ট করতে হবে যা মাধ্যমে আপনার ফেসবুক পেজ তৈরির কাজ শেষ হবে।

উপসংহার

বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে অনেক কিছুই।মানুষের ক্যারিয়ার নির্বাচনেও এসেছে পরিবর্তন।তথ্য প্রযুক্তির আশীর্বাদমূলক দিক গুলোকে ব্যবহার করে আমাদের মতো দেশের শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতী গড়তে পারে একটি নিশ্চিত অর্থনৈতিক ভিত।ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট ব্যবহার করে ঘরে বসেই আয় করতে পারে লক্ষ লক্ষ টাকা।আশা করা যায় ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজের ক্ষেত্র আরো জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।

Leave a Comment