যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয়ে থাককে যে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রধানমন্ত্রী কে? তাহলে আপনার উত্তর কি হবে?
নিশ্চই প্রশ্নটি খুবই বিপাকে ফেলে দেবে। প্রধানমন্ত্রী – তাও আবার সবচেয়ে নিকৃষ্ট? আমরা স্বভাবতই জানি যে একটি দেশের সরকার প্রধান সেই দেশের জনগনের প্রতিনিধিত্ব করেন, কিন্তু যদি রক্ষকই ভক্ষক হয় তখন? কাজেই কোনো অবস্থাতেই বিশ্বের প্রত্যেকটা প্রধানমন্ত্রীকে সেরার সেরা বলা চলে না।
ইতিহাসের পাতায় এমনও সরকার প্রধান বা রাষ্টপ্রধান রয়েছে যারা নিজেদের নিকৃষ্ট করমকান্ডের মাধ্যমে গোটা দুনিয়ায় সাড়া ফেলেছে। আর আজকের আর্টিকেলে আপনি জানতে চলেছেন এমনই কিছু নিকৃষ্ট প্রধান মন্ত্রীর নাম !
পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রধানমন্ত্রী কে?
আধুনিক যুগে পৃথীবির সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রধানমন্ত্রী হলেন, হিটলার, তারপর হলো মাহিন্দা রাজাপাকসে।
মাহিন্দা রাজাপাকসে ২০২২ সালের সবচেয়ে চর্চিত ব্যাক্তিদের মধ্যে অন্যতম। তিনি শ্রীলঙ্কার ইতিহাসের সব থেকে বাজে প্রধানমন্ত্রী বলে বিবেচিত। তার সময় শ্রীলঙ্কা আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলো।যে রেকর্ড প্রত্যেকটা জাতির জন্য শিক্ষা হয়ে থাকবে।
মাহিন্দা রাজাপাকসে ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং বর্তমানে তার বয়স প্রায় ৭৬ বছর বা তারও বেশী। মহিন্দা রাজা পাকসে ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসেন।
মূলত তার সরকারের আমলে তিনি অপরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন প্রকল্পের দোহাই দিয়ে ঋণ গ্রহণ করে করে তার দেশকে ফতুর করে ফেলে।
তাকে ক্ষমতাচ্চ্যুত করার জন্য ২০২২ সালে দেশের মানুষ গন-আন্দোলনের ডাক দেন,এবং তারা প্রতিনিয়ত তাদের এম.এল.এ দের বাড়ি-গাড়িতে অগ্নী সংযোগ করতে থাকেন।
এক পর্যায় তীব্র আন্দোলনের মুখে পড়ে বাধ্য হয়েই গদি ত্যাগ করেন মাহিন্দা রাজাপাকসে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে খারাপ ব্যক্তি কে?
বাংলাদেশের সবচেয়ে খারাপ ব্যক্তি হলেন খন্দকার মোস্তাক আহমেদ ।
খন্দকার মোস্তাক বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পেছনের মূল কারিগর।
খন্দকার মোস্তাক ১৯১৯ সালে ত্রিপুরায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলার ইতিহসের দ্বিতীয় মিরফাজর। ১৯৪২ সালে তিনি রাজনীতিতে যোগদান করেন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্র,আইন বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন।
১৯৭৫ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করেন।এই জঘন্য কার্যক্রমে তাকে ইন্ধন জুগিয়েছিলো,বাংলাদেশের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান,ডালিম,মেজর রশিদসহ আরো অনেকে।
তিনি বাংলাদেশের ৫ম প্রেসিডেন্ট ! তিনি ১৯৯৬ সালে মারা যান !
পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ কাজ কি?
পৃথীবির সবচেয়ে খারাপ কাজ হলো মিথ্যা কথা বলা।
মিথ্যা কথা বলা পৃথীবির সবচেয়ে খারাপ কাজ – এবং সকল পাপ কাজের মূলে রয়েছে মিথ্যা কথা।
আল্লাহর নবী হরযত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মিথ্যা সব পাপের জননী’ (বুখারি)
পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে?
পৃথীবির সবচেয়ে ভালো মানুষ হলেন, হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম একজন একত্ববাদী ধর্ম প্রচারক। তাকে ইসলামের শ্রেষ্ঠ পয়গম্বর হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং একাধারে তিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানুষ বা সবচেয়ে ভালো মানুষ।
হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ধর্ম-বর্ন-জাতি নির্বিশেষে সকলের জন্য আদর্শ মানব এবং আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ রাসুল। তাকে সকল গুনের অধিকারী করে এই পৃথীবিতে পাঠানো হয়েছে,বিধায় তাকে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বা সবচেয়ে ভালো মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।
মাইকেল হার্টের ১০০ মনিষীর জীবনী বইটিকে তাকে পৃথীবির সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ কে?
পৃথীবির সবচেয়ে খারাপ মানুষ হলেন, আবু জাহেল ।
আবু জাহেল ৫৫৬ সালে মক্কার খ্যাত নামা কুরাইশ বংশে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ছিলেন একজন মুর্তিপূজারক এবং দলপতি। তিনি ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে বড় শত্রু এবং তাই রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে “এই উম্মতের ফিরাউন” বলে আখ্যা দেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নাম
পৃথীবির সবচেয়ে সুন্দর নাম হলো “মুহাম্মাদ” ।মুহাম্মাদ – ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নাম।
পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ধর্ম –
পৃথীবির সবচেয়ে নিকৃষ্ট ধর্মের নাম “করকরাস ধর্ম”। করকরাস ধর্ম শয়তানের প্রবর্তিত ধর্ম ব্যবস্থা। এই ধর্ম মতে, একত্ববাদী ইশ্বরের ধর্মে বিশ্বাসী সবাই তাদের শত্রু। তাদের ধর্মে মানুষ ব*লি দেওয়ার নিয়ম প্রচলিত রয়েছে।
বর্তমানে কিছু আদি সম্প্রদায় এই ধর্ম পালন করলেও,এখন প্রায়ই এই ধর্ম বিলুপ্তির পথে।
বিশ্বের সবচেয়ে ভালো প্রধানমন্ত্রী কে?
বিশ্বের সবচেয়ে ভালো প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কে?
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৪৮ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ।
তার পিতা বাংলাদেশের স্থপতি এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। তার মাতার নাম শেখ ফজিলাতুন্নেসা। তিনি তার বাবা-মায়ের ১ম সন্তান।
শেখ হাসিনা তার বাবার মৃত্যুর পর থেকে রাজনীতিতে পুরোদরুস্তর সক্রিয় হয়ে ওঠেন।১৯৮১ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতির পদ গ্রহণ করেন।
২০০৪ সালে শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয় । ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন ।
এর আগে তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। কিন্তু সেই সময় বিএনপি-জামায়াত যৌথ ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছিলো তাকে।
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার পেছনে যতো অবদান রয়েছে তার ৯০% শেখ হাসিনার হাত ধরেই এসেছে বলে বিবেচনা করা হয় ।
“পদ্মাসেতু” এ যাবতকালে শেখ হাসিনা সরকারের সেরা অবদান বলে মনে করা হয়।
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মানুষ কে?
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্থপতি এবং বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি জাতির জন্ম দিয়েছিলেন। তাকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী উপাধি দেওয়া হয়।
১৯৬৯ সালে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি তোফায়েল তাকে “বঙ্গবন্ধু” উপাধি দেন।
বঙ্গবন্ধু তার জীবনের অন্তিম সময় পর্যন্ত বাংলার মানুষের কথা ভেবেছেন। তাই তিনি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মানুষ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে তাকে স্বপরিবারে হত্যা করে , কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্য – এবং তাদের পালের গোদা ছিলেন খন্দকার মোস্তাক।
সূচীপত্র