কারক চেনার সহজ উপায়

কারক চেনার সহজ উপায় হলো একটি বাক্য তৈরি করা যা দ্বারা আপনি পরীক্ষা করতে পারেন যে একটি ক্রিয়াকলাপ কে করছেন এবং কে তা করছে। কোনো বাক্যে সাধারণত কারক প্রথমে আসে যা বাক্যের অন্যান্য শব্দগুলোর উপর ভিত্তি করে কাজ করে। একটি বাক্য লিখে এবং তার কারক সঠিক কিনা তা চেক করতে নিচের উপায়গুলি ব্যবহার করা যেতে পারে:

১। কারকের মাধ্যমে প্রশ্ন করা: করক কে? কেন? কিভাবে? এই প্রশ্নগুলো করে কারক চেনা যায়। যেমনঃ আমি পানি খাচ্ছি। কারক – আমি।

২। যদি কারক হয় তবে প্রধান বাক্যের সাথে মিল না খানো শব্দ ব্যবহার করা হয়। উদাহরণঃ সে খুব দ্রুত দৌড়াল। কারক – সে।

৩। বাক্যে প্রধান ক্রিয়াটি খুঁজে বের করা। ক্রিয়াটির কাজ করার জন্য একটি কারক প্রয়োজন।

কারক চেনার সহজ উপায়

কারক চেনার সহজ উপায়

১। কে? / কীসে + ক্রিয়া = কর্তৃকারক

  • বাক্যের প্রধান কর্তা।
    .
    যেমন :

ঘোড়ায় ( কে?) গাড়ি টানে।

পাখি (কীসে?) সব, করে রব।

.
২। কী? / কাকে? + ক্রিয়া = কর্মকারক।

  • কর্তার কাজ বোঝাবে।
    .
    যেমন :
    অর্থ # অনর্থ (কী?) ঘটায়?

ডাক্তারকে ( কাকে?) ডাক।

.
৩। (কী / কীসের ) দ্বারা? + ক্রিয়া = করণ কারক।

  • মাধ্যম বোঝাবে।
    .
    যেমন :
    ছেলেরা #ফুটবল ( কী দ্বারা?) খেলছে।

টাকায় ( কীসের দ্বারা?) বাঘেরদুধ

মেলে।
.
৪। কাকে দান করা হল? = সম্প্রদান কারক।

  • স্বত্ব ত্যাগ বোঝাবে।
    .
    যেমন :

শীতার্তকে ( কাকে দান করা হল?) বস্ত্র দাও।

সৎপাত্রে ( কীসে দান?) কন্যা দান করিও।

.
৫। ( কী/কীসের /কোথা) থেকে? +ক্রিয়া = অপদান কারক।

  • গৃহীত, উৎপন্ন, চলিত, পতিত ইত্যাদি
    বোঝাবে।
    .
    যেমন :

স্কুল ( কীসের থেকে?) পালিয়ে

পণ্ডিত হওয়া যায়না।

সরিষা থেকে ( কী থেকে?) তেল হয়।

.
৬। কখন? /কোথায়? / কীভাবে?/ বিষয়ে?

  • ক্রিয়া = অধিকরণ কারক।
  • স্থান, কাল,বিষয়, ভাব বোঝাবে।
    .
    যেমন :

ভোরবেলা ( কখন? ) সূর্য উঠে।

সে #বাড়ী ( কোথায়? ) নাই?

বিশেষ্য পদ কাকে বলে

কারক চেনার সহজ উপায় মনে রাখুন এভাবেঃ

S.O.T.G.F/W.T/P
S = Subject= কর্তৃ কারক
O = Object= কর্ম কারক
T = Tool= করণ কারক
G = Gift= সম্প্রদান কারক
F/W= From What= অপাদান কারক
T/P = Time / Place= অধিকরণ কারক
অর্থাত্, বাক্যের কর্তাই কর্তৃ কারক।
কর্তা যা নিয়ে কাজ করে তা হল কর্ম কারক
এবং যা দিয়ে বা যে যন্ত্র দিয়ে কাজটি করা হয় তাই
করণ কারক। স্বত্ব ত্যাগ করে যা দান করা হয় তা হল
সম্প্রদান কারক। যা হতে বা থেকে বোঝায় তা হল
অপাদান আর সময় বা স্থান হল অধিকরণ কারক।


ছন্দে ছন্দে কারক চেনার সহজ উপায়


যে করে সে কর্তা ,
কর্তা যা করে তা কর্ম।
কর্তাকে সাহায্য করা করণের ধর্ম ,
শর্ত তাগ করে করিলে দান ,
তা কারক হবে সম্প্রদান।
হতে, থেকে , চেয়ে অপাদান হয়,
স্থান , কাল, পাত্র অধিকরণ কারক কয়।


আরেকটি ছন্দ


এবং ও আর কে দন্দ ধরে,
যে সে যিনি তিনি কর্মকরে,
যাহাতে তাহাতে বহুব্রিহি বুঝি,
সংখ্যা জুগে দিগু খুজি,অব্যয় যোগে অব্যয়ী ভাব,
তৎপুরুষে বিভক্তির ছাপ
যোগরূঢ় শব্দ মনে রাখার নিয়মঃ
রাজপুত পঙ্কজ মহাযাত্রা করে জলধির কাছে গেলো।
.
এখানে রাজপুত, পঙ্কজ , মহাযাত্রা , জলধি যোগরূঢ় শব্দ।
.
রুঢ়ী শব্দ মনে রাখুনঃ
“তেলে ভাজা সন্দেশ খেয়ে এক প্রবীণ গবেষণা করে পাঞ্জাবি পরে হস্তীর পীঠে চড়ে বাঁশী বাজায় “
এখানে
@তৈল , @ সন্দেশ, @ প্রবীণ, @ গবেষণা , @ পাঞ্জাবি , @ হস্তী , @ বাঁশী রুঢ়ী শব্দ
যৌগিক শব্দ মনে রাখুন এভাবে
নায়ক ও গায়ক নয়ন ও শয়ন কর্তব্যে অবহেলা করে বাঁদরামি করে ।
@নায়ক @গায়ক @নয়ন ও @শয়ন @কর্তব্যে @বাঁদরামি
আবার
তার @গুনবান @দৌহিত্র @ভাড়াটে ও @মেয়েলি পনা @চিকামারা @পাঠকের সাথে @মুধর @মিতালি পাতিয়েছে
আমার সকল পোস্ট আগে পেতে আমাকে ফলো, রিকুয়েষ্ট দিয়ে রাখতে পারেন

Leave a Comment