আয়তক্ষেত্র কাকে বলে

প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের  আলোচনায় আপনাকে স্বাগতম। সবার কথা চিন্তা করে এই পোস্ট করা হয়েছে। আয়তক্ষেত্র কাকে বলে এ বিষয়টি জানা আবশ্যক। আপনি যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান, তাহলে খুব সহজেই আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে   বিস্তারিত তথ্য এখানে তুলে ধরেছি। আশা করছি এটি আপনাকে খুব ভালোভাবে সাহায্য করবে। তাই অবশ্যই আর্টিকেল টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

আয়তক্ষেত্র

আয়তক্ষেত্র হল একটি জ্যামিতি আকার, যা দুটি সমান এবং সামান্তরিক শৃংখলার দ্বারা বের করা হয়। একটি আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হতে পারে বিভিন্ন মাত্রার হতে পারে, তবে সাধারণত আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য হয় উচ্চতার চেয়ে বেশি এবং প্রস্থ হয় প্রস্থতার চেয়ে বেশি।

আয়তক্ষেত্র কাকে বলে

আয়তক্ষেত্র কাকে বলে: যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলো পরস্পর সমান ও সমান্তরাল এবং অভ্যন্তরের চারটি কোণের প্রত্যেকেই সমকোণ অর্থাৎ ৯০ ডিগ্রি হয় তাকে আয়তক্ষেত্র বলে।

অন্যভাবে আয়তক্ষেত্র কাকে বলে বললে, যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহুগুলো পরস্পর সমান এবং প্রত্যেকটি কোণ সমকোণ তাকে আয়তক্ষেত্র বলে।

আয়তক্ষেত্র একটি সাধারণ জ্যামিতি আকার এবং এটি প্রায় সমস্ত জ্যামিতি সমস্যায় ব্যবহৃত হয়, যেমন ক্ষেত্রফল বের করা, ভূমি ও ভারপ্রাপ্তি বিষয়ক গবেষণা, ব্যাসার্ধ বের করা, মহাকর্ষীয় বল বিষয়ক হিসাব করা ইত্যাদি।

আয়তক্ষেত্রের সবচেয়ে ছোট সংজ্ঞা হলো – যে চতুর্ভুজের সবগুলো কোণ সমকোণ তাকে আয়তক্ষেত্র বলে। আবার বলা যায়, আয়ত দ্বারা আবদ্ধ ক্ষেত্রকে আয়তক্ষেত্র বলে।

তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, আয়তক্ষেত্রের বিপরীত বাহুদ্বয় পরস্পর সমান। আবার, আয়তক্ষেত্রের প্রত্যেকটি কোণ এক-একটি সমকোণ বা ৯০। তাছাড়া, আয়তক্ষেত্রের বিপরীত বাহুদ্বয় পরস্পর সমান হওয়ার কারণে বিপরীত বাহুগুলো পরস্পর সমান্তরালও বটে। আয়তক্ষেত্র হলো একটি বিশেষ ধরণের চতুর্ভুজ।

পরিশেষে আশা করা যায় যে আয়তক্ষেত্র কাকে বলে বিষয়টি সুন্দরভাবে বুঝতে পারছেন। এছাড়া বুঝতে সমস্যা হলে  নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে কমেন্ট করে সমস্যাটি জানানোর অনুরোধ রইলো। আর যদি আয়তক্ষেত্র কাকে বলে এটি ভালো ভাবে বুঝে থাকেন তা হলেও মন্তব্য করতে পারেন।

ট্রাপিজিয়াম কাকে বলে? ট্রাপিজিয়ামের বৈশিষ্ট্য ও প্রকার

আয়তক্ষেত্র সূত্র

আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য ×প্রস্থ (বর্গ মিটার)

আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র তৈরি করার পূর্বে আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল কি তা জানা দরকার। আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের গুণফলকে আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল বলে। অর্থাৎ, আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্যকে প্রস্থ দ্বারা গুণ করলে ক্ষেত্রফল পাওয়া যায়। অতএব, আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের সূত্র লিখলে দাঁড়ায়,
আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = (দৈর্ঘ্য × প্রস্থ) বর্গ একক।

আয়তক্ষেত্রের বৈশিষ্ট্য

  • আয়তক্ষেত্রের চারটি বাহু এবং চারটি শীর্ষবিন্দু রয়েছে।
  • প্রতিটি শীর্ষে 90 ডিগ্রির সমান কোণ রয়েছে।
  • সমস্ত অভ্যন্তরীণ কোণের সমষ্টি 360 ডিগ্রির সমান।
  • আয়তক্ষেত্রের বিপরীত বাহুগুলো পরস্পর সমান ও সমান্তরাল হয়।
  • আয়তক্ষেত্রের কর্ণদ্বয় পরস্পর সমান হয়।
  • আয়তক্ষেত্রের কর্ণদ্বয় পরস্পরকে সমদ্বিখন্ডিত করে।
  • আয়তক্ষেত্রের পরিধি দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের যোগফলের দ্বিগুণের সমান।
  • ক্ষেত্রফল এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের গুণফলের সমান।

আয়তক্ষেত্রের কর্ণ

আয়তক্ষেত্রের দুইটি বিপরীত শীর্ষবিন্দু যোগ করলে যে রেখাংশ উৎপন্ন হয় তাকে আয়তক্ষেত্রের কর্ণ বলে। আয়তক্ষেত্রের এরূপ দুই জোড়া বিপরীত শীর্ষ বিন্দু সংযুক্ত করলে দুইটি কর্ণ পাওয়া যায়। আয়তক্ষেত্রের দুইটি কর্ণের দৈর্ঘ্য পরস্পর সমান। আবার, আয়তক্ষেত্রের কর্ণ দুইটি পরস্পরকে সমদ্বিখণ্ডিত করে।

আয়তক্ষেত্রের যেকোনো কর্ণ আয়তক্ষেত্রটিকে যে দুইটি ত্রিভুজে বিভক্ত করে তারা পরস্পর সর্বসম ত্রিভুজ। অধিকিন্তু, এই ত্রিভুজ দুইটির প্রত্যেকটি সমকোণী ত্রিভুজও বটে।

আয়তক্ষেত্রের পরিসীমা

আয়তক্ষেত্রের পরিসীমা = ২(দৈর্ঘ্য + প্রস্থ) একক।

একটি আয়তক্ষেত্রের পরিসীমাকে আয়তক্ষেত্রের বাইরের সীমানা দ্বারা আচ্ছাদিত মোট দূরত্ব হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। এটি একক দৈর্ঘ্যে পরিমাপ করা হয়।

Leave a Comment