কাগজ দিয়ে বানানো সবচেয়ে দামি জিনিস কি?

আপনি জানেন কি? কাগজ দিয়ে বানানো সবচেয়ে দামি জিনিস কোনটি? যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি পুরোটি পড়ার অনুরোধ রইল ।

প্রায়শই মানুষজন গুগলে অদ্ভুত কিছু প্রশ্ন অনুসন্ধান করে থাকে যেমন;- পাদ কয় প্রকার। কিন্তু এগুলোর সঠিক উত্তর হয়তো তারা পায় না । 

অধিকাংশ লোকজন জানতে চেয়েছেন কাগজ দিয়ে বানানো সবচেয়ে দামি জিনিস কি? মূলত তাদের জন্যই আমাদের আজকের আর্টিকেল !

কাগজের তৈরি কি এমন জিনিস যা এত মূল্যবান হতে পারে ! চলুন জেনে নেওয়া যাক ! 

কাগজ দিয়ে বানানো সবচেয়ে দামি জিনিস কি? 

কাগজ দিয়ে তৈরি সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস গুলো খুঁজে বের করতে হলে আমাদের সর্বপ্রথম জানতে হবে কাগজ দিয়ে কি তৈরি করা হয়ে থাকে !

কাগজ দিয়ে কাগজের নৌকা তৈরি করা যেতে পারে আবার অনেক সময় কাগজ দিয়ে এরোপ্লেন তৈরি করা যায়।

যেটি খুবই অল্প সময়ের জন্য হাওয়ায় ভেসে বেড়ায় এবং কিছুক্ষণ পরেই মাটিতে টেক-অফ করে। 

এছাড়াও কাগজ দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে খাতা। কাগজ দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে ডায়েরি যেটিতে আমরা আমাদের মনের কথা গুলো লিখি । 

তবে কাগজ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে বই তৈরীর কাজে । কাগজ দিয়ে যতগুলো জিনিস তৈরি হয়ে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে দামি হলো বই । তবে এখনো কিন্তু আমরা আমাদের কাঙ্খিত উত্তরে পৌঁছাতে পারিনি । 

যেহেতু কাগজ দিয়ে বই তৈরি করা হয়ে থাকে এবং বই হল কাগজ দিয়ে তৈরি সবচেয়ে দামি জিনিস কাজেই এখন আমাদের দেখতে হবে কোন বই সবচেয়ে দামি ! বলা হয়ে থাকে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির লেখা Codex Leicester পৃথিবীর সবচেয়ে দামি বই । 

কিন্তু মুদ্রা মূল্য দিয়েই কি একটি বস্তু কতটা মূল্যবান তা নির্ধারণ করা যায় ? নিশ্চয়ই যায় না ! 

আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন, অথবা আপনি যে ধর্মালম্বী হয়ে থাকেন না কেন আপনাকে মেনে নিতে হবে পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীর সবচেয়ে দামি পুস্তক ! 

সেই হিসেবে কাগজ দিয়ে বানানো সবচেয়ে দামি জিনিস হলো পবিত্র আল-কোরআন । পবিত্র আল-কোরআন ইসলাম ধর্মালম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র একটি কিতাব ।

এবং এখানে প্রত্যেকটি জাতির জন্য দিক-নির্দেশনা দেয়া রয়েছে ।এটি স্থান-কাল সময় ভেদে মানবজাতির প্রত্যেকটি সভ্যতার জন্য প্রযোজ্য একটি কিতাব । 

কাগজের তৈরি আরো বেশ কয়েকটি দামি বস্তু নেই আমরা আলোচনা করতে চলেছি তবে সেটির কোনটির পবিত্র আল কুরআনের সাথে তুলনা যোগ্য নয় ।

অ্যাপেল কর্পোরেশনের সম্পত্তির দলিল 

ঠিক কোন সময় থেকে চুক্তিভিত্তিক হবে কাগজে লিখিত দলিল এর প্রচলন শুরু হয়েছিল তা বলা সম্ভব না হলেও এটি বলা যেতে পারে যে বর্তমান সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে আধুনিক গেজেট সমূহকে নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করা হলেও এখনো সম্পত্তির দলিল হিসেবে কাগজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে । ধারণা করা হয় মদিনা সনদ ছিল সর্বপ্রথম লিখিত দলিল পত্র । 

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী প্রতিষ্ঠানের নাম হল অ্যাপেল কর্পোরেশন । সুতরাং তাদের দলিলপত্র টি নিঃসন্দেহে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি দলিলপত্র হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে । 

বিংশ শতাব্দীতে এটি সর্বপ্রথম পার্সোনাল কম্পিউটার বাজারে নিয়ে আসে । এখান থেকেই অ্যাপেল কর্পোরেশন তাদের ব্যবসার সফলতার মুখ দেখতে থাকে ।

পরবর্তীতে তারা বাজারে টাচ কন্ট্রোল ডিসপ্লে সমৃদ্ধ ফোন নিয়ে আসে ।বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে জনপ্রিয় আইফোন নামক স্মার্টফোন বিক্রি করার জন্য । এছাড়াও তারা বিভিন্ন নামিদামি গ্যাজেট বাজারে নিয়ে আসে । 

একসময় অপারেটিং সিস্টেমের দিক দিয়ে এটি মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। তবে পরবর্তীতে মাইক্রোসফট করপোরেশন তাদের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে একচ্ছত্র অধিপতিত্ত্ব বিস্তার করলে, অ্যাপেল কর্পোরেশন হার্ডওয়ার ব্যবসার দিকে সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হয় । 

ইলন মাস্কের সম্পত্তির দলিল 

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির নাম হল ইলন মাস্ক । তিনি একাধারে টেসলা কম্পানীর সবচেয়ে বড় স্টক হোল্ডার । সুতরাং তার সমুদয় সম্পত্তির দলিল হতে পারে কাগজ দিয়ে বানানো পৃথিবীর  সবচেয়ে দামি জিনিস গুলোর মধ্যে একটি ।  তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ আড়াইশো বিলিয়ন মার্কিন ডলার । 

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো তিনি বেতন বাবদ মাত্র তার প্রতিষ্ঠানে থেকে 1 ডলার মাসিক বেতন নিয়ে থাকেন। কেননা তার এত পরিমান সম্পত্তি যে বেতন নেওয়ার কোনো প্রয়োজন বোধ করেন না । তারা মূলত সেই সকল কম্পানির পেছনে শ্রম প্রদান করেন যার ফলে কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে।এবং যেহেতু তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের বড় বড় শেয়ারহোল্ডার হয়ে থাকেন সে কারণে শেয়ারের দাম বাড়লে তাদের সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পায় । মূলত এ মাধ্যমে তারা আয় করে থাকে । 

লিওনার্দো দা ভিঞ্চির লেখা Codex Leicester 

এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি বই হিসেবে বিবেচনা করা হয় দামের দিক থেকে । বর্তমানে বইটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় 400 বিলিয়ন মার্কিন ডলার । তবে মোটামুটি ধরে নেওয়া যাবে এই বইটি কখনোই বিক্রি করা হবে না । কেননা এ বইটি মূলত ফ্রান্সের  ডিস্টিকভ্যালি মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করা হয়েছে ।  

মূলত লিওনার্দো দা ভিঞ্চি এই বইতে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে গিয়েছেন। একটি নির্যাসের এর সাথে আরেকটি নির্যাস মিশিয়ে কি করে রং তৈরি করা হয়ে থাকে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে এই বইটিতে । সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এ বইটিতে হেলিকপ্টার তৈরি একটি স্ট্রাকচার আঁকা হয়েছে । এবং বর্তমানে আমরা সচরাচর যে সকল হেলিকপ্টারগুলো দেখে থাকি সেগুলো লিওনার্দো দা ভিঞ্চির সে স্ট্রাকচার অনুসারে তৈরি করা হয়ে থাকে । 

সম্পর্কিত আর্টিকেল;- কর্পোরেট জব কি ? কর্পোরেট জব বেতন

পৃথিবীর সবচেয়ে দামি জিনিস কী?

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি কাগজ দিয়ে বানানো সবচেয়ে দামি জিনিস কি? এবার আমরা চলেছি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি জিনিস কি ! এবং এখানে আমরা মূলত বাস্তব জগৎ সম্পর্কিত কিছু বস্তুর নাম জানবো এগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে দামি জিনিস গুলোর মধ্যে অন্যতম ! 

যারা প্রশ্ন করে থাকেন পৃথিবীর সবচেয়ে দামি জিনিস কী- তাদের জন্যই মূলত আমাদের আজকের আর্টিকেলের এই অংশটি ! পৃথিবীর সবচেয়ে দামি বস্তু কি হলো এন্টিহাইড্রোজেন ! এন্টি হাইড্রোজেন এমন একটি বস্তু হয়েছে এটি 1999 সালে আমেরিকায় তৈরি করা হয়েছিল কৃত্রিমভাবে । এটি এমন একটি পদার্থ যেটি একটি বস্তু থেকেহাইড্রোজেন বিশ্লেষণ করা বাদ দিতে পারে। তার ফলে পুরোপুরিভাবে একটি পরমাণুর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেতে পারে । সেই কারণে এই সকল পদার্থ খুবই গোপনীয়তার সাথে সংরক্ষণ করা হয়  যেন এগুলো খুব সহজেই সাধারণ মানুষের নাগালে না চলে আসতে পারে । 

1999 সালে যখন এই বস্তুটি সর্বপ্রথম উদঘাটন করা হয়েছিল তখন এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল 94 ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমি এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন 94 ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সমান কত ? মুদ্রাস্ফীতির হিসেবে 2022 সালের 5 ই নভেম্বর , যদি এক ডলার সমান 102 টাকা হয়ে থাকে, তবে ৯৪ ট্রিলিয়ন সমান ৯৬৭০০০০০০০০০০০০০০০ টাকা ! এটি এতই বড় সংখ্যা যে  এর সাথে মোট কয়টি শূন্য রয়েছে  সেটি গ্রন্থ আপনার আনুমানিক 5 সেকেন্ড সময় প্রয়োজন পড়বে । 

সম্পর্কিত আর্টিকেল;- পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি?

আমাদের আজকের আর্টিকেল এর মূল আলোচ্য বিষয় ছিল কাগজ দিয়ে বানানো সবচেয়ে দামি জিনিস কি সে সম্পর্কে ! আমরা আমাদের আর্টিকেলে যে মতবাদ প্রকাশ করেছে তা অনেকাংশে ধর্মীয় অনুভূতি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ।যদি আপনি আমাদের আর্টিকেল এর মাধ্যমে কোন ভাবে উপকৃত হয়ে থাকেন তবে আমাদের শ্রম সার্থকতা অর্জন করবে।  সকল ধর্মালম্বীদের প্রতি আমাদের ভালবাসা এবং আন্তরিক শ্রদ্ধা!

Leave a Comment