এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম | জমা দেয়ার নিয়ম

আজ আমরা এই এটিএম বুথ সম্পর্কে জানব। এটিএম কি? এটিএম এর পূর্ণরূপ কি? এ সকল বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা খুব সহজেই এটিএম সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নিই এটিএম সম্পর্কে।

এটিএম হচ্ছে একটি  অটোমেটেড টেলার মেশিন। এই মেশিনের মাধ্যমে ব্যাংক এবং গ্রাহকদের মধ্যে লেনদেন সম্পন্ন করা হয়। ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সময় চেকবুক নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা উত্তোলন করতে হয় কিন্তু এটিএম মেশিন উদ্ভব হওয়ার পর থেকে এ ধরনের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়েছে গ্রাহকরা। শুধুমাত্র একটি এটিএম কার্ড ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন এবং কেনাকাটা সহ অন্যান্য সকল আর্থিক লেনদেন কাজ সম্পন্ন করা যায়।

এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম

এটিএম মেশিন থেকে টাকা তোলার সময় সাবধান হয় উচিৎ । বিভিন্ন কারণে ATM বুথ থেকে টাকা তোলার সময় ঝামেলায় পড়তে পারেন। তাই জেনে নেওয়া যাক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে ..

  1. বারবার ভুল পিন প্রদান থেকে বিরত থাকুন
  2. এক্সট্রা চার্জ এড়িয়ে চলা
  3. কার্ড নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করা
  4. পিনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
  5. কার্ডের ডিটেইলস শেয়ার না করা

এটিএম বুথে কোনো লেনদেনের পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা, Card এবং receipt নিয়ে নিতে হবে, তা না হলে ATM বুথের মেশিন সেগুলো আবার টেনে ভিতরে নিতে পারে। তাই এমন মুহুর্ত এড়িয়ে চলতে টাকা, Card এবং receipt বের হওয়ার পর তা সাথে সাথে নিয়ে নিন।

মেশিন আউট অফ সার্ভিস নয় তো?
অনেক সময় এটিএম বুথে থাকা মেশিন আউট অফ সার্ভিস থাকার কারণে সার্ভিস পাওয়া যায় না। সেজন্য কোনো এটিএম বুথে যাওয়ার পর আপনার Card কাজ না করলে সেক্ষেত্রে আগে উক্ত মেশিন out of service কিনা তা চেক করে নিন।

এটিএম বুথে কার্ড আটকে গেলে করণীয়

প্রথমে ক্যানসেল বাটন প্রেস করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। দেখুন আপনার লেনদেনটি বাতিল হয়েছে কি না। এবার বুথে দায়িত্বরত গার্ডকে এটিএম কার্ড আটকে যাবার বিষয়টি জানান এবং তার কাছে থাকা রেজিস্ট্রি খাতায় ঘটনাটি লিপিবদ্ধ করুন।

বিভিন্ন কারণে এটিএম মেশিনে Card আটকে যেতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম হলো বারবার ভুল Pin code প্রবেশ করানো, এটিএম Card বেরিয়ে আসার পরও সংগ্রহ না করা, বিদ্যুৎ চলে যাওয়া, মেশিনের যান্ত্রিক সমস্যা এবং ইন্টারনেট কানেকশন চলে যাওয়া।

গুড রিটার্নস ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এ ধরনের সমস্যায় কী করতে হবে। চলুন দেখে নেই।
কার্ড আটকে গেলে ভয় পাবেন না এবং অস্থির হবেন না। বরং মাথা ঠান্ডা রেখে নিচের কাজগুলো করুন।

প্রথমে ক্যানসেল বাটন প্রেস করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। দেখুন আপনার লেনদেনটি বাতিল হয়েছে কি না।
এবার বুথে দায়িত্বরত গার্ডকে এটিএম কার্ড আটকে যাবার বিষয়টি জানান এবং তার কাছে থাকা রেজিস্ট্রি খাতায় ঘটনাটি লিপিবদ্ধ করুন।

আপনার Card টি যে ব্যাংকের,যদি একই ব্যাংকের বুথটি হয় তাহলে দ্রুত কার্ড ফিরে পাবেন। তবে বুথটি যদি অন্য ব্যাংকের হয় তাহলে Card ফিরে পেতে সময় লাগবে।
সে ক্ষেত্রে চাইলে আটকে যাওয়া কার্ডটি বাতিল করে নতুন একটি কার্ড নিতে পারেন। নতুন কার্ড পেতে ব্যাংকভেদে ৭ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে।

বিকাশ এটিএম বুথ

দেশে মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) চালু হয় ২০১১ সালে। বর্তমানে ১৫টি প্রতিষ্ঠান এ সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে বিকাশ, রকেট, ওকে ও উপায়—এ চার প্রতিষ্ঠান এটিএম থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের টাকা উত্তোলনের সুবিধা দিচ্ছে। এ জন্য এটিএম কার্ড ও নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। শুধু মোবাইল ফোন নিয়ে এটিএম বুথে গেলেই কাজ হয়ে যাবে।

বিকাশ এটিএম বুথ চার্জ

মোবাইল ব্যাংকিং তথা আর্থিক সেবায় (এমএফএস) খরচ বেশি হচ্ছে, তা কারও অজানা নয়। তবে টাকা তুলতে খরচ কমানোর কৌশলও আছে। তা হলো এজেন্টের পরিবর্তে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন। এ জন্য আলাদা কোনো নিবন্ধন লাগছে না। এতে আপনার খরচ অর্ধেক পর্যন্ত কমে আসতে পারে। আপাতত বিকাশ, রকেট, ওকে ও উপায়ের গ্রাহকেরা এ সুযোগ পাচ্ছেন। আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে এটিএম বুথ ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। অবশ্য সুযোগটি এখন কেবল শহরের গ্রাহকেরাই কাজে লাগাতে পারেন।

দেশে মুঠোফোনের মাধ্যমে আর্থিক সেবা (এমএফএস) দেওয়া শুরু হয় ২০১১ সালে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকে নিবন্ধিত ১৫টি প্রতিষ্ঠান এ সেবা দিচ্ছে। তবে এটিএম থেকে টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিচ্ছে কেবল চারটি। ডাক বিভাগের সেবা Nagad এ সুবিধা দিতে পারছে না, কারণ এটি কোনো ব্যাংকের সেবা নয়।

খরচ কত, বাঁচবে কত

বিকাশ ও রকেটের গ্রাহকদের এজেন্ট থেকে এক হাজার টাকা তুলতে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা খরচ করতে হয়। হিসাব থেকে এ টাকা কেটে নেওয়া হয়। তবে অনেক গ্রাহক আলাদাভাবেও ২০ টাকা পরিশোধ করেন। আবার অনেক এজেন্ট দেড় টাকা ফেরত দেন না বা দিতে চান না। তাই প্রতি হাজারে দেড় টাকা বাড়তি খরচ হয়। তবে বেশি টাকা উত্তোলনে বাড়তি খরচ কম হয়।

ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ গ্রাহকেরা যদি এটিএম থেকে মুঠোফোনে টাকা তোলেন, তাহলে প্রতি হাজারে ১৪ টাকা ৯০ পয়সা খরচ হচ্ছে। বিকাশ গ্রাহকেরা ৮ ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলতে পারছেন।

ডাচ্বাংলা ব্যাংকের রকেটের গ্রাহকদের এটিএম থেকে টাকা তুলতে প্রতি হাজারে লাগে ৯ টাকা। অর্থাৎ খরচ পুরো অর্ধেক। ডাচ্বাংলা ব্যাংকের যেকোনো শাখা থেকে একই খরচে টাকা তোলা যায়।

ওয়ান ব্যাংকের ওকে গ্রাহকেরা ব্যাংকটির এটিএম ও শাখা থেকে টাকা তুললে প্রতি হাজারে খরচ হয় ১০ টাকা। আর এজেন্ট থেকে টাকা তুললে খরচ হয় ১৮ টাকা।ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘উপায়’–এর গ্রাহকেরা ব্যাংকটির এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারছেন। তাঁদের এজেন্ট থেকে টাকা তুলতে প্রতি হাজারে যেখানে খরচ হয় ১৪ টাকা, সেখানে এটিএমে নেয় ৮ টাকা।
বর্তমানে বিকাশের গ্রাহকের জন্য আছে ৮টি ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তোলার সুযোগ। রকেট, ওকে ও উপায়ের একটি করে।

যেভাবে টাকা তুলবেন বিকাশ এটিএম থেকে

এটিএম থেকে টাকা তুলতে বিকাশ, রকেট, ওকে ও উপায় গ্রাহকদের কোনো এটিএম কার্ডের প্রয়োজন নেই। এ জন্য আলাদাভাবে নিবন্ধনও করতে হচ্ছে না। কেবল প্রতিটি লেনদেনের সময় আপনার নির্ধারিত মোবাইল ফোনটি সঙ্গে নিতে হবে। কারণ, টাকা তোলার আগে গ্রাহকের পরিচিতি নিশ্চিত হতে ওই মুঠোফোনে একবার ব্যবহারযোগ্য পাসওয়ার্ড আসবে। সেটি ব্যবহার করেই এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা যাবে।

বিকাশ এই সেবা শুরু করেছিল ব্র্যাক ব্যাংকের ৩৫০টি এটিএম বুথ দিয়ে। এখন ৮ ব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ৩০০ এটিএম বুথ থেকে বিকাশের টাকা তোলা যায়। বিকাশের অ্যাপে কাছের এটিএমগুলোর খোঁজ মেলে।

রকেটের গ্রাহকেরা শুধু ডাচ্বাংলা ব্যাংকের সব শাখা ও এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারছেন। তবে সারা দেশে এই একটি ব্যাংকেরই ৪ হাজার ৭৭১টি এটিএম বুথ আর ২১০টি শাখা রয়েছে। একইভাবে নবাগত সেবা উপায়ের গ্রাহকদের জন্য রয়েছে ইউসিবির ৫৬৩টি এটিএম বুথ। ওয়ান ব্যাংকের ওকে গ্রাহকেরা ব্যাংকটির সব এটিএম ও শাখা থেকে টাকা তুলতে পারবেন।

এটিএম মেশিনে টাকা জমা দেবেন কিভাবে

Step – Step নিচে দেখানো হলো :

  1. প্রথমে ATM কার্ডটি insert করান।
  2. এরপর আপনার পছন্দসই ভাষা বাছাই করুন।
  3. এরপর আপনার গোপনীয় Pin নম্বরটি Enter করুন তারপরে “Accept” বোতামটি টিপুন।
  4. এরপর নতুন Window খুলবে সেখানে “Deposit” বোতামটি টিপুন।
  5. এরপর “Yes” বোতামটি টিপুন রসিদটি পাওয়ার জন্য ।
  6. সিডিএম ক্যাশ স্লটে নগদ দিন।
  7. জমা দেওয়া টাকা সঠিক হয়েছে কিনা Check করুন এবং এর পর “Accept” বোতামটি টিপুন এটি নিশ্চিত করার জন্য।
  8. টাকা জমা শেষ হয়ে গেলে “no” বোতামটি টিপুন লেনদেন শেষ করার জন্য।
  9. প্রকিয়া শেষ হলে মেসিন থেকে আপনার ATM কার্ডটি বের করে নিতে ভুলবেন না।
  10. সব শেষে ATM মেসিন থেকে আপনার টাকা জমার রসিদটি নিতে ভুলবেন না।

Visit our earning website

এটিএম বুথে টাকা জমা দেয়ার নিয়ম

সকল এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার নিয়ম

Leave a Comment