ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং | ইন্সটাগ্রাম থেকে আয় করার উপায়

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট হলো ইন্সটাগ্রাম।যদিও এশীয় অঞ্চলে ফেসবুকের একচ্ছত্র দখিন তবু গোটা পৃথিবী আমলে নিলে ফেসবুকের তুলনায় ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি।মিলিয়ন মিলিয়ন লাইক বা ফলোয়ারের ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল দেখতে পাওয়া যায় সেলিব্রেটিদের।

এই বিপুল জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ফেসবুক,ইউটিউবের মতোই ইন্সটাগ্রাম থেকেও আয় করা যায় বেশ ভালো অংকের টাকা। ইন্সটাগ্রাম,ফেসবুক,ইউটিউবের মতো সাইট গুলোকে আমরা মূলত বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেই অভ্যস্ত।কিন্তু এ থেকে আয়ের প্রসংগ টি যখন ই আসে তখন আমরা রীতিমতো অবাক হই।কিন্তু শুধুমাত্র জানা শোনার অভাবে হয়তো আমরা বিপুল সম্ভাবনাময় জায়গা গুলো ব্যবহার না করে,সময় অপচয় করি।তাই আজ এই আর্টিকেলে বাংলাদেশে ইন্সটাগ্রাম থেকে টাকা আয়ের উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।

ইন্সটাগ্রাম থেকে টাকা আয়ের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন একটি ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট।তবে,প্রফেশনালি ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করতে চাইলে একাউন্ট চালুর পদ্ধতিটি কিছুটা ভিন্ন।অর্থ্যাৎ, একাউন্ট ক্রিয়েশনের সময় ই সঠিকভাবে একাউন্টের অপটিমাইজেশন দরকার পড়ে।

এ পর্যায়ে ইন্সটাগ্রাম থেকে আয়ের জন্য করণীয় কাজ গুলোকে তিনধাপে ভাগ করে ব্যখ্যা করবো।

ইন্সটাগ্রাম থেকে আয়ের ধাপসমূহ

প্রফেশনালি ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করতে চাইলে তিন ধাপে প্রোফাইল ডেভেলপ করতে হয়।অর্থ্যাৎ –

1.Account creation

2.Account customisation

3.Profile SEO

প্রথমেই কথা বলা যাক, Account creation নিয়ে।

  • ইন্সটাগ্রাম ওপেন করে নিচের দিকের সাইন আপ অপশনে ক্লিক করে ই মেইল বা ফোন নম্বর দিয়ে সাইন আপ করে,Next এ ক্লিক করুন।এরপর create new account এ ক্লিক করতে হবে।আপনি যদি ই মেইল আইডি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে ই মেইলে এবং ফোন নম্বর দিয়ে সাইন আপ করে থাকলে ফোন নম্বরে একটি confirmation code আসবে।
  • confirmation codeটি কপি করে নির্দিষ্ট বক্সে পেস্ট করার পর Next এ ক্লিক করলে continue অপশন আসবে।সেটিতে ক্লিক করার পর ইউজার নেম বদলাতে চান কি না এ সংক্রান্ত অপশন আসবে।নির্দেশনা অনুযায়ী ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে হবে।
  • এরপর Add profile picture এর অপশন আসবে।পছন্দ মতো ছবি সিলেক্টের পর একাউন্ট ক্রিয়েট হয়ে যাবে।

একাউন্ট তৈরি হলে পরবর্তী ধাপে, account customisation করতে হয়।

Account customisation

  • account customisation এর জন্য প্রথমে প্রোফাইল পিকচার যুক্ত করে নিতে হবে।
  • পারসোনাল একাউন্ট থেকে বিজনেস একাউন্টে transform করতে হবে
  • অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং একাউন্টগুলোকে যুক্ত করতে হবে।
  • একাউন্টের ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে
  • প্রয়োজনীয় সেটিংস সম্পন্ন করতে হবে

সবশেষে কথা বলা যাক profile SEO নিয়ে।

profile SEO

ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলটি SEO করতে চারটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে।

  • প্রোফাইলের জন্য প্রাসঙ্গিক ও গ্রহণযোগ্য নাম রাখতে হবে
  • ইউজার নেইম রাখতে হবে
  • ওয়েবসাইট যুক্ত করতে হবে।অর্থ্যাৎ, কারো নিজস্ব কোন ওয়েবসাইট চালু থাকলে তা এই ক্ষেত্রে লিখতে হবে।আর যদি না থাকে তবে ইউটিউব চ্যানেলের লিংকটি কপি করে দেয়া যাবে।
  • এরপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রোফাইলের SEO করে প্রোফাইল বায়ো লেখা।বায়োতে একাউন্ট রিলেটেড কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।এছাড়াও,জিমেইল ও ইউটিউব চ্যানেলের লিংক যুক্ত করতে হবে।এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হ্যাশ ট্যাগ যুক্ত করে রিলেটেড ওয়ার্ড যুক্ত করতে হবে।নিজের প্রোফাইল বাইওতে “Hashtags (#)” অবশই ব্যবহার করবেন। মানে, যেই বিষয় টার্গেট করে প্রোফাইল তৈরি করেছেন, সেগুলিকে hash tag ব্যবহার করে বাইওতে লিখবেন।এই হ্যাশ ট্যাগ গুলোই মূলত প্রোফাইলের SEO করে থাকে।

এই ধাপ গুলো মেনে ইন্সটাগ্রামে টাকা আয়ের জন্য প্রফেশনাল একাউন্ট খোলা যায়।তবে একাউন্ট খুললেই টাকা আয় শুরু হবে বিষয় টা এমন না।যেকোন কিছুর সফলতা অর্জনের জন্য ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়।নিরলস শ্রম ও মেধা দিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হয়।

ইন্সটাগ্রামে প্রফেশনাল একাউন্ট খোলার নিয়ম তো জানলাম।তবে,ইন্সটাগ্রাম থেকে প্রথম অবস্থায় টাকা আয় করা বেশ কষ্টসাধ্য।ইন্সটাগ্রাম থেকে আয় করতে চাইলে প্রথমেই যা লাগবে তা হলো বেশ বড় audience বা follower কমিউনিটি যারা আপনার প্রোফাইল টিকে অনুসরণ করে।ফলোয়ার বাড়ানোর কাজ টি ভীষণ ধৈর্যের ও পরীশ্রমের।

নিয়মিত ভাবে ইউনিক কন্টেন্ট তৈরি করে আকর্ষণীয় ভাবে তা প্রোফাইলে তুলে ধরতে হবে।ইন্সটাগ্রামে আপনার কন্টেন্ট ই আপনার পরিচয়।কন্টেন্ট পছন্দ করে মানুষ আপনার ফলোয়ার হিসেবে যুক্ত হলে,আপনি সেলিব্রেটি হিসেবে ইন্সটাগ্রামে প্রতিষ্ঠিত হবেন।নিজের তৈরি করা “Instagram audience” বা “followers” এর মাধ্যমে, ভবিষ্যতে আপনারা বিভিন্ন মাধ্যমে ইন্সটাগ্রাম থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

তাহলে,সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক ইন্সটাগ্রামে ফলোয়ার সংখ্যা কিভাবে বাড়ানো যায়।

ইন্সটাগ্রামে ফলোয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি

  • ইন্সটাগ্রাম থেকে আয় করতে চাইলে প্রথমেই ইন্সটাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে নির্দিষ্ট কোন বিষয় বা নিশ (niche) নিয়ে একাউন্ট তৈরি ও কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে।
  • খেয়াল রাখতে হবে,প্রোফাইলের বায়োটি যেন এট্রাকটিভ ও ইনফরমেটিভ দুই ই হয়।
  • নিয়মিত ভাবে কন্টেন্ট পোস্ট করতে হবে।প্রতিদিন ২-৩ টি ছবি,স্টোরি এবং সম্ভব হলে একটি করে ভিডিও পাবলিশ করে একটিভ থাকতে হবে যথেষ্ট।
  • আকর্ষণীয় ছবি তুলতে হবে এবং যথাযথ ভাবে এডিট করা ছবি পাবলিশ করতে হবে।এতে করে নতুন ইউজার গণ আপনার প্রোফাইল ফলো করতে আগ্রহী হবেন।
  • যতটা বেশি hashtags ব্যবহার করবেন, ততোটাই বেশি লোকেরা আপনার কনটেন্ট বা পোস্ট দেখার অধিক সুযোগ হয়ে উঠবে।Instagram এ আপনারা প্রত্যেক picture বা images এ ৩০ টি করে hashtags ব্যবহার করতে পারবেন।
  • অডিয়েন্সের সাথে সংশ্লিষ্টতা বজায় রাখতে হবে।তিন দিনের মধ্যে অন্তত একটি লাইভ সেশন নিয়মিতভাবে করতে হবে।প্রোফাইলে আসা প্রতিটি কমেন্টের রিপ্লাই করতে হবে।এতে,অডিয়েন্সের সাথে যোগাযোগ স্থাপন হবে।

এই বিষয় গুলোর প্রতি খেয়াল রাখলে আশা করা যায়,দ্রুত প্রোফাইলে ফলোয়ার বৃদ্ধি হবে।এভাবে ১০-১৫ হাজার ফলোয়ার সংখ্যা হলে আশা করা যায় ইন্সটাগ্রাম থেকে আয় করতে পারবেন।

ইন্সটাগ্রাম থেকে আয়ের উপায়

ইনস্টাগ্রাম থেকে বিভিন্ন ভাবে টাকা আয় করা যায় । এধরনের সম্পর্কিত জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরী । তাই কথা বলছি বাংলাদেশে ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় করার উপায় গুলো নিয়ে ।

প্রথমেই বলা যাক , অ্যাকাউন্ট প্রমোশনেৱ মাধ্যমে টাকা আয় করার পদ্ধতি নিয়ে ।

একাউন্ট প্রমোশন এর মাধ্যমে

একাউন্ট প্রমোশন বলতে ইন্সটাগ্রামে নতুন এমন ইউজারদের একাউন্ট প্রমোট করে তার বিপরীতে টাকা আয় করা যায়।এজন্য অবশ্যই আপনার প্রোফাইল টিতে অনেক ফলোয়ার যুক্ত থাকতে হবে।

তবে এভাবে আয় করাটা খুব বেশি সুবিধাজনক নয়।প্রতি একাউন্ট প্রমোশনের জন্য সর্বোচ্চ ১০-১৫ ডলার পাওয়া যেতে পারে।

Sponsor post তৈরির মাধ্যমে

একটি জনপ্রিয় ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল থাকলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রচারণামূলক পোস্ট করলে অর্থ প্রদান করে থাকে।এ ধরনের প্রমোশনাল পোস্ট গুলোই স্পন্সর পোস্ট হিসেবে পরিচিত।

এ ধরনের পোস্ট থেকে ইনকামের সম্ভাবনা অনেক বেশি।প্রায় ১০ লক্ষ ডলার পর্যন্ত উপার্জন করা যায়।তবে,শর্ত একটাই ফলোয়ার সংখ্যা ৮-১০ হাজার হতে হবে।ফলোয়ারের সংখ্যা যত বেশি হবে,ইনকাম ও ততো বেশি হবে এ ধরনের পেইড প্রমোশন থেকে।

এখন আপনার মনে হতে পারে,স্পন্সর কোথায় পাবেন?স্পন্সর খোঁজার জন্য কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে একাউন্ট তৈরি করে বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সর পাওয়া যায়।এ ধরনের ওয়েবসাইটের মধ্যে অন্যতম হলো ifluenz.

স্পন্সরশীপ পাওয়ার জন্য থার্ড পার্টি কোন সাইটের শরণাপন্ন হবার প্রয়োজন হয়না সেভাবে।আপনার প্রোফাইলে ১০-১২ হাজার ফলোয়ার হয়ে গেলে বিভিন্ন ব্রান্ড ও কোম্পানি নিজে থেকেই আপনাকে স্পন্সর পোস্ট করার অফার প্রদান করবে।

ছবি বিক্রির মাধ্যমে

আপনারা হয়তো জানেন, ইন্টারনেটে ছবি বিক্রি করেও অধিক পরিমানে টাকা আয় করা সম্ভব।

ইন্সটাগ্রামে ভালো এবং হাই কোয়ালিটি ছবি আপলোডের মাধ্যমেও অনলাইন ইনকাম করা যায়।তবে ছবি গুলো অবশ্যই প্রফেশনাল ওয়তে হতে হবে।

ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন “stock image website” যেমন “Shutterstock“, “Fotolia“, “iStockphoto“, “Pond5” এবং আরো অনেক ধরণের ওয়েবসাইটে নিজের একাউন্ট তৈরি করে, সেগুলিতে images আপলোড করে টাকা আয় করতে পারবেন।

Stock image ওয়েবসাইট গুলিতে আপলোড করা আপনার ছবিগুলি যখন কেও কিনেন, তখন প্রত্যেক image download এর জন্য আপনাকে ১ ডলার থেকে ৩ ডলার দেয়া হয়ে থাকে।

তবে ছবির মান অনুযায়ী টাকা আরো কম বা বেশি হতে পারে।এটি সম্পূর্ণভাবে ওয়েবসাইটের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল।

তাই, এভাবে নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টের জন্য নেয়া ছবিগুলি বিক্রি করে আপনারা অনলাইন টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে

এফিলেট মার্কেটিং হলো এমন একটি মার্কেটিং স্ট্র‍্যাটেজী যার মাধ্যমে বিভিন্ন ই কমার্স সাইট বা অনলাইন বিজনেস গুলো তাদের ব্যবসার প্রসারের জন্য এফিলিয়েটর নিয়োগ করে থাকেন।

এক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে এফিলিয়েট একাউন্ট তৈরি করে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের পণ্যের লিংক শেয়ার করে সেই পণ্য বিক্রি করে দিতে পারলে বিক্রিত প্রতিটি পণ্য হতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন আয় করা যায়।বাংলাদেশে এমন একটি জনপ্রিয় এফিলিয়েট ওয়েবসাইটের উদাহরণ হলো দারাজ।ইন্টারন্যাশনালি এমাজন ডট কম তো অন্যতম জনপ্রিয় ওয়েব সাইট।এখন নিশ্চয় ই বুঝতে পেরেছি এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

আপনি একজন “social media influencer” বা আপনার একটি Instagram account রয়েছে যেখানে হাজার হাজার followers আছে, তাহলে আপনারা এই affiliate marketing এর মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির product বা services এর প্রচার কিছু লিংক (link) এর মাধ্যমে করতে পারবেন।

আপনার ফলোয়ারদের কেউ যদি আপনার প্রচার করা এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে কিছু ক্রয় করে,তবে সেই পণ্যের জন্য নির্দিষ্ট একটি কমিশন আপনি পাবেন।এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে মূলত এভাবেই ইন্সটাগ্রাম থেকে টাকা আয় করা যায়।

নিজের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে

আপনি যদি জনপ্রিয় ইন্সটাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে থাকেন তাহলে শুধু অন্যের পেইড প্রমোশনের কাজ না বরং আপনার নিজস্ব প্রোডাক্টের প্রচারণা চালিয়ে তা অনলাইনে বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারবেন সহজেই।

যতটা বেশি আপনার followers হবে, ততটাই বেশি লোকেরা আপনার products এর ব্যাপারে জানবেন।

ফলে, আপনার পণ্য অধিক বেশি পরিমানে লোকেদের মাঝে প্রচার হবে ও বিক্রি হওয়ার সুযোগ বেড়ে যাবে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে, আপনারা যেকোনো পণ্য বা সার্ভিস অনলাইন বিক্রি করতে পারবেন।

তবে, সেই জিনিস বা পণ্য লোকেদের কাজে আসার মতো হতে হবে।

উপসংহার

ঘরে বসেই আয় করার যখন এতো আয়োজন তাহলে সোশ্যাল সাইট গুলো কাজে না লাগিয়ে অযথা সময় নষ্ট কেন করা?তাই,এখুনি আপনিও স্বাবলম্বীতা অর্জন করে পারেন ইন্সটাগ্রামে প্রফেশনাল একাউন্ট খুলে।আপনার পরিচিতি থেকে আপনি নিজেই একজন প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন নিজেকে।

Leave a Comment